স্মারক নং- না.প- ০১/২০১৮- ২৬
১০ মাঘ ১৪২৪/২৩ জানুয়ারি ২০১৮
বরাবর
মোস্তাফা জব্বার
মাননীয় মন্ত্রী,
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সচিবালয়
ঢাকা- ১০০০
বিষয়: চেকবইসহ ব্যাংক সংক্রান্ত যাবতীয় যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদানে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার প্রযুক্তি চালু করা
মহোদয়,
আপনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হওয়ায় নারীপক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একজন প্রতীথযশা তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসায় আমরা অনেক বেশী গর্বিত ও আশান্বিত।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গর্বিত অধ্যায় এবং এই গর্ব এখন সারা পৃথিবী জুরে ছড়িয়ে গেছে একুশে ফেব্রুয়ারি “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” ঘোষণার মধ্য দিয়ে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দীর্ঘ এত বছরেও আমাদের দেশে দাপ্তরিক কাজে সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের প্রচলন করা হয়নি! আরো দুঃখজনক এই যে, দেশীয় ব্যাংকসমূহে যেটুকু বাংলা ব্যবহারের প্রচলন ছিল, গত প্রায় ৫ বৎসর ধরে ডিজিটালকরণের অজুহাতে তাও উঠে গেছে, যেমন ব্যাংক হিসাবের নাম চেকবইসহ বিভিন্ন দলিলে বাংলায় লেখা হতো, চেক বইও বাংলায় ছিল। অথচ এখন সর্বত্র ব্যাংক হিসাবের বাংলা নাম রোমান হরফে লিখতে হচ্ছে। ব্যাংক কর্র্র্তৃপক্ষের বক্তব্য হলো, বাংলা হরফে চেকবই করা সম্ভব নয়, কারণ কম্পিউটার বা এই সংক্রান্ত প্রযুক্তিতে সেই ব্যবস্থা নেই। নারীপক্ষ’র সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনার নেতৃত্বে, চেকবইসহ ব্যাংক সংক্রান্ত যাবতীয় যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদানে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার জন্য ভূমিকা নেবেন।
আপনার বেশকিছু উদ্যোগ ও উদ্ভাবন ইতিমধ্যেই আমাদের কম্পিউটারসহ তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহারকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমরা আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এবং বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এই সমস্যা সমাধানে আপনি অধিক মনোযোগী হবেন।
ধন্যবাদসহ,
তামান্না খান
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