Select Page
২০১৭-০৯-২০
নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ, হত্যা ঘটনার দ্রুত বিচার ও এই ধরনের ঘটনা রোধে জরুরী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রীকে চিঠি

স্মারক নং- না.প- ৯/২০১৭-১২৯

৫ আশ্বিন ১৪২৪/২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭


বরাবর
মেহের আফরোজ চুমকি
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

বিষয়: নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ, হত্যা ঘটনার দ্রুত বিচার ও এই ধরনের ঘটনা রোধে জরুরী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

মহোদয়,
দেশব্যাপী একের পর এক নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারী – জুন ২০১৭ পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৮০টি। এর মধ্যে ১৬ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ৫ জন ধর্ষণ জনিত কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারি – জুলাই ২০১৭ পর্যন্ত ৩৫২টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৭ এর জানুয়ারি – জুন পর্যন্ত সারাদেশে ধর্ষণের মামলা হয়েছে ১,৯১৪ টি।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস নৌযানে, নারীরা ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। গত ২৫ আগষ্ট ২০১৭ সালে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের একজন নারী কর্মী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। ২০১৩ সালে মানিকগঞ্জে বাসে পোশাক শ্রমিক ধর্ষণ, ২০১৫ সালে রাজধানীতে মাইক্রোবাসে গারো তরুণী ধর্ষণ, গাজীপুরে নৌকায় চার মাঝি দ্বারা নারী শ্রমিক ধর্ষণ, ২০১৬ সালে ময়মনসিংহে বাসে নারীকে ধর্ষণ,বরিশালে বাস চালক ও সহকারী কর্তৃক দুইবোন ধর্ষণ, ২০১৭ সালে নারায়নগঞ্জে ট্রাকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা সমূহ পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হয়।


পরিবহণ মালিকদের গাফিলতি, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মীর ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য না নেওয়া, নারীকে মর্যাদার দৃষ্টিতে না দেখা ইত্যাদি কারণে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা চলেছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা, বিশেষ করে ধর্ষণের মত ঘটনায় মামলার দীর্ঘসূত্রিতা ও যথাযথ বিচার সম্পন্ন না হওয়ার কারণেও ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিবহণসহ সকল স্থানে নারী ও শিশুর নিরাপদে চলাচল নিশ্চিত করার জন্য আপনার মন্ত্রণালয়ে সর্বোচ্চ মনোযোগ দাবি করছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করতে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে বিনীত অনুরোধ করছি।


নারীপক্ষ একটি নারী সংগঠন। ১৯৮৩ সাল থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ও নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। নারীপক্ষ বর্তমানে ৩৯টি জেলায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা মনে করি, আপনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ নারীর বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

ধন্যবাদসহ,

রেহানা সামদানী
সভানেত্রী
সদয় অবগতির জন্য: এ কে এম শহীদুল হক, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা।

Pin It on Pinterest

Share This