Select Page
গঠনতন্ত্র
ধারা ১.
সংগঠনের পুরো নাম ও বিস্তারিত ঠিকানা:

নারীপক্ষ
Naripokkho
কেন্দ্রীয় দপ্তর
র‌্যাংগস নীলু স্কোয়ার (৫ম তলা)
বাড়ী- ৭৫, সড়ক- ৫/এ
সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি ঢাকা-১২০৯

ধারা ২. কর্ম এলাকা:
সমগ্র বাংলাদেশ : ঢাকা মহানগরীর যে কোন স্থানে এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা যাবে এবং বাংলাদেশের যে কোন স্থানে এর শাখা খোলা যাবে।

ধারা ৩. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
(ক) লক্ষ্য :
উপধারা (১) বাংলাদেশের সকল নারী পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে অধিকার সম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গণ্য হবে;
উপধারা (২) বাংলাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর সামাজিক অবস্থান রূপান্তর প্রক্রিয়ায় নারীপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

(খ) উদ্দেশ্য:
উপধারা (১) দেশব্যাপী নারী আন্দোলন শক্তিশালীকরণে নারীপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে;
উপধারা (২) সুনির্দিষ্ট ও ভিন্নধর্মী কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা অর্জনে নারীপক্ষ কারযকর ভূমিকা রাখবে।

(গ) সংগঠনের মূলনীতি:
(১) শ্রেণী, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, পেশা, ভাষা, সম্প্রদায়, যৌন পরিচিতি প্রভৃতি নির্বিশেষে সকল নারীর প্রতি নিরপেক্ষ অবস্থান;
(২) সংগঠনের কাঠামো, সিদ্ধামত্ম গ্রহণ প্রক্রিয়া ও প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করণ;
(৩) বৈষম্য, নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার নারীকে তার ভুক্তভোগী অবস্থা অতিক্রম করে সংগ্রামী ব্যক্তিতে পরিণত হতে সহযোগিতা দেয়া;
(৪) নিজের কথা নিজের মতো করে বলার জায়গা।

(ঘ) সংগঠনের কার্যক্রম :
(১) পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর প্রতি বৈষম্য দুরীকরণে প্রচলিত প্রথা ও চর্চায় পরিবর্তন আনার জন্য জনমত সৃষ্টি করা;
(২) নারী অধিকার সংক্রান্ত আইন ও রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় নারী পুরুষের সম অধিকার ও নারীর অগ্রগতির জন্য বিশেষ সুযোগ, সুবিধা ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা;
(৩) নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন ও নীতি বিলোপে পদক্ষেপ নেয়া;
(৪) সহিংসতার শিকার নারীকে সংগ্রামী নারী হিসেবে তৈরি হতে সহায়তা করা;
(৫) সদস্যদের আত্নবিশ্বাস গঠনে ও নেতৃত্ব বিকাশে সহযোগিতা করা;
(৬) যে সব নারীরা উন্নয়ন ও সমাজ পরিবর্তনমূলক কাজে জড়িত আছেন, তাদের মধ্যে যোগাযোগ ও আলোচনার ক্ষেত্র গড়ে তোলা;
(৭) সমাজে নারীর অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে চেতনাবোধ এবং জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নেয়া;
(৮) প্রচার মাধ্যমগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে নারীপক্ষ’র বক্তব্য তুলে ধরা;
(৯) নারীস্বাস্থ্য ও অধিকার এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক গবেষণা করা;
(১০) ব্যক্তি নারী ও নারী সংগঠনসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধি করা;
(১১) নারী আন্দোলনের আলোচনা ও কর্মসুচীতে বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা ও বয়সের নারীর জীবন ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ, স্বীকৃতি ও প্রতিফলন নিশ্চিত করা।

(ঙ) কর্ম কৌশল :
(১) সদস্যদের নিয়মিত সভা;
(২) দেশ বিদেশে কর্মশালা, সেমিনার, আলোচনা সভা, ফোরাম এবং সম্মেলনে অংশগ্রহণ;
(৩) স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংগঠনিক যোগাযোগ স্থাপন;
(৪) প্রচারপত্র প্রকাশনা;
(৫) প্রশিক্ষণ;
(৬) প্রতিবাদ ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচী গ্রহণ;
(৭) গবেষণা;
(৮) প্রকল্প গ্রহণ ও বাসত্মবায়ন;
(৯) তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, সংরক্ষণ ও বিস্তৃতিকরণ।

ধারা ৪. নূ্নতম সদস্য সংখ্যা:
সংগঠনের নূনতম সদস্য সংখ্যা হবে ২১ জন।

ধারা ৫. সদস্যদের চাঁদা ও সঞ্চয়ের হার:
সদস্যরা মাসিক চাঁদা হিসেবে ২০/- টাকা প্রদান করবেন। ক্ষেত্রবিশেষে সদস্যকে মাসিক চাঁদা প্রদান থেকে আংশিক অব্যাহতি দেয়া যাবে।

ধারা ৬. সদস্য পদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা:
(ক)সদস্য হতে হলে:-
(১) অবশ্যই বাংলাদেশী নারী হতে হবে;
(২) কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবে না;
(৩) বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।

(খ) সদস্য হওয়ার নিয়মাবলী:
উপধারা (১) প্রাথমিক সদস্য:
কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটি প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান করবে। প্রাথমিক সদস্য হতে আগ্রহী নারীকে ন্যূনপক্ষে ৬ মাস নারীপক্ষ’র বিভিন্ন সভায়/কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৬ মাস পর নারীপক্ষ’র সদস্যপদ লাভে ইচ্ছুক নারী বাংলাদেশের যে কোন স্থানে প্রথমে জেলা কমিটির/আঞ্চলিক কমিটির কাছে সাদা কাগজে আবেদন করবেন। জেলা/আঞ্চলিক কমিটি না থাকলে সরাসরি কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির কাছে আবেদন করবেন। আবেদন অনুমোদন হলে তিনি প্রাথমিক সদস্যপদ পাবেন। প্রথম ৬ মাস প্রাথমিক সদস্যদের নারীপক্ষ’র আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কার্যকলাপ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা প্রদানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সমস্বয়কারী কমিটির।

উপধারা (২) সাধারণ সদস্য:
(ক) নির্বাহী পরিষদ সাধারণ সদস্যপদ প্রদান করবে। সাধারণ সদস্যপদ পেতে হলে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত হওয়ার অন্ততপক্ষে ৬ মাস পরে নির্বাহী পরিষদের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রাথমিক সদস্য সাধারণ সদস্য পদ পাবেন। কোন প্রাথমিক সদস্য সাধারণ সদস্য হিসেবে অনুমোদন না পেলে কমপক্ষে ৩ মাস পরে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
(খ) নারীপক্ষ’র বা প্রকল্পের বেতনভুক্ত কর্মী থাকা অবস্থায় কোন প্রাথমিক সদস্য সাধারণ সদস্যপদ লাভ করতে পারবেন না;

ধারা ৭. সদস্যদের শ্রেণী বিভাগ:
(১) প্রাথমিক সদস্য (২) সাধারণ সদস্য

উপধারা (১) প্রাথমিক সদস্যর অধিকার ও দায়িত্ব:
(ক) প্রকল্পসহ সংগঠনের সকল কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রশ্ন ও ভূমিকা রাখতে পারবে;
(খ) নতুন প্রকল্প প্রসত্মাবনা উপস্থাপন, গ্রহণ ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারবে;
(গ) সাধারণ সদস্যদের অপারগতায় দেশে ও দেশের বাইরে সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে;
(ঘ) নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করা। উপধারা (২) সাধারণ সদস্যদের অধিকার ও দায়িত্ব:

উপধারা (২) সাধারণ সদস্যদের অধিকার ও দায়িত্ব:
(ক) প্রকল্পসহ সংগঠনের সকল কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রশ্ন ও ভূমিকা রাখতে পারবে;
(খ) নতুন প্রকল্প প্রসত্মাবনা উপস্থাপন, গ্রহণ ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারবে;
(গ) দেশে ও দেশের বাইরে সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে;
(ঘ) ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা;
(ঙ) সাধারণ সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদ গঠন করবেন;
(চ) চাঁদা বাকী থাকলে সাধারণ সভায় উপস্থিত হলেও তাদের ভোটাধিকার থাকবে না;
(ছ) নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করা।
(জ) কোন সাধারণ সদস্য সংগঠনের বা প্রকল্পের কর্মী থাকা অবস্থায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন তবে নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।

ধারা ৮. সদস্যপদ বাতিল ও পুনরূদ্ধারের বিধি:

উপধারা (১) সদস্যপদ বাতিল:

নিম্নলিখিত যে কোন কারণে নির্বাহী পরিষদ সাধারণ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করতে পারবেঃ
(i) সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কোন কাজে জড়িত থাকলে;
(ii) রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ গ্রহণ করলে;
(iii) মৃত্যু হলে;
(iv) পদত্যাগ করলে।

উপধারা (২) সদস্যপদ পুনরুদ্ধার:
প্রাথমিক ও সাধারণ সদস্য পদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া অনুযায়ী নতুন করে আবেদন করতে হবে।

ধারা ৯. বিভিন্ন কমিটির/পরিষদের প্রকারভেদ, গঠন প্রণালী ও কার্য সংক্রামত্ম বিধি:
উপধারা (১) নির্বাহী পরিষদ গঠন প্রক্রিয়া:
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনাকল্পে নীতি প্রণয়ন ও প্রশাসনিক কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য ৯, ১১, ১৩ কিংবা ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে। সংগঠনের তালিকাভুক্ত সাধারণ সদস্যদের ভোটে নির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত হবে।

উপধারা (২) নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের নিয়মাবলী:
(ক) একজন সদস্য একনাগাড়ে তিনবার নির্বাহী পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না;
(খ) পূর্ববর্তী নির্বাহী পরিষদের সভানেত্রী পদাধিকারবলে নতুন নির্বাহী পরিষদের সদস্য হবেন;
(গ) সংগঠনের বা প্রকল্পের কর্মী থাকা অবস্থায় কোন সদস্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না;
(ঘ) নির্বাহী পরিষদ ৯ সদস্যের হলে সভানেত্রী ব্যতীত যে কোন ৩ জন সদস্য পূর্ববর্তী পরিষদ থেকে নির্বাচিত হবেন, বাকী ৫ জন নতুন সদস্য হবেন;
(ঙ) নির্বাহী পরিষদ ১১ সদস্যের হলে পূর্ববর্তী পরিষদের সভানেত্রী ব্যতীত ৪ জন সদস্য থাকবেন। বাকী ৬ জন পূর্ববর্তী পরিষদে ছিলেন না এমন সদস্য হতে হবে;
(চ) নির্বাহী পরিষদের প্রথম সভায় নির্বাচিত সদস্যগণ নির্বাহী সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভানেত্রী, তিন জন সম্পাদক (কর্মসূচী, প্রচার ও প্রকল্প) এবং একজন কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করবেন তবে সভানেত্রী মনোনয়নের ক্ষেত্রে পূর্বে কখনই সভানেত্রী ছিলেন না এমন সদস্য মনোনায়ন করতে হবে;
(ছ) যে সব এলাকায় সংগঠনের সদস্য আছেন তাঁরা যদি জেলা কমিটি কিংবা আঞ্চলিক কমিটি গঠন করেন তাহলে তাদের মধ্যে উপযুক্ত একজনকে তারা নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচন কিংবা মনোনয়ন করতে পারেন। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এর চূড়ান্ত নির্বাচন/মনোনয়ন করা হবে।
(জ) নির্বাহী পরিষদের সভায় পরপর ৩ বার অনুপস্থিত থাকলে নির্বাহী পরিষদের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি প্রদান বা স্থগিত করতে পারবেন।

উপধারা (৩) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটি গঠন প্রক্রিয়া:
নব নির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের প্রথম সভায় ২ বছর মেয়াদী কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির সদস্য ৭, ৯ অথবা ১১ হতে পারে। এই কমিটি সাধারণত পূর্বতন কমিটির সদস্য, কখনও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়নি এ রকম সদস্য এবং নতুন নির্বাহী পরিষদের সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। সভানেত্রী পদাধিকার বলে এই কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সকল প্রকল্প সমন্বয়কারী পদাধিকার বলে এই কমিটির সদস্য হবেন।

উপধারা (৪) কার্য সংক্রামত্ম বিধি:
এই গঠনতন্ত্রের ৩ নং ধারায় উল্লেখিত সংগঠনের মূলনীতি অনুযায়ী কার্যসংক্রামত্ম বিধি পরিচালিত হবে।

ধারা ১০. কমিটি/পরিষদের মেয়াদ:
(ক) নির্বাহী পরিষদ:
নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ ২ বৎসর। তবে বিশেষ প্রয়োজনে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ক্রমে তা দুই বৎসরের অধিক কার্যকর থাকতে পারে। পরবর্তী নির্বাচিত পরিষদ তাদের স্থলাভিষিক্ত না হওয়া পর্যন্ত পূর্বতন পরিষদ কার্যভার চালিয়ে যাবে। নির্বাহী পরিষদের কোন বিশেষ সদস্য কিংবা সম্পূর্ণ পরিষদ সম্পর্কে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে অনাস্থা দেখা দিলে দুই-তৃতীয়াংশ সাধারণ সদস্য মিলে তলবী সভা ডেকে পরিষদ বাতিল করতে পারবে।

(খ) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটি:
কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির মেয়াদ ২ বৎসর। তবে বিশেষ প্রয়োজনে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ক্রমে তা দুই বৎসরের অধিক কার্যকর থাকতে পারবে। পরর্বতী কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটি তাদের স্থলাভিষিক্ত না হওয়া পর্যন্ত পূর্বতন কমিটি কার্যভার চালিয়ে যাবে।

ধারা ১১. পরিষদ/কমিটির কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী:
উপধারা (১) নির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
(ক) সংগঠন পরিচালনার সর্বময় ক্ষমতা এই পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকবে;
(খ) নির্বাহী পরিষদ সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ, প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন, বাস্তবায়ন এবং কর্মীদের সকল নীতিমালা ও বিধি বিধান প্রণয়ন করবে। যেমন- চাকুরীর বিধিমালা ও অর্থ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা;
(গ) নির্বাহী পরিষদ সংগঠনের সুষ্ঠু পরিচালনা ও বিকাশের জন্য প্রয়োজন অনুসারে গঠনতন্ত্রের উপ-ধারা প্রণয়ন করতে পারবে। এই সকল উপ-ধারা বলবৎ থাকবে, যদি না সাধারণ সভায় গৃহীত উপধারা সমূহ বাতিল বলে গণ্য হয়;
(ঘ) সংগঠনের উদ্দেশ্য ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী পরিষদ একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করবে এবং প্রয়োজনে উপ-কমিটি করতে পারবে। যেমন ব্যবস্থাপনা কমিটি, ক্রয় কমিটি, বাজেট কমিটি ও কর্মীর নিয়োগ, দক্ষতা উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটি;
(ঙ) প্রকল্প অনুমোদন, প্রকল্প বাজেট ও হিসাব পর্যালোচনা এবং অনুমোদন;
(চ) নিরীক্ষক বাছাই ও হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদন;
(ছ) এই গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নাই এমন কোন বিষয় বা পরিস্থিতিতে নির্বাহী পরিষদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে, তবে তা পরবর্তী সাধারণ সভায় অনুমোদিত হতে হবে।

উপধারা (২) শুন্য পদ পুরণ:
নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ তাদের মেয়াদ কাল পর্যন্ত পরিষদের যে কোন শূন্যপদ নিজেরাই সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়ে পূুরণ করতে পারবেন এবং যথাশীঘ্র সাধারণ সদস্যদের এ ব্যাপারে অবহিত করবেন। তবে একই সঙ্গে দুইটির অধিক শূন্যপদ পূরণ করতে হলে বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে নির্বাচন করতে হবে।

উপধারা (৩) সভানেত্রী, সম্পাদক ও কোষাধক্ষ নির্বাচন:
সাধারণ সভায় নির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের প্রথম সভায় নির্বাহী পরিষদ সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজন সভানেত্রী, তিনজন সম্পাদক নির্বাচন করবে। এই তিনজন ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবে। যথা ১.কর্মসূচী ২. প্রচার ও ৩. প্রকল্প এবং একজন কোষাধক্ষ নির্বাচন করবে। উল্লেখ্য কোন সদস্য একবারের বেশী সংগঠনের সভানেত্রী হতে পারবে না।

উপধারা (৪) সভানেত্রীর দায়িত্ব:
সভানেত্রী নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সংস্থার প্রধান। তিনি নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তিনি সংগঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় পরামর্শ প্রদান ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিধি মোতাবেক সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থে নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের যাবতীয় কার্যকলাপ অর্থাৎ সংস্থার স্বার্থে ও উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ ও অবদান পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তা খোলাখুলিভাবে নির্বাহী পরিষদের সভায় আলোচনা করবেন। নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতা, দায়িত্ব ইত্যাদির ব্যবহার ও প্রয়োগ তিনি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজনে পরামর্শ প্রদান করবেন। গৃহীত কার্যক্রম ও অনুমোদিত কর্মসূচীর সুষ্ঠু ও কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী পরিষদের পক্ষে সভানেত্রী বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

উপধারা (৫) সম্পাদকবৃন্দের দায়িত্ব:
(ক) সভানেত্রীর অনুপস্থিতিতে সম্পাদকবৃন্দ থেকে সভানেত্রীর মনোনীত একজন সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। চারজনই অনুপস্থিত থাকলে সভানেত্রী ও সম্পাদকমন্ডলীর মনোনীত নির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন;
(খ) সম্পাদকবৃন্দ সভানেত্রীকে সকল কাজে সহযোগিতা করবেন।

উপধারা (৬) কর্মসূচী সম্পাদক এর দায়িত্ব:
(ক) কর্মসূচীর বিভিন্ন বিষয় নির্ধারণ করে নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির সভায় উপস্থাপন;
(খ) মানবাধিকার লংঘনের কোন ঘটনা ঘটলে তা তাৎক্ষনিকভাবে নারীপক্ষকে অবহিতকরণ ও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নেতৃত্ব দেয়া;
(গ) নারীর স্বার্থ বিরোধী আইন ও নীতিমালা পরিবর্তনে কর্মসূচী গ্রহণ;
(ঘ) নারীর স্বার্থ বিরোধী ঘটনা ঘটলে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নেতৃত্ব দেয়া।

উপধারা (৭) প্রচার সম্পাদক এর দায়িত্ব:
(ক) বিভিন্ন ফোরামে নারীপক্ষ’র লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রমের প্রচার নিশ্চিত করা;
(খ) বিভিন্ন কর্মশালা/আলোচনা সভায় নারীপক্ষ’র অবস্থান তুলে ধরা;
(গ) সমমনা সংগঠনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নারীপক্ষ’র অবস্থান, কার্যক্রম ও শিখন সম্পর্কে অবহিতকরণ;
(ঘ) নারীপক্ষ’র বিভিন্ন প্রচারপত্র সরকারী বেসরকারী সংগঠনে বিতরণ/পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা;
(ঙ) বিভিন্ন জেলায় কমিটি গঠনের মাধ্যমে সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে নারীপক্ষ’র বক্তব্য ও কর্মকান্ড দৃশ্যমান করা।

উপধারা (৮) প্রকল্প সম্পাদক এর দায়িত্ব:
(ক) প্রকল্প গ্রহণ করার যৌক্তিকতা এবং তম্মধ্যে সংগঠনের উদ্দেশ্য,আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রতিফলন নিশ্চিত করা;
(খ) বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে যোগসূত্রিতা স্থাপন ও সমন্বয় সাধন;
(গ) প্রকল্পের প্রস্তাবনা ও বাজেট প্রনয়ণ এবং অনুদান সংগ্রহে নেতৃত্ব প্রদান;
(ঘ) প্রকল্পের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে অন্যান্য সম্পাদকের সমন্বয় করে কর্মসূচীতে
যুক্ত করা;
(ঙ) সহযোগী সংগঠন মূল্যায়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা;
(চ) সভানেত্রী ও প্রশাসনের সাথে যোগসূত্রিতা বজায় রাখা।

উপধারা (৯) কোষাধক্ষ’র দায়িত্ব :
(ক) কোষাধক্ষ নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত বাজেটের আলোকে খরচ করা হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সে মোতাবেক খরচের জন্য পরামর্শ দেবেন;
(খ) কোষাধক্ষ সংস্থার বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব সাধারণ সভায় পেশ করবেন এবং সাধারণ সদস্যদের চাঁদা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন;
(গ) ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কোষাধক্ষ ও সাধারণ সদস্য থেকে দুইজন যৌথ স্বাক্ষরদাতা হিসেবে কাজ করবেন।

উপধারা (১০) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির দায়িত্ব:
(ক) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির সভা মাসে দুইবার হবে;
(খ) পূর্ববর্তী মাসের কর্মসূচী পর্যলোচনা করা এবং পরবর্তী মাসে কি কি কর্মসূচী হবে তার পরিকল্পনা করা;
(গ) বিভিন্ন সভা ও সম্মেলনে নারীপক্ষ’র প্রতিনিধিত্ব এবং প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা;
(ঘ) বিভিন্ন কর্মসূচীর বাজেট অনুমোদন করা;
(ঙ) প্রকল্পের যে বিষয়গুলো কর্মদলে সমাধান করা সম্ভব নয় সে বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটিতে সিদ্ধামত্ম নেয়া;
(চ) প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান ও বাতিল করা;
(ছ) প্রাথমিক সদস্যদের নারীপক্ষ’র আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ;
(জ) বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা, সুবিধাদি ইত্যাদি বিষয়ে সামঞ্জস্য রাখা;
(ঝ) সংগঠনের নেতৃত্ব ও বিষয়ভিত্তিক কাজের দিক নির্দেশনা প্রদান করা ।

