স্মারক নং- না.প. ০৭/২০১৮-
২৪ আষাঢ় ১৪২৫/৮ জুলাই ২০১৮
বরাবর,
তাসমিমা হোসেন
সম্পাদক,
দৈনিক ইত্তেফাক
বিষয়: জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রথম নারী সম্পাদক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা
প্রিয় বোন তাসমিমা হোসেন,
আপনি দেশের প্রথম সারির ঐতিহ্যবাহী জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ এর সম্পাদক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। বাংলাদেশে এই প্রথমবার একজন নারী কোন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হলেন, এটি আমাদের আনন্দ ও গর্বের মাত্রাকে অনেকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। নারীপক্ষ’র সকল সদস্য ও কর্মীর পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
আমাদের সমাজে নারীর জন্য কোন অর্জনই সহজসাধ্য নয়, সে ক্ষেত্রে আপনি একাধারে রাজনীতি এবং সাংবাদিকতা জগতে আপনার যোগ্যতা ও নৈপুণ্য প্রমান করেছেন। আপনার ‘পাক্ষিক অনন্যা’ পত্রিকাটি ইতিমধ্যেই বহুল পরিচিতি এবং পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। গত প্রায় ত্রিশ বছর ধরে এই পারিবারিক পত্রিকাটির মাধ্যমে আমাদের নারীদের জীবনগাঁথা যেমন জনসমক্ষে উঠে এসেছে তেমন গৃহকন্যা থেকে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, শিক্ষাক্ষেত্র, রাজনৈতিক অঙ্গনে নিরলস লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেসব নারী প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তাঁদেরকে আপনি স্বীকৃতি দিয়েছেন, সম্মানিত করেছেন ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’ ও ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার’ এ ভূষিত করে। আপনার হাত ধরে অনেক নারীই সাংবাদিকতা জগতে এসেছেন, প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে সফলতার সাথে কাজ করছেন। আপনি নিজেই কেবল একজন গুণীজন নন, অন্যের গুণের কদরও যে করতে জানেন এ সবই তার প্রমান।
সমাজ ও মানুষের সেবায়ও আপনার ভূমিকা, অবদান উল্লেখযোগ্য। অনেক বিপন্ন, অসহায় মানুষ আপনার সহায়তা পেয়েছে এবং পাচ্ছে। নারীপক্ষ পরিচালিত ‘৭১ এর যে নারীদের ভুলেছি’ কর্মসূচির আওতায় বীরাঙ্গনাদের মাসিক ভাতা প্রদানে আপনার আর্থিক অনুদান আমাদের বিশেষভাবে সহায়তা করছে। আপনি নারীপক্ষ’র একজন বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী। আমাদের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতেও আপনি এরকম দৃঢ়তার সাথে নিজেকে যেমন সাফল্যের উচ্চ শিখরে নিয়ে যাবেন তেমন সমগ্র নারী সমাজের অগ্রগতি সাধনের ক্ষেত্রে আপনার কর্মকান্ডকে আরও বেগবান ও শক্তিশালী করবেন।
আরও একবার শুভেচ্ছাসহ,
অর্চনা বিশ্বাস
সভানেত্রী, নারীপক্ষ।