Select Page
২০০৪-০৬-২০
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ প্রসঙ্গে

স্মারক নং না.পে.প্র-০৬/২০০৪/৬৩৫


৬ আষাঢ় ১৪১১/২০ জুন ২০০৪


বরাবর
এম.এ. সাঈদ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
শের-ই-বাংলা নগর
ঢাকা-১২০৭।

বিষয়ঃ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ প্রসঙ্গে

শ্রদ্ধাভাজনেষু,

গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি অন্যতম পূর্বশর্ত। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য একদিকে যেমন নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশাসন আবশ্যক তেমনি ভোট প্রদানের নাগরিক অধিকার চর্চার জন্য মুক্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশ এবং পদ্ধতিসমূহ প্রয়োজন। ভোটাধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থী পছন্দ করার সুযোগ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে কোন প্রার্থী পছন্দ না হলে বা উপযুক্ত বিবেচনা না করলে প্রচলিত ব্যালট পেপারে সেই মত প্রকাশের কোন সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় অনেকেই ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয় মনে করেন। ফলে নাগরিক অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক অবস্থা সুষ্টি হয়; যেমন জাল ভোট ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি পায়, নাগরিক সমাজে অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অনীহা ইত্যাদির সৃষ্টি হয়। বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় একজন নাগরিকের নিজস্ব ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ ব্যালেট পেপারে নেই। কিন্তু সকলেরই ভিন্ন মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। তবে মত প্রকাশের জায়গা না থাকায় তার অবকাশ নেই।
তাই আমাদের বিনীত প্রস্তাব এই যে, নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপারে একটি প্রতীকহীন শূন্য ঘর রাখা, যাতে কোটার কোন প্রার্থীকে সমর্থন না করলেও মত প্রকাশের অবকাশ থাকে।

বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, আপনি একজন ন্যায়পরায়ণ ও কর্তব্যনিষ্ঠ ব্যক্তি। সে কারণেই আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, আপনি এ ধরনের পদ্ধতি চালু করে সমগ্র পৃথিবীতে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে এগিয়ে আসবেন।

ধন্যবাদ,

শামসুন নেসা
আহবায়ক
নারীপক্ষ

 

 

স্মারক নং না.পে.প্র-০৬/২০০৪/৬৩৫


৬ আষাঢ় ১৪১১/২০ জুন ২০০৪


বরাবর
এম.এ. সাঈদ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
শের-ই-বাংলা নগর
ঢাকা-১২০৭।

বিষয়ঃ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ প্রসঙ্গে

বিষয়ের পক্ষেত্রে যুক্তিসমূহঃ
 নির্বাচনে প্রার্থী পছন্দ না হলে মতামত প্রকাশের সুযোগ নাই। ব্যালট পেপারে খালি ঘর থাকলে জনগণ ভোট প্রদানের মাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারবে। যেমন যদি কোন প্রার্থীকে আমি ভোট দেয়ার জন্য উপযুক্ত মনে না করি তাহালে সাদা ঘরে/খালি ঘরে ভোট দিব এবং এই খালি ঘর গননা করা হবে।
 ৫০% এর বেশী ভোটে যদি প্রার্থী না জেতে তাহলে সে মাইনোরিটি ভোটে জিতেছে বলে বিবেচিত হবে।
 সাদা ঘরে ভোটের সংখ্যা বাড়লে রাজনীতিবিদরা প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রেত্রে বিবেচনা করবে এবং যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে।
 খালি ঘর থাকলে সংখ্যালঘুদের জন্য ভোট প্রদানের সুবিধা হবে এবং নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে।
 নাগরিক হিসেবে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে।
 জাল ভোটের সুযোগ কমে যাবে।
 ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
 অভিনব প্রক্রিয়া চালু হবে যা বিশেব একটি দৃষ্টামত্ম হিসেবে চিহ্নিত হবে। যেমন: বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রক্রিয়া।

সুপারিশঃ
সাদা ঘর প্রক্রিয়া চালু করতে প্রয়োজনে যে কোন ধরণের সহযোগীতা এবং এডভোকেসী করার জন্য নারীপক্ষ সচেষ্ট থাকবে।

 


স্মারক নং না.পে.প্র-০৬/২০০৪/৬৩১


১ আষাঢ় ১৪১১/১৫ জুন ২০০৪


বরাবর
এম.এ. সাঈদ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
শের-ই-বাংলা নগর
ঢাকা-১২০৭।

দৃষ্টি আকর্ষণঃ    জনাব মঈন উদ্দীন
                        একান্ত সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার

২০ জুন ২০০৪ নারীপক্ষ’র সদস্য ও দুর্বার নেটওয়ার্ক সদস্যদের নিম্নে বর্ণিত প্রতিনিধি দল বেলা ১১.০০ টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার-এর সাথে বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।


১. মাহবুবা মাহমুদ- সদস্য, নারীপক্ষ
২. শিরীন হক- সদস্য, নারীপক্ষ
৩. ইউ. এম. হাবিবুন নেসা- সদস্য, নারীপক্ষ
৪. অমিতা দে- সদস্য, নারীপক্ষ
৫. আকতারুন্নাহার সাকী-সহ-আহবায়ক, দুর্বার নেটওয়ার্ক
৬. ডনাই প্রু নেলী- প্রধান নির্বাচন কশিনার, দুর্বার নেটওয়ার্ক
৭. আম্বিয়া খাতুন- সহকারী নির্বাচন কশিনার, দুর্বার নেটওয়ার্ক
৮. শরীফা খাতুন- নির্বাচন কমিশনার সদস্য, দুর্বার নেটওয়ার্ক
৯. তাজনিহার বেগম- নির্বাচন কশিনার সদস্য, দুর্বার নেটওয়ার্ক
১০. শামীম আরা বেগম- নির্বাচন কশিনার সদস্য, দুর্বার নেটওয়ার্ক
১১. মাহমুদা বেগম- সভানেত্রী দুর্বার নেটওয়ার্ক, কুমিল্লা অঞ্চল
১২. মোমেনা আক্তার নয়ন- সভানেত্রী, দুর্বার নেটওয়ার্ক, চট্টগ্রাম অঞ্চল

Pin It on Pinterest

Share This