Select Page
২০২৩-০৩-০৮
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা এবং ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনে নারীপক্ষ’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

স্মারক নং- না.প- ০৪/২০১৮- ৮০

২৮ চৈত্র ১৪২৪/১১ এপ্রিল ২০১৮


বিবৃতি – কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা এবং ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনে নারীপক্ষ’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ


গত ৮/০/১৮ পুলিশ ও অস্ত্রধারী গুন্ডারা সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহাবাগ এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকুরিপ্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে রাতভর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। ঐ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নীলক্ষেত মোড়ে একদল সশস্ত্র যুবক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে দুইজন নারীর উপর শারীরিক নির্যাতন ও যৌন আক্রমন চালায়। ৮/০/১৮ মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রীদের উপর নির্যাতন চালায় ছাত্রলীগ অত্র হল শাখার সভাপতি। এছাড়াও, বিভিন্ন হলে এবং ক্যাম্পসের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থনকারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। নারীপক্ষ এই সকল ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অনতিবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে। সেইসাথে, এ ধরনের আর কোন ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বর্তমানে ক্ষমতাসীন ‘আওয়ামী লীগ’ দলীয় প্রধানের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আপনার দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের এহেন ঘৃণ্য তৎপরতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন।


‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তো বটেই, যেকোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এহেন ঘটনা সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জা ও মর্মবেদনার। দেশে আইনের শাসনের অভাব, বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা এবং নির্বাচিত ছাত্রসংসদ না থাকাও এই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাই, এর অবসানে অনতিবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করছি।

তামান্না খান
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ

Pin It on Pinterest

Share This