Select Page
২০২২-১১-০৮
৭১ এর যে নারীদের ভুলেছি

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর কর্তৃক ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদের সম্মান, মর্যাদা এবং বেঁচে থাকার পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারীপক্ষ ”৭১ এর যে নারীদের ভুলেছি” শিরোনামে একটি কর্মসূচী পরিচালনা করছে। কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য:

  • দেশ-বিদেশে জানা-অজানা সকল বীরাঙ্গনার মর্যাদা ও সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা

  • যে ক’জন বীরাঙ্গনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে তাঁরা যাতে আর্থিক দিক দিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া- অন্ততপক্ষে তাঁদের প্রয়োজনমতো গৃহায়ন ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যাবস্থা করা

  • সরকারী-বেসরকারী সর্বত্র তাঁদের প্রতি লিখনে, বলনে, ভাষণে এবং ভাষা ও শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা; রাষ্ট্রীয় দলীল-পত্রাদিতেও এই পরিবর্তন আনা।

মূল কর্মসূচী: এই উদ্যোগটি মূলত ৩টি ধারায় করার পরিকল্পনা রয়েছে, যথা:
১. চিকিৎসা সাহায়তা
২. অর্থায়ন
৩. সম্মান ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা/Reparation

উপরোক্ত কাজগুলো সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক পাঁচটি কর্মদল রয়েছে, যথা:

১. চিকিৎসা সহায়তা: শিরীন হক এবং তামান্না খান
২. অর্থায়ন: রুবী গজনবী এবং পারভীন হাসান
৩. সাংস্কৃতিক কর্মসূচী: ফিরদৌস আজীম, তামান্না খান, রেহানা সামদানী কণা। প্রয়োজনে সারা যাকের এবং নায়লা আজাদ এর কাছ থেকে সহযোগিতা নেওয়া হবে
৪. আইনী উদ্যোগ: ইউ.এম. হাবিবুন নেসা, কামরুন নাহার ও সামিয়া আফরীন।

১৯৭১ এর বীরাঙ্গনাদের যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং তাঁরা যেন আর্থিক স্বচ্ছলতার সাথে জীবন যাপন করতে পারেন তার জন্য রাষ্ট্র যাতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই বিষয়ে নারীপক্ষ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করছে। ‘বীরাঙ্গনা’ নামাকরণ বিষয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী দূরীভূত করে তাঁদের মর্যাদা ও সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়সভা করেছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যে স্বাক্ষী হিসেবে বীরাঙ্গনাদের অন্তর্ভূক্ত করার আবেদন জানিয়ে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ এ যোগাযোগ করেছে।

‘বীরাঙ্গনা’ পদবীর মর্যাদা ও সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ধারার কাজের অংশ হিসেবে ”৭১ এর যে নারীদের আমরা ভুলেছি” প্রতিপাদ্য বিষয়ে ”আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার”- ২০১২ অনুষ্ঠান উদ্যাপন এবং ”কালের যাত্রায় ভুলেছি যাঁদের” শিরোনামে ‘বিশ্ব নারীদিবস’ ২০১২ উদ্যাপন করেছে।

নারীপক্ষ নিজে এবং সমানুভূতি সম্পন্ন ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সিরাজগঞ্জের ২১ জন বীরাঙ্গনার প্রত্যেককে সেখানকার ‘উত্তরণ মহিলা সংস্থা’ এর মাধ্যমে গত মার্চ ২০১২ থেকে মাসিক অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে। প্রাথমিক পর্যায়ে উক্ত বীরাঙ্গাদের জরুরী চিকিৎসা সহায়তা ও অন্যান্য খরচের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কর্ম-পরিষদ রয়েছে। সদস্যরা হলেন:

১. ফিরদৌস আজীম (সমন্বয়কারী)
২. তামান্না খান
৩. ইউ.এম. হাবিবুন নেসা
৪. শিরীন হক
৫. মাহবুবা মাহমুদ লীনা
৬. পারভীন হাসান
৭. রীনা সেন গুপ্তা
৮. রুবী গজনবী
৯. নাসিম আহমেদ শিপ্রা
১০. রেহানা সামদানী কনা
১১. সাদাফ-সায্-সিদ্দিকী
১২. খুশী কবির
১৩. কামরুন নাহার
১৪. সামিয়া আফরীন।

Pin It on Pinterest

Share This