স্মারক নং- না.প- ০৫/২০১৮-
১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫/৩০ মে ২০১৮
বরাবর
আসাদুজ্জামান খান
মাননীয় মন্ত্রী
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিষয়: অবিরাম নারী ও শিশু ধর্ষণ রোধে জরুরী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি
প্রতিদিন দেশব্যাপী একের পর এক ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। দেড় বছরের শিশু থেকে সত্তুর বছরের বৃদ্ধা; সংখ্যাগুরু অথবা সংখ্যালঘু, ধনী-দরিদ্র, উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত, সকল শ্রেণি-পেশার নারী ও শিশুই এই নৃসংশতার শিকার হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মে ২০১৮ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ত্রিপুরা পল্লীর কিশোরী সুকুলতি ত্রিপুরা প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আবুল হোসেন তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সুকুলতি এবং প্রতিবেশী ছবি রানী ত্রিপুরাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে। আবুল হোসেন ছাড়া তার দলের বাকী তিনজন এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। নারীপক্ষ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার সাথে যুক্ত প্রত্যেককে দ্রæত গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করার জোর দাবি জানিয়েছে।
নারী মাত্রই পুরুষের অধস্তন এবং ভোগ্যবস্তু- এই দৃষ্টিভঙ্গী ও আচার-আচরণ এবং দেশে আইনের শাসনের প্রচন্ড অভাবেই এই সহিংসতা মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা নিরসনে নারীপক্ষ দেশে কার্যকর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ সকল অপরাধ, অপকর্ম এবং অরাজকতা দূর করতে সরকারের সর্বমহলের প্রতি বার বার জোর দাবি জানিয়ে আসছে। গত ৩০ কার্তিক ১৪২৪/১৪ নভেম্বর ২০১৭ আপনার বরাবর নারীপক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়, যা আবার সংযুক্ত করা হলো। তথাপি সরকারের তরফ থেকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ দৃশ্যমান নয়।
নারীপক্ষ আবারও এ বিষয়ে আপনার এবং আপনার মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের গভীর মনোযোগ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
অর্চনা বিশ্বাস
সভানেত্রী, নারীপক্ষ
সদয় অবগতির জন্য: এ কে এম শহীদুল হক, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা ।