Select Page
২০২২-১১-০৮
নারীবান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচী

বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার বিশ্বের অন্য সকল দেশের চেয়ে বেশী। দেশের ৫৪% নারী জীবনের কোন না কোন সময় স্বামী বা বন্ধুর দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়েছে। দেশের ১৪% মাতৃমৃত্যুর কারণও সহিংসতা। অর্থাৎ মাতৃমৃত্যুর সাথে সহিংসতার একটি যোগসূত্রতা আছে। আরো দেখা গেছে মাত্র ৫% নারী প্রসবজনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছে- তাও সময়মত আসে নি।
নারীরা যাতে হাসপাতালের সেবা গ্রহণ করতে আসে সেজন্য হাসপাতালগুলোতেই নারীর উপযোগী ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
হাসপাতালের সেবার মান বা তার অভাব অনেক সময় সেবা গ্রহণে নারীদের নিরুৎসাহিত করে। সেবার মান উন্নত করতে হলে শুধু যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্রের ব্যবস্থা থাকলেই চলবেনা, সার্বিক ব্যবস্থা ও সেবাদানকারীদের আচরণ এবং ব্যবহারেও পরিবর্তন আনতে হবে। সকল সরকারী হাসপাতালে সেবার মান উন্নত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
উক্ত বিষয়াদি বিবেচনা করেই হাসপাতালগুলোকে নারীবান্ধব করার উদ্দ্যোগ নেয়া হয়।

নারীবান্ধব হাসপাতালের সংজ্ঞাঃ
নারীবান্ধব হাসপাতাল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে–

  • নারীরা সম্মান, মর্যাদা এবং ন্যায্যতার সাথে  স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
  •  নারীরা পর্যাপ্ত এবং যথপোযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পাবে এবং তা হবে সময়মত ও রুগীর অবস্থার প্রেক্ষিতে
  •  একটি নারীকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিতে হবে যাতে সে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারে এবং সে যা চায় সে সম্বন্ধে তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এবং তার বক্তব্য গৃহীত হয়।

নারীবান্ধব হাসপাতালের লক্ষ্যঃ

  • দুর্দশাগ্রস্থ সমাজের চ্যালেঞ্জে বসবাসরত নারীদের চাহিদা ও আত্মমর্যাদার প্রতি সম্মান রেখে তাদের সংগে ভাল ব্যবহার করা হয়
  • হাসপাতালে বিদ্যমান চিকিৎসা সেবাসমূহ নারীরা যাতে পায় তা নিশ্চিত করা
  •  নারীরা চিকিৎসার ব্যাপারে যাতে তাদের অভিমত জানাতে সক্ষম হয় এবং চিকিৎসা দাবি করতে পারে
    • প্রসব সংক্রান্ত চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যুর হার কমানো হবে
    • সহিংসতার শিকার নারীদের সাহায্যার্থে উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
    • নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে হাসপাতালকে ব্যবহার করার সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করবে
    • হাসপাতালের মধ্যে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করবে
    • চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীর প্রতি ন্যায়বিচার করার জন্য সহযোগিতা করবে
    • নারীর জন্য গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর সংগে সংযোগ স্থাপন করবে

নারীবান্ধব হাসপাতালের উদ্দেশ্যঃ

  • নারীর জন্য চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তিসাধ্য (যাতে সহজে পায়) করা
  • নারীর চিকিৎসা পাওয়ার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা

নারীবান্ধব হাসপাতালে সেবাদান নিশ্চিত করতে হলে চারটি বিষয় সামনে রাখতে হবেঃ

  • নারীর জন্য চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তিসাধ্য (যাতে সহজে পায়) করা
  •  সেবাদানকারী নারীকে যথাযথ সম্মানের সাথে গ্রহণ করতে হবে এবং তাকে প্রাপ্য মর্যাদাসহ সুবিচারের সাথে চিকিৎসা দিতে হবে
  • সাধ্যমত এবং সময়মত নারীকে প্রয়োজনীয় এবং যথাযথ সেবা দিতে হবে
  • সেবাদানের কর্মসূচী সম্পর্কে যেসব তথ্য আছে রুগীকে তা সরবরাহ করতে হবে বা জানাতে হবে যাতে রুগী তার প্রয়োজন ও পছন্দমত চিকিৎসা গ্রহণে সিদ্ধামত্ম নিতে এবং মতামত জানাতে পারে
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীরা যাতে যথাযথ অবদান রাখতে পারে তার জন্য তাকে সহায়তা প্রদান করতে হবে

চারটি ক্ষেত্রে নারীবান্ধব হাসপাতাল কাজ করবেঃ
    ১. মানসম্মত সেবা প্রদান
    ২. শিশু ও মায়ের চিকিৎসা (প্যাকেজ)
    ৩. নারীর প্রতি সহিংসতা ঘটনার ব্যবস্থাপনা
    ৪. নারী পুরুষ সম্পর্কে নিরপেক্ষতা/ ন্যায় বিচার

কিভাবে নারীবান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচী বাস্তবায়িত হবেঃ
হাসপাতালগুলোকে নারীবান্ধব করতে হলে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসকল ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থাকবেন – স্বাস্থ্য কর্মী (বিভিন্ন শাখার ডাক্তার, মনোবিজ্ঞানী, সেবিকা, প্যারামেডিক ইত্যাদি), আইনবিদ, হাকিম এবং বিচারক; সংবাদ কর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য এবং জনপ্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

হাসপাতাল কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে। এ লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন করতে হবে।
হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে হাসপাতালে কি আছে কি নেই এবং একটি বেইজ লাইন তথ্য সম্বলিত তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। নারীবান্ধব কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই তালিকার ভিত্তিতে হাসপাতালের চাহিদা নিরূপণ করতে হবে। চাহিদার ভিত্তিতে একটি কর্ম পরিকল্পনা গঠন করতে হবে। (ষ্টেকহোল্ডার কমিটি উপরোক্ত ক্ষেত্রের প্রতিটির জন্য চাহিদাগুলো কি হবে নিরূপণ করবে)
 
১. ষ্টেকহোল্ডার কমিটি
হাসপাতাল প্রতিনিধি দলে থাকবেন কমপক্ষে ৮ জন সদস্য, এলাকার প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত কমিটির চেয়ে অমত্মত: একজন কম।

ভূমিকাঃ

  • হাসপাতালের চাহিদা নির্ধারণ করবে এবং এর ভিত্তিতে কর্ম পরিকল্পন গঠনে সহযোগিতা করবে।
  • কাজের অগ্রগতি পরীক্ষা করে দেখবে
  • সংশ্লিষ্ট সকল উদ্যোগ পরিবীক্ষণ করবে
  • সকল উদ্যোগের/সহায়তার সমন্বয় করবে
  • হাসপাতালে সেবাদানকারীদের সহযোগিতা করবে
  • স্থানীয় এলাকার জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াবে
  • কতদিন পর পর সভা অনুষ্ঠিত হবে ঠিক করবে এবং নিয়মিত সভা ডাকবে
  • এলাকার প্রতিনিধির সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে
  • চাহিদা অনুযায়ী এ্যাকশন প্ল্যান হলো কিনা নিশ্চিত করতে হবে

২. নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যবস্থাপনা কমিটি
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সমাজকর্মী, আইন সহায়তা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, এনজিও কর্মী, সাংবাদিক এবং এলাকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এর সদস্য হবেন।

কমিটির দায়িত্ব-

  • নির্যাতনের শিকার নারীকে একজন মানুষ হিসেবে গ্রহণ করা হলো কিনা দেখবে
  • তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চিকিৎসা দেয়া হলো কিনা দেখবে
  • সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা/সুবিধা না থাকলে অধিকতর ভাল জায়গায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হলো কি না দেখবে।
  • যানবাহনের ব্যবস্থা করবে, হাসপাতালে ব্যবস্থা না থাকলে কমিউনিটির সাহায্যে যানবাহনের ব্যবস্থা করবে (এ ব্যাপারে এনজিওদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে)
  • আইন সহায়তা প্রদানের জন্য এলাকার আইন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের (পুলিশ, এনজিও) সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
  • চিকিৎসার সকল স্তরে চারজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি থাকবে নির্যাতনের শিকার নারীর চিকিৎসা দেবার জন্য।
  • যথোপযুক্ত পরীক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা থাকবে এবং রুগীর তথ্য যথার্থভাবে এবং যথাযথভাবে নথীভুক্ত করে সংরক্ষণ করতে হবে
  • প্রয়োজন অনুযায়ী কোথাও রুগীকে পাঠাতে হলে (referral) তার ব্যবস্থা হাতের কাছে থাকবে

৩. বাস্তবায়ন কমিটি
প্রধানত হাসপাতাল কর্মকর্তা কর্মচারী এর সদস্য হবেন তবে স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধি, এনজিও কর্মী এখানে সদস্য হিসেবে থাকতে পারেন।


কমিটির দায়িত্ব-

  • কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং নারীবান্ধব হাসপাতালের চাহিদা অনুযায়ী কাজগুলো সম্পাদিত হচ্ছে কিনা দেখবে, না হলে অন্যান্য কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সেগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সমস্যা থাকলে তা চিহ্নিত করবে এবং সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
  • হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে

স্থানীয় এনজিওদের ভূমিকাঃ

  • নারীবান্ধব হাসপাতালের মালিক জনগণ, এ ব্যাপারে তাদের সংগঠিত করা। মালিকানার জন্য এলাকার জনগণকে কার্যকর ভাবে সমাবেশিত/একত্রিত করা
  • মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা
  • নারীবান্ধব হাসপাতাল বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বর্ধিত করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা
  • হাসপাতালের চাহিদা নিরূপণের ভিত্তিতে হাসপাতালের কর্মী, স্থানীয় এনজিও/সিবিও প্রতিনিধি এবং স্টেকহোল্ডার কমিটির সমন্বিত প্রচেষ্টায় গঠিত হবে কর্ম পরিকল্পনা । কর্ম পরিকল্পনা  বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাসপাতালকে নারীবান্ধবরূপে পরিগণিত করা হবে
  • কমিউনিটিতে কি কি সম্পদ আছে চিহ্নিত করবে এবং প্রয়োজনে রুগীর জন্য তা ব্যবহার করার উদ্যোগ নেবে
  • কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না একজন এনজিও কর্মী সার্বক্ষণিক হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করবে/li>

মানসম্মত সেবা দানঃ
একটি হাসপাতালকে নারীবান্ধব করতে হলে তিনটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে –

১. ব্যক্তি : যিনি রুগীকে গ্রহণ করবেন তিনি ভাল ব্যবহার করবেন এবং দক্ষতার সাথে চিকিৎসাও করবেন। সবার আগে ভাল ব্যবহার করতে হবে। নারীর স্বাস্থ্য রক্ষা ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সমাজের দায়িত্ব। সমাজ দাবী করলে হাসপাতালে নারীর চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে নজর দেবেন।
 
২. কাঠামো (অবকাঠামো): দালান, যন্ত্রপাতি, সুযোগ সুবিধা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসা বিভাগের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ থাকা, এর মধ্যে আরও থাকবে –

  • স্বাস্থ্যসেবার প্রতি সমাজের অঙ্গীকার
  •  যারা সেবা দেন তাঁদের ইতিবাচক মনোভাব

৩. সমাজ : হাসপাতাল সমাজের অংশ সুতরাং জনগণের প্রয়োজনে সমাজকে সাড়া দিতে হবে। নারীর প্রতি সামাজের মনোভাব/দৃষ্টিভঙ্গী নির্ধারণ করবে হাসপাতালটিকে কতটা নারীবান্ধব করা যায়। চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন আনার জন্য সামাজের জনগণ হাসপাতালকে প্রভাবিত করবে যদি সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সমাজের কথা শুনতে চায়। অপরদিকে হাসপাতালে গৃহীত পরিবর্তনসমূহও সমাজের ধারণা ও চর্চাকে প্রভাবিত করতে পারে। দেখা যাচ্ছে যে নারীবান্ধব হাসপাতাল সৃষ্টিতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী এবং অন্যান্য অনেকের প্রচেষ্টা এতে সম্পৃক্ত থাকবে।  

নারীবান্ধব হাসপাতালের মান (Criteria) :

১. মানসম্মত সেবা দান:

  • নারীর প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের মাধ্যমে একটি সহানুভূতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে
  • নারীর আত্মমর্যাদার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তাকে পরীক্ষা করার জন্য নিরিবিলি স্থান থাকবে, তার গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে
  • হাসপাতাল ও কমিউনিটির সক্রিয় এবং এবং সম্মিলিতভাবে নারীর অধিকার নিশ্চিত করবে, নারীর আত্ম মর্যাদা রক্ষা করবে এবং কর্মীর ভালো কাজের স্বীকৃতি দেবে
  • হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং মানুষ হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য আসবে এবং চিকিৎসা পাবে
  • চিকিৎসকগণের প্রায়োগিক/ পেশাগত দক্ষতা থাকবে
  • হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র ও যন্ত্রপাতি থাকবে
  • রুগী ও সেবাদানকারীর মধ্যে ভাল সম্পর্ক থাকবে
  • রুগীকে তথ্য জানাবে ও পরামর্শ দেবে
  • রুগী তথ্য ও পরামর্শের ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধা নেবে
  • সুচিন্তিত যত্ন এবং অন্যান্য চিকিৎসা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে
  • সেবাদানের/চিকিৎসার ধারাবাহিকতা থাকবে এবং ফলো-আপ করা হবে
  • যারা সেবা দান করেন তাদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে

২. মা ও শিশু বান্ধব প্যাকেজ :

  • জরুরী প্রসব সংক্রান্ত চিকিৎসা সহজ ও দ্রুততার সাথে নিশ্চিত করতে হবে। রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য সার্বক্ষণিক দক্ষ চিকিৎসক থাকবেন এবং আনুষঙ্গিক সকল প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র থাকবে
  • প্রোটকলে বর্ণিত নির্দেশনামত গর্ভকালীন অবস্থায় পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকবে, রুগীকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরামর্শ দেয়া হবে, নিরাপদ প্রসব এবং জন্মের পর শিশুর যত্ন করা হবে, পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে উপদেশ দেয়া হবে
  • প্রোটকল অনুযায়ী জন্মের পর শিশুরযত্ন নেয়া হবে
  • শিশুকে যাতে অবধারিতভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় তার জন্য সকল প্রকার পদক্ষেপ নিতে হবে 

৩. নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যবস্থাপনা:

  • নির্যাতনের শিকার নারীকে একজন মানুষ হিসেবে গ্রহণ করা হলো কিনা দেখবে
  • তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চিকিৎসা দেয়া হলো কিনা দেখবে
  • সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা/সুবিধা না থাকলে অধিকতর ভাল জায়গায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হলো কি না দেখবে।
  • যানবাহনের ব্যবস্থা করবে, হাসপাতালে ব্যবস্থা না থাকলে কমিউনিটির সাহায্যে যানবাহনের ব্যবস্থা করবে (এ ব্যাপারে এনজিওদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে)
  • আইন সহায়তা প্রদানের জন্য এলাকার আইন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের (পুলিশ, এনজিও) সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
  • চিকিৎসার সকল সত্মরে চারজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি থাকবে নির্যাতনের শিকার নারীর জন্য
  • যথোপযুক্ত পরীক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা থাকবে এবং রুগীর তথ্য যথার্থভাবে এবং যথাযথভাবে নথীভুক্ত করে সংরক্ষণ করতে হবে
  • প্রয়োজন অনুযায়ী কোথাও রুগীকে পাঠাতে হলে (referral) তার ব্যবস্থা হাতের কাছে থাকবে

৪. নারী পুরুষ সম্পর্কের ন্যায্যতা :

  • সর্বপ্রথম নারীকে একজন মানুষ হিসেবে বিচার করতে হবে। একজন ব্যক্তি হিসেবে তাকে গ্রহণ করতে হবে। নারীর যে বিশেষ কিছু চাহিদা আছে তা আমলে (address) নিতে হবে অর্থাৎ গর্ভধারণ, প্রসব জনিত সমস্যা, বুকের দুধ পান করানো ইত্যাদি
  • ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কি কি দেয়া হল তার হিসেব রাখলে শুধু হবে না চিকিৎসার পর কি ফলাফল হলো তাও দেখতে হবে অর্থাৎ নারীর চাহিদা পুরণ হলো কিনা দেখাতে হবে
  • নারীর প্রতি যাতে সুবিচার দেয়া হয় তা নিশ্চিত করতে হবে