ধারা ১২. সভার শ্রেণী বিভাগ:
উপধারা (১) সাধারণ সভা: দুই বৎসর অমত্মর সাধারণ সভা বসবে। একে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা বলা হবে। বিশেষ প্রয়োজনে সাধারণ সদস্যদের অন্য সভা হলে তাকে বিশেষ সাধারণ সভা বলা হবে। নিম্নোক্ত দায়িত্ব পালন করবেঃ
(ক) নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণকে নির্বাচিত করবে;
(খ) সংগঠনের পূববর্তী দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার প্রতিবেদন অনুমোদন;
(গ) সকল বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুমোদন;
(ঘ) দ্বি-বার্ষিক বাজেট ও হিসাব অনুমোদন;
(ঙ) দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা চুড়ান্তকরণ ও অনুমোদন;
(চ) নিরীক্ষক নিয়োগ;
(ছ) গঠনতন্ত্রের উপ-ধারা অনুমোদন বা বাতিল;
(জ) গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন;
(ঝ) বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক দল গঠন;
(ঞ) প্রকল্প কর্মদল গঠন;
(ট) প্রশিক্ষণ দল তৈরী;
(ঠ) নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী দুই বছরের সকল সভার তারিখ নির্ধারন;

উপধারা (২) বার্ষিক আলোচনা সভা:
(ক) এক বৎসর অমত্মর বার্ষিক আলোচনা সভা হবে;
(খ) সংগঠনের প্রকল্প এবং অন্যান্য কর্মসূচীর প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং হিসাব প্রতিবেদন উপস্থাপন করা ;
(গ) চলতি বছরের পরিকল্পনা বাসত্মবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং আগামী এক বছরের পরিকল্পনা করা।

উপধারা (৩) নির্বাহী পরিষদ সভা:
(ক) প্রতি তিন মাসে একবার নির্বাহী পরিষদের বৈঠক বসবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত তিন মাসের পূর্বেও নির্বাহী পরিষদ সভা ডাকা যাবে;
(খ) জরুরী পরিস্থিতিতে ২৪ ঘন্টার নোটিশে নির্বাহী পরিষদ সভা ডাকা যাবে;
(গ) অর্ধেকের চেয়ে বেশী নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।

উপধারা (৪) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির সভা:
(ক) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির সভা মাসে দুইবার হবে;
(খ) এই কমিটির সভা সভানেত্রী অথবা তার মনোনীত ব্যক্তি ডাকবেন।

ধারা ১৩. সভা আহবান ও নোটিশের মেয়াদ:
উপধারা (১) সাধারণ সভা:
(ক) দুই বৎসর অমত্মর একবার সাধারণ সভা বসবে। একে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা বলা হবে, বিশেষ প্রয়োজনে সাধারণ সদস্যদের নিয়ে সভা হলে বিশেষ সাধারণ সভা বলা হবে। নির্বাহী পরিষদ সভার দিনক্ষণ ও স্থান নির্ধারণ করবে;
(খ) সাধারণ সভার জন্য কমপক্ষে এক মাস পূর্বে সভার আলোচ্যসূচীসহ দিনক্ষণ ও স্থান জানিয়ে নোটিশ দিতে হবে;
(গ) সভানেত্রী নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামত নিয়ে সাধারণ ও বিশেষ সাধারণ সভা ডাকবেন;
(ঘ) নির্বাহী পরিষদ পরবর্তী দুই বছরের সকল সভার তারিখ নির্ধারন করবে।

উপধারা (২) বার্ষিক আলোচনা সভা:
(ক) এক বৎসর অমত্মর বার্ষিক আলোচনা সভা হবে;
(খ) কমপক্ষে এক মাস পূর্বে সভার আলোচ্যসূচীসহ দিনক্ষণ ও স্থান জানিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

উপধারা (৩) নির্বাহী পরিষদ সভা:
(ক) এই কমিটির সভা সভানেত্রী ডাকবেন;
(খ) কমপক্ষে পনের দিন পূর্বে সভার আলোচ্যসূচীসহ দিনক্ষণ ও স্থান জানিয়ে নোটিশ দিতে হবে;

উপধারা (৪) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির সভা:
(ক) কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী কমিটির সভা মাসে দুইবার হবে;
(খ) এই কমিটির সভা সভানেত্রী ডাকবেন।

উপধারা (৫) বিশেষ সাধারণ সভা:
(ক) বিশেষ প্রয়োজনে সাধারণ সদস্যদের নিয়ে সভা হলে বিশেষ সাধারণ সভা বলা হবে;
(খ) বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত দুই-তৃতীয়াংশ উপস্থিত সদস্যদের ভোটে গৃহীত হতে হবে;
(গ) বিশেষ সাধারণ সভার জন্য কমপক্ষে ১০ দিন পূর্বে সভার আলোচ্যসূচীসহ দিনক্ষণ ও স্থান জানিয়ে নোটিশ দিতে হবে;
(ঘ) এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পূর্ণ হবে।

ধারা ১৪. সভার কোরাম:
যেকোন সভায় অর্ধেকের বেশী সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে। বিশেষ সভার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটতে পারে যেমন বিশেষ সাধারণ সভায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।

ধারা ১৫. তলবী সভার বিসত্মারিত বিবরণ ও অনাস্থা প্রসত্মাব।
(ক) সাধারণ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ মিলিত ভাবে তলবী সভা ডাকতে পারবেন;
(খ) তলবী সভা আহবানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে;
(গ) কমপক্ষে সাত (৭) দিন পূর্বে সভার আলোচ্যসূচীসহ দিনক্ষণ ও স্থান জানিয়ে নোটিশ প্রদান করতে হবে;
(ঘ) উপস্থিত সদস্যর অর্ধেকের ঐক্যমতের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধামত্ম চুড়ামত্ম হিসাবে গন্য হবে।

ধারা ১৬. নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন পরিচালনা:
উপধারা (১) নির্বাচন কমিশন গঠন:
(ক) নির্বাহী পরিষদের সভায় পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে;
(খ) নির্বাচন কমিশন ৩ সদস্য বিশিষ্ট হবে। এর মধ্যে ১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবেন অন্য ২ জন সদস্য হবেন;
(গ) যিনি/যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না তাঁদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য নিয়োগ দেয়া যাবে। তবে তাঁদের সাধারণ সদস্যপদ থাকতে হবে।

উপধারা (২) নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব:
(ক) নির্বাচনের এক মাস পূর্বে প্রার্থী ও ভোটার তালিকা চুড়ান্ত করে সকল সাধারণ সদস্যকে অবহিত করবে;
(খ) নির্বাচন পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষনা করবে।

উপধারা (৩) নির্বাচন পরিচালনা প্রক্রিয়া:
(ক) গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে;
(খ) অনুপস্থিত সাধারণ সদস্য নির্বাচন ঘোষনার ধার্য্য সময়ের মধ্যে ইমেল/ ডাকযোগে/ ফ্যাক্স এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট প্রদান করতে পারবেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে লিখিত দলিল থাকতে হবে। (এই বিধানটি ১৪১৭/২০১১ থেকে কার্যকর হবে)

ধারা ১৭. আয়ের উৎস ও অর্থ খরচের বিধি:
উপধারা (১) তহবিল:
(ক) সদস্য চাঁদা;
(খ) সদস্যদের বিশেষ অনুদান;
(গ) সংগঠনের পক্ষে সদস্যরা অর্থ উপার্জনকারী কাজ করে সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধি করতে পারে;
(ঘ) যে কোন ব্যক্তি, সংগঠন, দাতা সংস্থা ও সরকারের কাছ থেকে যে কোন পরিমান অর্থ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করা যাবে।

উপধারা (২) অর্থ খরচের বিধি:
(ক) নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চেক স্বাক্ষরকারী হিসেবে কোষাধক্ষসহ ৩ জন সদস্য থাকবেন এবং এর মধ্যে থেকে যে কোন ২ জনের স্বাক্ষরে টাকা তোলা যাবে;
(খ) সংগঠনের হিসাব নির্দেশিকা অনুযায়ী হিসাব পরিচালনা করা হবে।

ধারা ১৮. ব্যাংকের হিসাব ও তহবিল পরিচালনা:
নারীপক্ষ’র নামে সংগৃহীত যে কোন অর্থের স্বত্বাধিকারী নারীপক্ষ সংগঠন হবে। বিভিন্ন সত্মরে সংগৃহীত অর্থ নিম্নলিখিতভাবে পরিচালিত হবে।
(ক) যেখানে শাখা থাকবে সেখানে সংগৃহীত টাকার শতকরা ৬০ ভাগ উক্ত শাখা রাখবে এবং শতকরা ৪০ ভাগ জেলা কমিটিকে প্রদান করবে;
(খ) জেলা কমিটি সেই অর্থের ২০ ভাগ রেখে অবশিষ্ট ২০ ভাগ কেন্দ্রীয় কমিটিকে প্রদান করবে। জেলা কমিটি না থাকলে সম্পূর্ণ ৪০ ভাগ অর্থ সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটিকে প্রদান করবে। প্রত্যেক স্তরে অর্থ তহবিলের সম্পূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে এবং জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটিকে বাৎসরিক প্রতিবেদন পেশ করবে। প্রত্যেক স্তরে অর্থ পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখার কমিটির দু�জন সদস্য নিয়োজিত হবেন। নির্বাহী পরিষদের পক্ষে কোষাধক্ষ অর্থের হিসাব বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করবেন।

ধারা ১৯. হিসাব নিরীক্ষা:
(ক) সাধারণ সভায় নিরীক্ষক নিয়োগ করা হবে;
(খ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিরীক্ষকগণের তুলনামূলক বিবরনী তৈরী করে যাচাই বাছাই করে নিয়োগ চুড়ান্ত করা হবে।

ধারা ২০. গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন ও সংশোধন (গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন সংক্রামত্ম প্রসত্মাব কার্যকর করার জন্য নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হবে):

গঠনতন্ত্র সংশোধন পদ্ধতি:
(ক) এ গঠনতন্ত্রে যে সমস্ত বিষয় অনুল্লেখ রয়েছে তা উজ্জীবিত করার ক্ষমতা সাধারণ সভার এখতিয়ারভুক্ত থাকবে। সাধারণ সদস্যদের অর্ধেকের ভোটে গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা, উপধারা ও অংশ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করতে পারবে;
(খ) বিশেষ যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যা গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নেই এমন কোন বিষয় সম্পর্কে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে নির্বাহী পরিষদ অর্ধেকের বেশী সদস্যের উপস্থিতিতে সভার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা, সুপারিশ ও সিদ্ধামত্ম প্রদান করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে তা সংশোধিত, পরিমার্জিত, পরিবর্তিত বা সংযোজিত ধারা চূড়ামত্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।

ধারা ২১. জাতীয় ভিত্তিক সংগঠনের সাথে শাখা সমূহের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক যোগসূত্র:
(ক) শাখা থেকে নির্বাহী পরিষদে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে;
(খ) শাখা থেকে কেন্দ্রে ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন পাঠাবে;
(গ) জাতীয় পর্যায়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী সম্পর্কে শাখাকে অবহিতকরণ ও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ;
(ঘ) বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ কর্মসূচী একযোগে পালন;
(ঙ) শাখায় সংগৃহীত টাকার শতকরা ৬০ ভাগ উক্ত শাখা রাখবে এবং শতকরা ৪০ ভাগ জেলা কমিটিকে প্রদান করবে;
(চ) জেলা কমিটি সেই অর্থের ২০ ভাগ রেখে অবশিষ্ট ২০ ভাগ কেন্দ্রীয় কমিটিকে প্রদান করবে। জেলা কমিটি না থাকলে সম্পূর্ণ ৪০ ভাগ অর্থ সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটিকে প্রদান করবে;
(ছ) প্রত্যেক স্তরে অর্থ তহবিলের সম্পূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে এবং জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটিকে বাৎসরিক প্রতিবেদন পেশ করবে;
(জ) প্রত্যেক স্তরে অর্থ পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখার কমিটির দুইজন সদস্য নিয়োজিত হবেন;
(ঞ) নির্বাহী পরিষদের পক্ষে কোষাধক্ষ অর্থের হিসাব বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করবে।

ধারা : ২২. বিলুপ্তি সংক্রান্ত বিধি:
সংগঠনের বিলুপ্তি:
(ক) সংগঠনের মোট সাধারণ সদস্যের তিন চতুর্থাংশের সম্মতি নিয়ে একে বিলুপ্ত ঘোষনা করা যাবে এবং সংগঠনের সকল সদস্যকে জ্ঞাত করা হবে। বিলুপ্তির পর সংগঠনের কোন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি থাকলে দেনা মিটিয়ে নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন নিয়ে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা অন্য কোন সংগঠনকে দান করা যাবে। কোন সদস্যকে এই সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়া যাবে না;
(খ) সাধারণ সদস্যদের দেয়া অনুমোদন লিখিত হতে হবে।

Pin It on Pinterest

Share This