Select Page
২০২১-০৭-১১
আবারও অগ্নিকান্ডে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় নারীপক্ষ মর্মাহত, ক্ষুব্ধ ও আশঙ্কিত

স্মারকনং- না.প- ০৭/২০২১- ৩৭০


২৭ আষাঢ় ১৪২৮/১১ জুলাই ২০২১

প্রতিবাদ বিবৃতি

আবারও অগ্নিকান্ডে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় নারীপক্ষ মর্মাহত, ক্ষুব্ধ ও আশঙ্কিত


৮ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় হাশেম ফুড লিমিটেড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। আহত হয়েছেন অসংখ্য, যাদের অনেকেই এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ভাবনটির ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় উদ্ধারকাজ শেষে আহত-নিহতের এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই হতাহতের ঘটনায় নারীপক্ষ ভীষণভাবে মর্মাহত, ক্ষুব্ধ এবং আশঙ্কিত। নারীপক্ষ নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছে এবং আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে। সেইসাথে নারীপক্ষ জোর দাবি জানাচ্ছে যে, যার/যাদের উদাসীনতা, দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং সর্বোপরি শ্রমিকের জীবনের প্রতি গুরুত্বহীনতায় ঝরে গেলো এতগুলো জীবন তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।

নারীপক্ষ মনে করে, একের পর এক এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী, যথাযথ আইন ও নিরাপত্তা বিধি-বিধান এর তোয়াক্কা না করে প্রধান ফটকে তালাবদ্ধ করে কারখানা পরিচালনা করা, আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকা, জরুরী সময়ে শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য বিকল্প পথ না থাকা, শিশু শ্রমিক নিয়োগ এবং কার্যকর ‘সেইফ্টি কমিটি’ না থাকা। নারীপক্ষ মনে করে, ফটকে তালাবদ্ধ করে এবং জরুরী সময়ে শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য বিকল্প পথ না রেখে কারখানা চালিয়ে শ্রমিকদের মৃতুমুখে ঠেলে দেয়া হত্যাকান্ডের সামিল। এর দায়ভার কারখানার মালিক এবং কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কোন ভাবেই এড়াতে পারে না।

রুপগঞ্জের এই অগ্নিকান্ড ও এর ভয়াবহতা আমাদের আইনের দুর্বলতা এবং যেটুকু আছে সেটুকুরও প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রণহীনতার অকাট্য প্রমাণ। আমরা একই অবস্থা দেখেছি রানাপ্লাজা ধস ও তাজরীন অগ্নিকান্ডসহ আরো অনেকগুলো ঘটনার ক্ষেত্রেও।

আমরা এই ধরনের আর একটি ঘটনারও পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না; আর একটি প্রাণও হারাতে চাই না, একটি জীবনকেও পঙ্গু হতে দিতে চাই না। তাই, প্রত্যেকটি কারখানা যেন শ্রম আইনের যথাযথভাবে অনুসরণে প্রতিটি কারখানা শ্রমিকের নিরাপত্তা বিধান করে কারখানা পরিচালনা করে। এর জন্য কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সক্রিয় তদারকী নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

তামান্না খান পপি
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ।

Pin It on Pinterest

Share This