স্মারক নং- না.প- ১১/২০১৭-১৭৭
৩০ কার্তিক ১৪২৪/১৪ নভেম্বর ২০১৭
বরাবর
মেহের আফরোজ চুমকি
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিষয়: নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ, হত্যা ঘটনার বিচার ও এই ধরনের ঘটনা রোধে জরুরী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি
মহোদয়,
দেশব্যাপী একের পর এক নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ অক্টোবর ২০১৭ রাত সাড়ে আটটায় বাসে পতেঙ্গা থেকে চাঁদগাঁও মৌলভীপুকুর পাড় যাওয়ার পথে এক নারী পোশাককর্মী ঐ বাসের চালক ও চালকের সহকারী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন।
ঢাকাসহ সারাদেশে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস নৌযানে নারীরা ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আপনি জানেন, ২০১৩ মানিকগঞ্জে বাসে পোশাক শ্রমিক ধর্ষণ, ২০১৫ রাজধানীতে মাইক্রোবাসে গারো তরুণী ধর্ষণ, গাজীপুরে নৌকায় চার মাঝি দ্বারা নারী শ্রমিক ধর্ষণ, ২০১৬ ময়মনসিংহে বাসে নারীকে ধর্ষণ, বরিশালে বাস চালক ও সহকারী কর্তৃক দুইবোন ধর্ষণ, ২০১৭ সালে ২ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ট্রাকে কিশোরী ধর্ষণ, ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে বাসচালক ও তার সহকারী পাঁচ পরিবহন শ্রমিক কর্তৃক তরুণী রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা, ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় চলন্ত বাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টাসহ অনেকগুলো ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। চলন্ত বাসসহ যাবাহনে ধর্ষণের এসব ঘটনায় গণপরিবহণে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে আমরা যেমন শঙ্কিত তেমন এসব ঘটনার পরিত্রাণে সরকার তথা রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
তাই, গণপরিবহণসহ সকল স্থানে নারী ও শিশুর নিরাপদে চলাচল নিশ্চিত করার জন্য আপনার মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ মনোযোগ দাবি করছি। সেইসাথে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করতে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করারও দাবি জানাচ্ছি।
ধন্যবাদসহ,
রীনা রায়
সভানেত্রী (ভারপ্রাপ্ত)
সদয় অবগতির জন্য: এ কে এম শহীদুল হক, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা ।