Select Page
২০১৫-১২-১০
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য অস্বস্তিকর প্রতীক বরাদ্দ বাতিলের দাবি

স্মারক নং- না.প. ১২/২০১৫- ৩৪৩

২৬ অগ্রহায়ণ ১৪২২/১০ ডিসেম্বর ২০১৫

বরাবর,
কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ,
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭

বিষয়: সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য অস্বস্তিকর প্রতীক বরাদ্দ বাতিলের দাবি

মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার,

আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করছি, নির্বাচন কমিশন গত সিটি কর্পোরেশন (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম) নির্বাচনের মতো আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনেও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদ প্রার্থীদের জন্য অস্বস্তিকর প্রতীক, যেমন: চুড়ি, পুতুল, ফ্রক, ভ্যানিটি ব্যাগ, কাঁচি, গ্যাসের চুলা বরাদ্দ রেখেছে। এই ধরনের প্রতীক বরাদ্দ নারীর যোগ্যতা, সামর্থ্য এবং অবস্থা ও অবস্থানকে হেয় প্রতিপন্ন ও বিদ্রুপ, তাচ্ছিল্য করে। বহুকাল থেকে নারীর প্রতি চলে আসা এই ধরনের মানসিকতা ও তার চর্চা বজায় রেখে নির্বাচন কমিশন পক্ষান্তরে পশ্চাদপদতার পরিচয় দিয়েছে, যা কারো জন্যেই সুখকর তো নয়ই বরং তা নারীকে অসম্মান ও অপদস্থ করারই নামান্তর।

গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এই ধরনের প্রতীক বরাদ্দ করায় দেশের নারী সমাজ ও নারী আন্দোলন প্রবল আপত্তি তুলেছিলো, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছিলো। সেই সময় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশন ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার বিয়টি বিবেচনা করার কথা বলেছিলেন। নির্বাচন কমিশন তার সেই কথা ভুলে গিয়ে, নারী সমাজের সকল প্রতিবাদ, আপত্তি, ক্ষোভ, নিন্দা উপেক্ষা করে পুনরায় একই ধরনের প্রতীক বরাদ্দ করছেন। নির্বাচন কমিশনের এহেন আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।

আমাদের প্রত্যাশা, নির্বাচন কমিশন যাতে অবিলম্বে নারীর প্রতি অবমাননাকর এইসকল প্রতীক বাতিল করে সম্মানজনক ও স্বস্তিকর প্রতীক বরাদ্দ করেন সে বিষয়ে আপনি অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন।

ধন্যবাদসহ,

রীনা রায়
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ।
নারীপক্ষ

Pin It on Pinterest

Share This