Select Page
২০২২-১১-০৯
নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগনের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্প

সাংবাদিকদের সাথে সংলাপ
নারী ও শিশুর প্রতি ন্যায়বিচারঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রেক্ষিত গবেষণার ফলাফল বিষয়ক
স্থানঃ নাসরীন হক সভাকক্ষ, নারীপক্ষ, ঢাকা
তারিখঃ ২৩ ফাল্গুন ১৪২৩/ ৭মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ২৩ ফাল্গুন ১৪২৩/ ৭মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ মিনিটে নারীপক্ষ’র নাসরীন হক সভাকক্ষে “নারী ও শিশুর প্রতি ন্যায়বিচারঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রেক্ষিত গবেষণার ফলাফল” বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপটির আয়োজন করে নারীপক্ষ, ঢাকা। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

সাংবাদিকদের সাথে সংলাপে দেশের ৭টি জাতীয় পত্রিকা- দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক যুগন্তর, দৈনিক সমকাল, দৈনিক ইনকিলাব, Bangladesh Observer, Daily Star, Bangladesh Today এরপ্রতিনিধিবৃন্দ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দাতা সংস্থার পক্ষ্য থেকে বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, কর্মসূচি সমন্বয়কারী। এছাড়াও নারীপক্ষ’র সদস্যবৃন্দ। নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা কর্মসূচি থেকে অংশগ্রহণ করেন রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক, ফরিদা ইয়াছমিন, সহ-প্রকল্প সমন্বয়কারী, লিপি রোজারিও এবং নাজমুন নাহার, প্রেগ্রাম অফিসার।

সভাটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন এডভোকেট হাবিবুন নেসা, সদস্য, নারীপক্ষ।

 

‘নারী ও শিশুর প্রতি ন্যায়বিচারঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩’ প্রেক্ষিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক

নারীপক্ষ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আওতায় দীর্ঘদিন ধরে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। বাংলাদেশে সহিংসতার শিকার নারীর বিচার প্রাপ্তির জন্য বিশেষ আইন – ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩’ রয়েছে। নারীপক্ষ ১৯৯৮ থেকে পুলিশ, স্বাস্থ্য ও বিচার বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩, প্রয়োগের কাঠামোগত ও পদ্ধতিগত সমস্যা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়। এই আইনের আওতায় দায়েরকৃত ২৯টি ধর্ষণ, ২৫টি যৌতুক, ২টি অপহরণ, ১টি এসিড আক্রমণ, ৩টি দাহ্যসহ মোট ৬০টি মামলা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। ২৭ জন সহিংসতার শিকার নারী ও ৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে নিবিড় সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মামলা দায়ের থেকে বিচারকার্য পর্যন্ত মামলার প্রক্রিয়া সম্পর্কে মতামত গ্রহণ করার মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন করেছে। এই গবেষণা লদ্ধ ফলাফল নিয়ে ১পৌষ ১৪২৩/১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, বৃহষ্পতিবার, ‘নারী ও শিশুর প্রতি ন্যায়বিচারঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ প্রেক্ষিত একটি গোলটেবিল বৈঠক করা হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকায়।

উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন জেসমিন আরা বেগম, বিচারক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১, বিশেষ আলোচক ছিলেন যথাক্রমে ফাতেমা সুলতানা শুভ্রা, সহকারী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহীন আনাম, নির্বাহী পরিচালক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, গবেষণাটি উপস্থাপনা করেন মোঃ মামুনুর রশিদ, সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ইস্টার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাশিদা হোসেন, সদস্য নারীপক্ষ এবং সভাপ্রধান ছিলেন এডভোকেট ইউ এম হাবিবুন নেসা, সদস্য, নারীপক্ষ।

সুপারিশসমূহ:
* সাক্ষ্য আইনের ধারা ১৫৫(৪) এ বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যখন ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানীর চেষ্টার পর ধর্ষণের শিকার নারী বা অভিযোগকারী দুশ্চরিত্র কিনা তা পরীক্ষা করা যাবে। মূলত নারীর চরিত্র বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া অভিযোগটিকে দূর্বল করে দেবার একটি সুযোগ সৃষ্টি করে। সাক্ষ্য আইনের মানব মর্যাদাহানিকর এই ধারার ১৫৫(৪) বিলোপ করা
* সাক্ষীর নিরাপত্তাহীনতার জন্য সাক্ষীরা স্বাক্ষ্য দিতে ভয় পায় এবং নির্যাতনের শিকার নারী মামলা আপোষ করে নেয় বা কোর্টে উপস্থিত হয় না। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন আইন নেই। সাক্ষীর নিরাপত্তা বা সুরক্ষা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে নির্যাতনের শিকার নারী এবং সাক্ষীর যাতায়াত, অবস্থান সহ সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় আইন তৈরী করা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতা ছাড়াও অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রেও সাক্ষী এবং ভুক্তভোগীগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
* সহিংসতার শিকার নারীরা যেন একটি প্রতিষ্ঠান থেকেই সব ধরণের সেবা পেতে পারে
* সহিংসতার শিকার নারীদের মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষার প্রতিবেদনে লিখা হয়- স্তন ছোট, বড়, ঝুলে আছে, যৌন কাজে অভ্যস্ত ইত্যাদি লিখা বন্ধ করা
* সহিংসতার শিকার নারী বা ক্ষতিগ্রস্থ যে কোন ব্যক্তি কোন প্রতিষ্ঠানে কি ধরণের সেবা পাবে তা পাঠ্যসূচিতে অর্ন্তভ’ক্ত করা
* প্রতিটি বিভাগে সরকারের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে
* বিষয় ও পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনটি সয়ং সম্পূর্ণ নয়। এই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত অন্যান্য আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন ইত্যাদি।

“নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতাঃ বর্তমান পরিস্থিতি, আইন ও করণীয়”
বিষয়কমত বিনিময় সভা

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ২৮ নভেম্বর ২০১৬ সোমবার বিকাল ০৪.১০ মিনিটে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালত কনফারেন্স রুমে “নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতাঃ বর্তমান পরিস্থিতি, আইন ও করণীয়” বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে নারীপক্ষ এবং হার্টকোর পিপলস ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন, জয়পুরহাট। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, জয়পুরহাট। অংশগ্রহণকারী হিসেবে ছিলেন সহকারী জজ-৩, মেজিষ্ট্রেট-৫, সরকারী আইনজীবী, পুলিশ, ডাক্তার, আইনজীবী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, সহিংসতার শিকার নারী, এবং সাংবাদিক। আয়োজনকারী সংগঠন নারীপক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন নাজমা বেগম, সদস্য, রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক ও নাজমুন নাহার, প্রেগ্রাম অফিসার এবং হার্টকোর পিপলস ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক এবং প্রকল্পের সকল কর্মীবৃন্দ সহ সভায় মোট অংশগ্রহণকারী ছিল ৪৭জন। সভাটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক, নারীপক্ষ।

‘‘নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা: বর্তমান পরিস্থিতি, আইনও করণীয় বিষয়ক’’ মতবিনিময় সভা

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৪ভাদ্র ১৪২৩/২৯ আগষ্ট ২০১৬ সম্মেলন কক্ষ, জেলা জজ আদালত, জামালপুরে ‘‘নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা: বর্তমান পরিস্থিতি, আইনও করণীয় বিষয়ক’’ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহায়তায় তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থা, জামালপুর এবং নারীপক্ষ সভা আয়োজন করে।

সভার উদ্দেশ্য ছিল পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ সম্পর্কে সংশ্ল্টি পক্ষকে অবহিত করা এবং পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারী যাতে এই আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা ও ন্যায় বিচার পায় সেই করণীয় চিহ্নিত করা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, মো: সায়েদুর রহমান খান, বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, জামালপুর। সভায় সম্মনিত অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,সহকারী জজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, পুলিশ, এসজিও প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, সমন্বয়কারী (অধিকার), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক, নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্প,শামীমা খান, নির্বাহী পরিচালক,তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থা, জামালপুর সভায় অংশগ্রহণ করেন ।

সভায় পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে জামালপুরের বর্তমান পরিস্থিতি উপস্থাপন এবং আইনটি সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে করণীয় সমম্প মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।

সাতটি দেশের সাতজন নারীর আত্মজীবনী নির্ভর শ্রুতিনাটক ‘সাত নাটক’ প্রদর্শন

নারীপক্ষ পরিচালিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় গত ১ জুন ২০১৬ বুধবার, সন্ধ্যা ৭টায় সিরাজগঞ্জ জেলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে নারী অধিকার বিষয়ক শ্রুতিনাটক ‘সাত নাটক’ প্রদর্শিত হয়। এটি মূলত সাতটি দেশের সাতজন বিশিষ্ট নারীর আত্মজীবনী নির্ভর নাটক। তাঁরা হলেন, আফগানিস্তানের ফরিদা আজিজিজ, উত্তর আয়ারল্যান্ডের ইনেজ ম্যাক কোরমাক, রাশিয়ার মারিনা পিসক্লাকোভা, গুয়াতেমালার আনাবেলা ডি লিওন, পাকিস্তানের মুখতার মাই, কম্বোডিয়ার মু সোচুয়া এবং নাইজেরিয়ার হাফসাত এবিওলা। তাঁরা কিভাবে সহিংসতার শিকার থেকে সারভাইভার হয়ে উঠেছেন তারই গল্প নিয়ে এই নাটক। এই নারীরা প্রত্যেকে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন।

নাটকটি প্রদর্শনে যৌথভাবে কাজ করে নারীপক্ষ এবং সহযোগী সংগঠন- প্রোগ্রাম ফর ওমেন ডেভেলপমেন্ট (চডউ), সিরাজগঞ্জ। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ইউএন উইমেন। নাটকের পাঠক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষক, আইনজীবী, বেসরকারি সংগঠনের কর্মসূচি পরিচালক, সাহিত্যিক, নাট্য ব্যক্তিত্য এবং সাংবাদিকসহ মোট সাতজন। দর্শক উপস্থিতি ছিল প্রায় ২২০ জন।

নাটক প্রদর্শন শেষে উপস্থিত দর্শকদের অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া জানা হয়। এই পর্বটি পরিচালনা করেন নারীপক্ষ’র সভানেত্রী রেহানা সামদানী।

আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

‘নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ৪-৫ জুন ২০১৬, শনি ও রবিবার এসবি ট্রেনিং স্কুল, রাজারবাগে ”আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন” বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণটি যৌথভাবে আয়োজন করে নারীপক্ষ এবং এসবি ট্রেনিং স্কুল। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।’

অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪জন ইন্সপেক্টর এবং ১৬জন সাব-ইন্সপেক্টর। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন এসবি ট্রেনিং স্কুলের প্রশিক্ষক ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান এবং ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান। তাঁরা দু-জনেই গত ২৬-৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, নারীপক্ষ এবং এসবি ট্রেনিং স্কুল আয়োজিত ”প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ”- এ অংশগ্রহণ করেছিলেন।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নারীপক্ষ’র সভানেত্রী রেহানা সামদানী এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে ডিআইজি ইয়াসমিন গফুর অংশগ্রহণ করেন।

 

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় ‘সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহণকারী’র সাথে মতবিনিময় সভা

দনারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্প’র আওতায় গত ০৮ চৈত্র ১৪২২/২২ মার্চ ২০১৬ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এবং ১৩ চৈত্র ১৪২২/২৭ মার্চ ২০১৬ জয়পুরহাট জেলা পরিষদ সভাকক্ষে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহণকারীর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা আয়োজন করে ওয়েলফেয়ার এফর্টস (উই), হার্টকোর পিপল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এইচপিডিও)। সার্বিক সহযেগিতা করে নারীপক্ষ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। সভা দু’টি সঞ্চালনা করেন রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক, নারীপক্ষ।

সভার প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যাড.আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার, প্রশাসক, জেলা পরিষদ, ঝিনাইদহ এবং মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), জয়পুরহাট। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পরিচালক, যুব উন্নয়ণ অধিদপ্তর; উপ-পরিচালক, সমাজ সেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের চেয়ারম্যানদ্বয়।

অংশগ্রহণকারী ছিলেন সহকারী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, শিক্ষক, ডাক্তার; সদর ও পাঁচবিবি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান; মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে কর্মসূচি কর্মকর্তা; একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কর্মকর্তা; কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সিএইচসিপি; এনজিও প্রতিনিধি, সহিংসতার শিকার নারী, এলাকা ভিত্তিক দলনেতা, স্বেচ্ছাসেবী এবং সাংবাদিকবৃন্দ। নারীপক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা, কর্মসূচি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন ও নাজমুন নাহার। ওয়েলফেয়ার এফর্টস ও এইচপিডিও সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এবং প্রকল্পের সকল কর্মীবৃন্দ।

এই সভার মাধ্যমে একদিকে সরকারের বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত, সুযোগ-সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা জনগণের সামনে তুলে ধরেন, অন্যদিকে সেবা গ্রহীতারা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো তুলে ধরেন এবং সেবার মান উন্নয়নে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। আশা করা হচ্ছে, এই সংলাপের মধ্য দিয়ে সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহণকারীর মধ্যে ইতিবাচক যোগসূত্রিতা ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরী হবে।

 

 

“নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্র বিনির্মাণ”
বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় গত ১২ মার্চ ২০১৬, শনিবার সকাল দশটায় নোয়াখালীর জেলা জজ আদালত হলরুমে “নারীর উপর সহিংসতা প্রতিরোধে বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্র বিনির্মাণ” বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে নারীপক্ষ এবং ঘরণী মহিলা উন্নয়ণ সংস্থা। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, মাননীয় বিচারপতি- হাইকোর্ট বিভাগ, সুপ্রীমকোর্ট, বাংলাদেশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মানিত বিচারক- জেলা ও দায়রা আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনাল, নোয়াখালী।

অংশগ্রহণকারী ছিলেন সহকারী জজ- ৮, মেজিষ্ট্রেট- ৫, সরকারী আইনজীবী, পুলিশ, ডাক্তার, আইনজীবী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, সহিংসতার শিকার নারী, সাংবাদিক এবং দাতা সংস্থার পক্ষ থেকে কর্মসূচি সমন্বয়কারী বনশ্রী মিত্র নিয়োগী। আয়োজক সংগঠক নারীপক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা, কর্মসূচি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন ও নাজমুন নাহার। ঘরণী মহিলা উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক পপি রহমান এবং প্রকল্পের সকল কর্মীবৃন্দ। সভায় মোট অংশগ্রহণকারী ছিলেন ৪৪জন।

সভাটি সঞ্চালনা করেন নারীপক্ষ’র সদস্য এডভোকেট ইউএম হাবিবুন নেসা।

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহণকারীর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গত ১৭ ফাল্গুন ১৪২২/২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সিরাজগঞ্জের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহণকারীর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নারীপক্ষ’র সহযোগিতায় স্থানীয় সহযোগী সংগঠন ‘প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভেলপমেন্ট’ এই সভার আয়োজন করে। মূল উদ্দেশ্য ছিল, সেবার মান উন্নয়ন, সমন্বয় এবং জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। সভায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, সমবায়, বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেবাগ্রহণকারীদের পক্ষে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, এলাকা ভিত্তিক নারীদলের সদস্য, দলনেতা, স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

এই সভার মাধ্যমে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবা প্রদানের সুযোগ-সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জনগণকে জানান। অপরপক্ষে, সেবাগ্রহীতারা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমস্যাগুওেলা তুলে ধরেন এবং সেবার মান উন্নয়ণ সম্পর্কে তাদের মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। এর ফলে একদিকে যেমন জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে তেমনি উভয়ের মধ্যে দূরত্ব কমে যোগসূত্রিতা ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

