Select Page
২০১৭-০৯-২৫
শরণার্থীদের জন্য জরুরী সেবা প্রদানে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

স্মারক নং- না.প- ৯/২০১৭-১৩৪

১০ আশ্বিন ১৪২৪/২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭


সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
শরণার্থীদের জন্য জরুরী সেবা প্রদানে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি


মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ ও নির্যাতনের কারণে সাড়ে চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক শরণার্থীদের প্রায় ৮০ ভাগই নারী ও শিশু, যারা যৌন সহিংসতা এবং মানব পাচারের অতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। গত ১৭-১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে নারীপক্ষ’র প্রতিনিধি উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মোট পাঁচটি আশ্রয় শিবির ও এলাকা পরিদর্শন করে। শরণার্থীদের সাথে কথা বলে ও পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বেশির ভাগ রোহিঙ্গা পরিবারের সাথে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সদস্য নেই। এছাড়া তাদের অসহায়ত্বের সুযোগে পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।

উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা রয়েছে তা বিশাল জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল এবং রাতে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নেই। আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, আনুমানিক প্রায় ৫০,০০০ গর্ভবতী নারী আগামী চার মাসের মধ্যে সন্তান প্রসব করবেন।

এমন মানবেতর পরিস্থিতে শরণার্থীদের, বিশেষত নারীর শারীরিক ও মানসিকসহ সার্বিক নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও স্বস্তি নিশ্চিত করতে নারীপক্ষ জোড়ালোভাবে নিম্নোক্ত দাবি পেশ করছে:
১. আশ্রয় শিবিরগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সার্বক্ষণিক জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং সেখানে কর্মরত সরকারী ও বেসরকারী চিকিৎসা দলগুলোকে রাতে থাকার ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করুণ
২. গর্ভবতী ও প্রসূতি নারী এবং নবজাতক শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা দেয়াকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করুন
৩. নারীদের নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় শিবিরে পুলিশি পাহারা জোরদার, বিশেষ করে নারী পুলিশ মোতায়েন করুন
৪. যেহেতু মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থীর ৮০ ভাগই নারী ও শিশু সেহেতু ত্রাণকার্যে অধিক সংখ্যক নারী কর্মী অন্তর্ভুক্ত করুণ
৫. আশ্রয় শিবিরগুলোতে নারী ও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় মোকাবেলায় মনোস্তাত্বিক-সামাজিক কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

বার্তা প্রেরক,

রীনা রায়
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ।

Pin It on Pinterest

Share This