Select Page
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
নারীকে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে অধিকারসম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৩ খৃষ্টাব্দ থেকে নারীপক্ষ কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিটি মঙ্গলবার সদস্যরা সভায় বসছেন। এই সভা নারীর নিজস্ব কথা বলার একটি জায়গা এবং নারীপক্ষ'র সকল তৎপরতা ও আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল।

নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা অর্জনের জন্য নেয়া হয়েছে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট ও ভিন্নমুখী কর্মসূচি, যেমন: নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড পরিবীক্ষণ, স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, নারী নির্যাতন বিষয়ক গবেষণা, নির্বাচন পূর্বে প্রার্থীদের সঙ্গে নারীর জন্য করণীয় বিষয়ে সংলাপ ইত্যাদি। তাছাড়া রয়েছে নিয়মিত আলোচনা সভা ও নারীর প্রতি বৈষম্য, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নারী অধিকার সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা প্রভাবিতকরণ। নারী আন্দোলনের একটি শক্তিশালী স্বতন্ত্র মঞ্চ তৈরির জন্য দেশব্যাপী গড়ে তোলা হয়েছে নারী সংগঠনসমূহের নেটওয়ার্ক ‌‌‌’দুর্বার’।

নারীপক্ষ পরিচালিত হয় মূলত সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে। বেশির ভাগ সাংগঠনিক কর্মকান্ডের ব্যয় নির্বাহ হয় এই স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত আয়ের মাধ্যমে। তবে নারীপক্ষ’র আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেয়া হয় যা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে নেয়া হয়।

নারীপক্ষ বর্তমানে ৫টি ক্ষেত্রে কাজ করেঃ

১. নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা
২. নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার
৩. নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন
৪. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
৫. নারীর অর্থনৈতিক অধিকার

নারীপক্ষ নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বহুমুখি কর্মসূচি পরিচালনা করছে। বাংলাদেশে অধিক প্রসূতি-মৃত্যুহার ক্রমশ সর্বনিম্ন পর্যায়ে কমিয়ে আনতে সরকারের স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় নারীর অভিগম্যতা ও অধিকার নিশ্চিত করণে এপ্রিল ২০০৩ থেকে ‘নারীর স্বাস্থ্য ও অধিকার সংক্রান্ত এ্যাডভোকেসী পার্টনারশীপ’ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে। নারীপক্ষ এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৫টি জেলা- বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালীর ৬৫টি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ১৬টি সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সেবার মান উন্নয়নে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে লবিইং ও এ্যাডভোকেসী করছে। এই প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে ডেনিস ফ্যামিলি প্ল্যানিং এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে ডেনমার্ক সরকার। দক্ষিণ এশিয়ার ৪টি দেশে পরিচালিত এই প্রকল্প সমন্বয় করছে মালয়েশিয়াভিত্তিক নারী সংগঠন এশিয়ান প্যাসিফিক রিসোর্স এন্ড রিসার্চ সেন্টার ফর উইমেন।

নারীপক্ষ’র আর একটি প্রকল্প ‘যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার-এর বর্তমান অবস্থা বিষয়ক আঞ্চলিক প্রতিবেদন’ এর জন্য বাংলাদেশে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক্লাম্পশিয়া চিকিৎসার সহজলভ্যতা ও জরুরী প্রসূতি সেবা গ্রহণের বর্তমান বাস্তবতা ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা তৈরী এবং নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে তা তুলে ধরা। আঞ্চলিক প্রতিবেদন তৈরীর কাজটি সমন্বয় করছে।

Pin It on Pinterest

Share This