গত ২৬-৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ নারীপক্ষ ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স- এর যৌথ আয়োজনে ঢাকাস্থ এসবি ট্রেনিং স্কুল, রাজারবাগে ‘‘আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন’’ বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ বিভাগের সদস্যদের দায়িত্ব পালনকালে সেবা গ্রহীতা, বিশেষত নারী সেবাগ্রহীতার চাহিদার ভিত্তিতে পারস্পরিক সংবেদনশীল যোগাযোগ দক্ষতার উন্নয়ন সাধন এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য। মূল উদ্দেশ্য: পুলিশ বিভাগের সদস্য হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে স্বচ্ছতা সন্ধান; নারী সেবা গ্রহীতার চাহিদা ও প্রয়োজন ভিত্তিক সেবা ও আচার-আচরণের ধরন চিহ্নিতকরণ এবং সাড়াশীল আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন।

এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এসবি ট্রেইনিং স্কুলের কমান্ডেন্ট, ২জন জ্যেষ্ঠ এএসপি, ১জন এএসপি, ১৬জন ইন্সপেক্টরসহ মোট ২০জন। প্রশিক্ষণ পরিচালনায় মূল সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন নারীপক্ষ’র সদস্য ইউএম হাবিবুন নেসা। তাকে সহায়তা করেন নারীপক্ষ’র ‘নারীর প্রতি সহিংসতা মোকবিলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদার করণ (SSCI-VAW)’ প্রকল্পের কর্মসূচি কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার, মনোচিকিৎসক ফারজানা সুলতানা নীলা এবং কানিজ ফাতিমা। প্রশিক্ষণ আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন SSCI-VAW প্রকল্পের পরিচালক রওশন আরা, কর্মসূচি কর্মকর্তা নাজমুন নাহার এবং এসবি ট্রেইনিং স্কুলের এএসপি কামরুল আহসান।


সহিংসতার শিকার নারীর সেবা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

০৪ আশ্বিন ১৪২৩/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ নারীপক্ষ ও উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন’র যৌথ উদ্যোগে “সহিংসতার শিকার নারীর সেবা ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ফরিদা ইয়াসমিন, উপ-কমিশনার, উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। সভায় উপস্থিত ছিলেন আসমা সিদ্দিকা মিলি, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার, ২জন সিনিয়র সহকারী কমিশনার, ২জন সহকারী কমিশনার, ১জন পুলিশ পরিদর্শক, ৮জন উপ-পুলিশ পরিদর্শক, ৩জন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক এবং ১৭জন কনষ্টবল। নারীপক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক, ফরিদা ইয়াছমিন, সহ.প্রকল্প সমন্বয়কারী এবং ৩জন প্রোগ্রাম অফিসার, নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগনের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্প। উপ-কমিশনার সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভা শুরু করেন।

নারীপক্ষ’র পক্ষ থেকে রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক, নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগনের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ প্রকল্প সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নারীপক্ষ’র পরিচিতি সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন। লিপি রোজারিও, প্রোগ্রাম অফিসার “নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগনের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ” প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা প্রদান করেন এবং প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মেট্রো-পলিটন এলাকার ১২টি থানা পর্যবেক্ষণের (জানুয়ারী ২০১৪ থেকে জুলাই ২০১৫) অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন।

নারী ও শিশু নির্যতিন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩ এর সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করেন শাহানাজ আক্তার, প্রোগ্রাম অফিসার। পরে সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপনর নিয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় সবাই স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

 

”নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা” বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গত ১৩ আগস্ট ২০১৫ তারিখ ঝিনাইদাহ জেলায় জেলা প্রশাসক মাহাবুব আলম তালুকদার এর সভাপতিত্বে জেলা এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় মোট ৫০জন সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

সভার উদ্দেশ্যে: নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিতর সমন্বয় সাধন ও কৌশল চিহ্নিত করা।
সভার শুরতে প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা সভার উদ্দেশ্য বলেন, আমরা নারী নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি কিন্তু সাম্প্রতিকালে নির্যাতনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারও সহিংসতা প্রতিরোধে নানা ধরণের উদ্যোগ গুলি নিয়েছে। এটা মোকাবিলা করার জন্য যৌথভাবে কাজ করা অনেক জরুরী। এছাড়াও তিনি নারীপক্ষ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। এরপর ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) সংস্থার পরিচালক, শরীফা খাতুন প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ ফাইন্ডিংসসহ কিছু প্রত্যাশা বা দাবী উস্থাপন করেন। উল্লেখযোগ্য প্রত্যাশা বা দাবী যা ছিল-

* শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানী কমিটি সক্রিয় ও মনিটরিং করা
* ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা নিয়মিত করা
* সহিংসতার শিকার নারী থানায় আসলে দ্রুত ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া
* হাসপাতালে ২টা পর মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া
* থানা, হাসপাতাল ও আদালতের মধ্যে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়বৃদ্ধি করা
* সহিংসতার শিকার নারীর জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠানে যে সব সুযোগগুলো আছে তা সমন্বয়ের মাধ্যমে সুযোগগুলো পেতে সহায়তা করা
* লিগ্যাল এইড কমিটির সভা নিয়মিত করা এবং মনিটরিং ও রিপোটিং এর উদ্যোগ গ্রহণ
* নারী নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইয়থ গ্রুপ ও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা

এরপর রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক- নারীপক্ষ মুক্তআলোচনাটির সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, জেলা সিভিল সার্জন ডা: আব্দুস সালাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্ম্দ আকরামুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট অব্দুল আলীম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলকার নয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার -মানোয়ার হোসেন মোল্লা, ঝিনাইদাহ প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল, শরীফা খাতুন, পরিচালক, ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) সংস্থা। সভায় আরো অংশগ্রহন করেন সদর থানার সেকেন্ড অফিসার, কালীগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান খালেদা খাতুন, ঝিনাইদাহ পৌর কাউন্সিলর ফারজানা রেজা আরজু, জেলা তথ্য কর্মকর্তা এ এস এম কবীর, ইউপি চেয়ারম্যান ৩ জন যথাক্রমে – পাগলা কানাই ইউনিয়ন এর নজরুল ইসলাম, সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়ন এর আলীমুর রহমান, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন এর হায়দার আলী, ইউপি সদস্য সাহেলা বেগম, সাংবাদিক, র্দুবার নেটওয়াক প্রতিনিধি, নারী নির্যাতন প্রতিরাধ দলের সদস্যবৃন্দ,কালচারাল ও কিশোর গ্রুপের সদস্য প্রমুখ।

সভাপতি হিসেবে জনাব মাহাবুব আলম তালুকদার জেলা প্রশাসক বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে সরকার। সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে বিভিন্ন কমিটি সক্রিয় ও দায়িত্বশীল হবে। সভায় তৃণমূল থেকে নারী নেতৃবৃন্দ’র অংশগ্রহণ করাকে তিনি স্বাগত জানান।

”নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা” বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গত ১২ আগস্ট ২০১৫ তারিখ জয়পুরহাট জেলায় জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে জেলা এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডি এম এস এস, খঞ্জনপুর, জযপুরহাট সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় মোট ৫৭জন সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
সভার উদ্দেশ্যে: নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিতর সমন্বয় সাধন ও কৌশল চিহ্নিত করা।
সভার শুরতে প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা সভার উদ্দেশ্য বলেন, আমরা নারী নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি কিন্তু সাম্প্রতিকালে নির্যাতনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারও সহিংসতা প্রতিরোধে নানা ধরণের উদ্যোগ গুলি নিয়েছে। এটা মোকাবিলা করার জন্য যৌথভাবে কাজ করা অনেক জরুরী। এছাড়াও তিনি নারীপক্ষ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। এরপর হার্টকোর পিপলস ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, মাহবুবা বেগম প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ ফাইন্ডিংসসহ কিছু প্রত্যাশা বা দাবী উস্থাপন করেন। উল্লেখযোগ্য প্রত্যাশা বা দাবী যা ছিল-
* সহিংসতার শিকার নারী থানায় আসলে দ্রুত ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া
* হাসপাতালে ২টা পর এবং ছুটির দিনে মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া
* সহিংসতার শিকার নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার সনদ প্রদান
* ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা নিয়মিত করা
* থানা, হাসপাতাল ও আদালতের মধ্যে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়বৃদ্ধি করা
* শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানী কমিটি সক্রিয় ও মনিটরিং করা
* সহিংসতার শিকার নারীর জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠানে যে সব সুযোগগুলো আছে তা সমন্বয়ের মাধ্যমে সুযোগগুলো পেতে সহায়তা করা
* লিগ্যাল এইড কমিটির সভা নিয়মিত করা এবং মনিটরিং ও রিপোটিং এর উদ্যোগ গ্রহণ
* নারী নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইয়থ গ্রুপ ও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা

এরপর রওশন আরা, প্রকল্প পরিচালক- নারীপক্ষ মুক্তআলোচনাটির সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন প্রতিনিধি মোঃ শামসুদ জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ জেড এম ছবির উদ্দিন, পিপি (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুন্যাল) এড. ফিরোজা চৌধুরী, জেলা জজ প্রতিনিধি , ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদনুর আমীন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিস মোঃ ফিরোজ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, পৌর মেয়র আব্দুস আজিজ মোল্লা, পাচঁবিবি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনোয়ার হোসেন, উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দৌলতুন নাহার, জেলা মহিলা ষিষয়ক কর্মকর্তা – সাবিনা সুলতানা, জেলা শিশু ষিষয়ক কর্মকর্তা – উমা রানী দাস, পৌর কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আবু সালেহ মো: মাসুদুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান ২ জন যথাক্রমে – বালিঘাটা ইউনিয়ন পাচঁবিবি এর মোঃ আব্দুল বারী, মোহাম্মদাবাদ ইউপি সদস্য রেহান আক্তার, সাংবাদিক, র্দুবার নেটওয়াক প্রতিনিধি, নারী নির্যাতন প্রতিরাধ দলের সদস্যবৃন্দ,কালচারাল ও কিশোর গ্রুপের সদস্য প্রমুখ।
সভাপতি হিসেবে জনাব আব্দুর রহিম জেলা প্রশাসক বলেন, বাল্য বিবাহ একটি প্রকট সমস্যা, ইভটিজিং কমে এসেছে। যৌতুকের জন্য নারী সহিংসতার শিক্রার হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে সরকার। প্রত্যেকেই নিজের অবস্থান থেকে কাজ করবেন। বিভিন্ন কমিটি সক্রিয় করা হবে। সভায় তৃণমূল থেকে নারী নেতৃবৃন্দ’র অংশগ্রহণ করাকে তিনি স্বাগত জানান।

”নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা” বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গত ৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখ জামালপুর জেলায় জেলা প্রশাসক মো: শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে জেলা এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিতর সমন্বয় সাধন ও কৌশল চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় মোট ৫০ জন সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রওশন আরা প্রকল্প পরিচালক নারীপক্ষ, শামীম খান, নির্বাহী পরিচালক, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থ সহ জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: মোশায়ের উল ইসলাম, জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক খন্দকার আজিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর। সভায় আরো অংশগ্রহন করেন সদর ও মেলান্দহ থানার ওসি তদন্ত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার, সদর ও মেলান্দহ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, যুব উন্নয়ন উপ পরিচালক, প্রধান শিক্ষকদ্বয়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, লেডিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক,র্দুবার নেটওয়াক প্রতিনিধি, নারী নির্যাতন প্রতিরাধ দলের সদস্যবৃন্দ,কালচারাল ও কিশোর গ্রুপের সদস্য প্রমুখ।

সভার শুরুতে প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা সভার উদ্দেশ্য এবং নারীপক্ষ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। সভাপতি হিসেবে জনাব মো:শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে সরকার। এনজিও রা সরকারের সেবার মান উন্নয়নে এবং কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করছে । সরকারী ও বেসরকারী সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে স্কুল কমিটি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সহ বিভিন্ন কমিটি সক্রিয় ও দায়িত্বশীল হবে। তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করার জন্য তিনি নারীপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং সভায় তৃণমূল থেকে নারী নেতৃবৃন্দর অংশগ্রহন করাকে তিনি স্বাগত জানান। তিনি পুলিশ ফাঁড়িতে মহিলা পুলিশ দেওয়া হবে বলে জানান এবং স্কুলে যৌণহয়রানী কমিটিকে সক্রিয় করার জন্য তিনি উপস্থিত প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ প্রদান করেন।

”নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা” বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গত ৩০ জুলাই ২০১৫, সিরাজগঞ্জে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে ”নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা” বিষয়ক দিনব্যাপী অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও কৌশল চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এই কর্মশালা অয়োজন করা হয়। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর আর্থিক সহায়তায় নারীপক্ষ পরিচালিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্র্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সহযোগী সংগঠন ‘প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভেলপমেন্ট (পিডাব্লিউডি)’ আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউল আহসান তালুকদার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আশরাফ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুননাহার এবং সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. সালমা লাইজু। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার নাইমা আফরোজ ইমা, ইসমাইল হোসেন, সাবেক পিপি এডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদার, সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি মাহফুজার রহমান, মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার ফাহিমা আল আশরাফ, কামারখন্দ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শম্পা রহমান, নারী নেত্রী এডভোকেট শামীমা ইয়াসমিন রিমা, সদর থানার ওসি (তদন্ত) অহিদুজ্জামান, ডা. শরিফুল হক সিদ্দিকী, মফিজউদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দে, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের সদস্য রাশিদা পারভীন, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎস্না মন্ডল। কর্মশালাটি সার্বিক আয়োজন করেন পিডাব্লিউডি- এর প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ‘নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম এবং জনগণের অংশগ্রহণ জোরদার করণ’ প্রকল্পের প্রকল্প-পরিচালক রওশন আরা। প্রকল্প কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন সহ-প্রকল্প সমন্বয়কারী ফরিদা ইয়াছমিন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর সঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ এর প্রস্তাবিত সংশোধনী’ কর্মশালা প্রসঙ্গে

১৬ চৈত্র ১৪২১/৩০ মার্চ ২০১৫ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং নারীপক্ষ আয়োজিত বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর সঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ এর প্রস্তাবিত সংশোধনী’ বিষয়ক কর্মশালা করা হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় তারিক-উল-ইসলাম, সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সভাপতিত্ব করেন। নারী ও শিশু বিষয়ক আইন সংস্কার ও বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), আইনজীবী ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন নারীপক্ষ’র সদস্য রীনা রায়।
‘নারী ও শিশু নির্যাতন কঠোরভাবে দমনের জন্য ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত আইন প্রনয়ন এবং সংশোধন হওয়া সত্ত্বেও অদ্যবধি নারী নির্যাতনের একই চিত্র পরিলক্ষত হয়। এর কারণ হচ্ছে এই আইন এর ক্রটি বিচ্যুতি, ফাঁক-ফোকর, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং হয়রানীমূলক অপব্যবহার ইত্যাদি। এর ফলে সহিংসতার শিকার নারী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উক্ত কর্মশালা থেকে প্রস্তাবিত সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান আইনের ক্রটি বিচ্যুতি দূর করার জন্য কর্মশালা থেকে যেসব প্রস্তাব বা সুপারিশ উঠে আসে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। যেমন; বয়স ১৬ থেকে ১৮ করা, নারী ও শিশু অপহরণের চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইনের আওতায় আনা, যৌতুকের কারণে আত্মহত্যার প্ররোচনাকেও অপরাধ হিসেবে সংযুক্ত করা ইত্যাদি।

Pin It on Pinterest

Share This