কর্ম এলাকা ও হাসপাতালের নাম সিবিও সংগঠনের প্রধানের নাম ও ঠিকানা

নং কর্ম এলাকা সিবিও সংগঠনের প্রধানের নাম ও ঠিকানা
১. জয়পুরহাট নির্বাহী পরিচালক
মাহবুবা বেগম
হার্ট কোর পিপল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন
খনজপুর, জয়পুরহাট ।
২. কক্সবাজার নির্বাহী প্রধান
বিমল চন্দ্র দে সরকার
মুক্তি কক্সবাজার
সারদা ভবন, গোলদিঘীর পাড়,
কক্সবাজার।
৩. রাজবাড়ী সোহেলী রহমান
মহিলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা
২৮নং (পৌরসভা মার্কেট), রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী।
৪. চট্টগ্রাম মনোয়ারা বেগম
নির্বাহী পরিচালক
সৈয়দ বাড়ী, ৯০৩/এ, ওমর আলী মাতববর রোড (বদ্দরবাড়ীর নিকটে)চান্দগাঁও চট্টগ্রাম
৫. ভৈরব মতিউর রহমান (সাগর)
নিবার্হী পরিচালক
সাদ বাংলাদেশ,
আমলাপাড়া, কমলপুর, ভৈরব।
৬. চৌগাছা নিবার্হী পরিচালক
এঞ্জেলা গোমেজ
বাচঁতে শেখা
আরবপুর, যশোর।
৭. নীলফামারী নিবার্হী পরিচালক
মুর্শেদ আলম সরকার
পিপলস ওরিয়েন্টেড পোগ্রাম ইমপি¬মেন্টেশন (পপি),
৫/১১ এ , ব¬ক-ই, লালমাটিয়া, ঢাকা
৮. মানিকগঞ্জ মো: শফিউদ্দিন
সমন্বয়কারী
গণ কল্যাণ ট্রাষ্ট
রিং রোড, আদাবর (ব্র্যাক ব্যাংক এর ৩য় তলা)
শ্যামলী, ঢাকা
৯. শেরপুর শামসুল হুদা
নির্বাহী পরিচালক
উন্নয়ন সংঘ ,
নিউ কলেজ রোড,সরদার পাড়া
জামালপুর – ২০০০ ।
১০. জামালপুর, মহসিন আলী
নিবার্হী পরিচালক
ওয়েভ ফাউন্ডেশন
দর্শনা বাসষ্টান্ড, পোষ্ট: দর্শনা
জেলা: চুয়াডাঙ্গা (যোগাযোগ কারী আনোয়ার হোসেন)
১১. মৌলভীবাজার
১২. নড়াইল
১৩. বড়লেখা
১৪. কালিয়া
১৫. ঠাকুরগাও রবিউল আজম
নিবার্হী পরিচালক
মানব কল্যাণ পরিষদ (এমকেপি)
বাসষ্ট্যান্ড রোড, ঠাকুরগাঁও
সদর হাসপাতালের পূর্ব পাশে, ঠাকুরগাঁও
১৬. গাইবান্ধা এম আবদুস ছালাম
নিবার্হী প্রধান
গণ উন্নয়ন কেন্দ্র
নসরতপুর, গাইবান্ধা
১৭ লালমনিরহাট ফিরোজা বেগম
নিবার্হী পরিচালক
পারিবারিক আয় উন্নয়ন মহিলা সংস্থা (ফিডা)
তালুকবানীনগর
পোষ্টঃ মেহেরনগর,উপজেলাঃ কালিগঞ্জ, লালমনিরহাট
১৮. কুড়িগ্রাম নির্বাহী পরিচালক
সাইদা ইয়াসমিন
এ,এফ,এ,ডি
কালিগঞ্জ বাজার, আর,কে রোড, কুড়িগ্রাম-৫৬০০
১৯. মাদারীপুর নির্বাহী পরিচালক
ফরিদা ইয়াসমিন লাকী
মাদারীপুর মহিলা উন্নয়ন সংস্থা
মাদরীপুর পৌরসভা, মাদারীপুর
২০. মাগুরা নির্বাহী পরিচালক
লায়লা কানিজ বানু
রুরাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি), মাগুরা
২১. কিশোরগঞ্জ নির্বাহী পরিচালক
সানজিদা খানম
বন্ধন সোসাইটি
মুকসেদপুর, কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ
২২. গোপালগঞ্জ শেখ দেলোয়ার হোসেন
নির্বাহী পরিচালক
সাউর্দান গন উন্নয়ন সমিতি
৩২০ নতুন স্কুল রোড, মোহাম্মদপাড়া, গোপালগঞ্জ
২৩. ফরিদপুর আসমা আক্তার মুক্তা
নির্বাহী পরিচালক
রাসিন
১৬৫/১ মধ্য আলীপুর (নতুন গোডাউন রোড)
ফরিদপুর
২৪. সিরাজগঞ্জ
২৫. সুনামগঞ্জ

 

Pin It on Pinterest

Share This