Select Page
২০২২-১১-০৯
নারীর স্বাস্থ্য ও অধিকার সংক্রান্ত এ্যাডভোকেসী পার্টনারশীপ (WHRAP) প্রকল্প

‘‘নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সুরক্ষা: আমাদের করনীয়’’ বিষয়ক সেমিনার

২৮ ভাদ্র ১৪২২/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ নারীপক্ষ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এর যৌথউদ্যোগে সিরডাপ মিলনায়তনে “নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সুরক্ষা: আমাদের করনীয়” শীর্ষক একটি সেমিনার করা হয়। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নারী বিষয়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক মাহফুজা খানম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, প্রাক্তন উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।

সেমিনারে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা.মাখদুমা নার্গিস (কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প), ডা. হালিদা আখতার হানুম (এনজিও হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারী প্রজেক্ট এবং আবাসিক প্রতিনিধি, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল), এ্যাডভোকেট ইউ.এম. হাবিবুন নেসা (সদস্য, নারীপক্ষ), ডা. মোহাম্মদ শরীফ (পরিচালক- (এমসিএই-সার্ভিস) এবং লাইন ডাইরেক্টর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। সেমিনারে জাতীয়, আর্ন্তজাতিক এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৮২ জন উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহ প্রকল্প সমন্বয়কারী সামিয়া আফরীন। উপস্থাপনায় তিনি নারীর স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৮টি এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি বিষয়ক ১৫টি সুপারিশ উত্থাপন করেন। সুপারিশমালাগুলোর মধ্যে বিশেষ করে জরুরী প্রসূতি সেবায় নারীর প্রবেশাধিকার, নারী নিজ বাড়িতে নিরাপদ প্রসব সেবা নিশ্চিত করা, সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তকে সমন্বিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয় অন্তর্ভূক্ত এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠদান সহজিকরণ করা, গর্ভকালীণ সেবার তালিকায় রক্তের গ্রুপ নির্ণয় অর্ন্তভূক্ত করা, প্রসূতি মৃত্যু সংক্রান্ত নির্ভূল তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য অত্যাবশকীয় তথ্য নিবন্ধন (ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন) চালু ও শক্তিশালী করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

সেমিনারের সংবাদ ২টি জাতীয় দৈনিক (প্রথম আলো ও ভোরের কাগজ) এবং ৪টি টেলিভিশন চ্যানেলে (সময়, মাই টিভি, দেশ টিভি ও বাংলাভিশন) সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেমিনারে সিদ্ধান্ত হয় যে, নারীপক্ষ থেকে দেয়া সুপারিশমালা এবং মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশমালা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও নারীপক্ষ পরবর্তীতে যৌথভাবে দেনদরবার ইস্যু সুনির্দিষ্ট করবে। এছাড়াও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প থেকে আগত সরকারী প্রতিনিধিগণ ভব্যিষৎ কর্মসূচিতে নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন।

মতবিনিময় সভ – ২৩ মাঘ ১৪২০/ ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

গত ২৩ মাঘ ১৪২০/ ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ রাজাপুর উপজেলায় নারীপক্ষ’র নারীর স্বাস্থ্য ও অধিকার সংক্রান্ত এ্যাডভোকেসী পার্টনারশীপ (WHRAP) প্রকল্পের সহায়তায় স্থানীয় সহযোগী সংগঠন ‘চিলড্রেন এন্ড ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট (সাইডো)’ এর আয়োজনে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ ২৪ জন উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রসূতি মৃত্যুর কারণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব- কর্তব্য, বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের করণীয় ও নিয়মিত হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রসূতি মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে দেখা যায় যে, অনেক নারী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান। উক্ত আলোচনার উপর ভিত্তি করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী অবস্থায় রোগী এলে তাৎক্ষণিকভাবে স্বেচ্ছায় রক্তদান করা এবং এই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ক হয়। সে অনুযায়ী স্থানীয় সহযোগী সংগঠন ‘সাইডো’র উদ্যোগে রক্ত দানের জন্য ৬৮ জনের রক্তের গ্রুপ, মোবাইল নম্বরসহ নামের তালিকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নোটিশ বোর্ডে টানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ জন এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জনসহ মোট ১৮ জন রোগীকে রক্ত দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ১১জন প্রসূতি নারী ।

Pin It on Pinterest

Share This