১৯৮৩ সনে সমমনা কয়েকজন মিলে যাত্রা শুরু করি, নারীর পক্ষে পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে। এই লড়াই শুরুর ক্ষণেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমাদের যাত্রা কতটা কঠিন, কতটা দুর্গম। সেই পথে বিশটি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। অনেক না-পারার কষ্ট, অনেক সাফল্য জড়িয়ে আছে এর মধ্যে। এই পথ চলার বিভিন্ন সময়ে আমরা পাশে পেয়েছি আপনাদের। আপনাদের সহযোগিতা, সমর্থন আজ আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। আপনারা আমাদের অভিবাদন গ্রহণ করুন।
সেদিন ভেবেছিলাম নারী আন্দোলনের একটি ধারা প্রবর্তিত হওয়া প্রয়োজন। যে ধারাটি সম্পূর্ণ দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত একটি স্বতন্ত্র এবং সম্পূর্ণ স্বাধীন মঞ্চ স্থাপন করবে। যে মঞ্চ থেকে শুধু নারী বলেই নারীর কথা বলা যাবে। সেখানে প্রয়োজন নেই পোশাকী শিক্ষার। শুধু নারী হবার কারণে জীবনে যে বঞ্চনা, যে বৈষম্য এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে শিশু জীবন থেকে বড় হতে হয়েছে, সে অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েই কথা বলা যাবে।
শ্রেণীগত ভিন্নতা থাকলেও নারীর অবস্থানগত ভিন্নতা নেই পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে। ব্যক্তি মানুষের পরিচয় ছাড়িয়ে তার প্রথম পরিচয় সে “কন্যা, জায়া, জননী”। প্রথাগত এই চিন্তা-চেতনা থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়। যুক্তিতর্কে অন্যরকম সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাসী হলেও, দৈনন্দিন জীবনে তা প্রতিফলিত হয় না। সুতরাং নারীর জন্য সমাজে যে অবস্থান নির্ধারিত, তাকে প্রশ্ন করাটাও সহজে মেনে নেয়া হয় না। এমন কি নারী নিজে তার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান পরিবর্তনের কথা বললেও তাকে মেনে নিতে হয় প্রথাগত সমাজ ব্যবস্থা। না মানলেই বাঁধে সংঘাত।
গত বিশ বছরে নারীপক্ষ’র সাংগঠনিক চর্চার মধ্যদিয়ে গড়ে উঠেছে নারী অধিকার আন্দোলনের একটি স্বতন্ত্র ধারা। এই সাথে গড়ে উঠেছে সংগঠনের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা। নিজেদের বাস্তব জীবনের উপলদ্ধি আর অভিজ্ঞতা নিয়েই হয়েছে সব তর্ক-বিতর্ক, তৈরী হয়েছে বিশ্লেণ। এই বিশ্লেণের মধ্যদিয়ে নারীপক্ষ তার এক একটি অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
নারীর প্রতি যে বৈষম্য সমাজের পরতে পরতে, তা সমূলে উৎপাটিত করাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। এই বৈষম্য ঘর থেকে সমাজে। সমাজ থেকে রাষ্ট্রে। বিশ্বব্যাপী। এর ক্ষেত্র প্রসারিত সংস্কৃতিতে, ধর্মে, শিক্ষায় ও নাগরিক অধিকার চর্চায়।
১৯৮৮ সাল। তদানীন্তন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সাধারণ মানুষের দুর্বলতম স্থান ধর্মকে পুঁজি করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলো। সমনাগরিকত্বের দাবীতে আন্দোলনরত কর্মী হয়ে কিছুতেই এই ঘোষণা মেনে নিতে পারলাম না। ৮৩তে যার যাত্রা শুরু ৮৮তে এসে সেই ক্ষুদ্র শক্তি নিয়ে রুখে দাঁড়ালাম। সেদিন পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল অনেকেই সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে, ব্যক্তিগত সমর্থন দিয়ে। গড়ে উঠেছিল এক বলিষ্ঠ আন্দোলন। রাজপথে মিছিল, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক অধিকার ক্ষুণœ করায় আদালতে রীট আবেদন। শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রাষ্ট্র ধর্ম আন্দোলনে যে প্রেক্ষিতটিকে আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়েছি, তা হচ্ছে রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি। ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাস। এই বিশ্বাসকে ব্যক্তি পর্যায়ে রাখাই হচ্ছে আমাদের দাবী। রাষ্ট্র হবে সর্বজনীন। তাই আমাদের শ্লোগান Ñ “যার ধর্ম তার কাছে, রাষ্ট্রের কি বলার আছে”।
গর্ভধারণ ক্ষমতা নারীর জন্য শক্তি না হয়ে অনেক সময়ই বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। নারীর নিজের শরীরের উপর নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। একটি মেয়ের জন্মের সাথে সাথে ধরে নেয়া হয় সে জন্মেছে সন্তান জন্ম দেবার জন্যই। সুতরাং শৈশব থেকেই আদর্শ মা, আদর্শ স্ত্রী হিসেবে তাকে প্রস্তুত করা হয়। এখানে তার মানবিক ও নাগরিক অধিকার আবর্তিত হয় স্বামীকে কেন্দ্র করে। নারীর শরীর এবং মনের উপর স্বামীর একক অধিকার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে স্বীকৃত। সুতরাং সন্তানধারণ এবং পরিবারে তার ভূমিকা সম্পূর্ণভাবে স্বামী বা স্বামী গৃহের ব্যক্তিদের বিবেচনার উপর নির্ভরশীল। সন্তানের জন্মদান ও লালন পালন নারীর জীবনে একটি বড় দায়িত্ব বলে বিবেচিত। সমাজ নারীর মাতৃরূপকে স্তুতি আর প্রগলভতায় বিরাট একটি স্থান দিয়ে থাকে। অথচ সন্তানের উপর নেই তার অভিভাবকত্বের অধিকার। সেখানে আইনগতভাবে মা হচ্ছে সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণকারী মাত্র। মাতৃগর্ভে ও স্তন্য পানে লালিত সন্তানের অভিভাবকত্ব পেতে হলে আদালতে যেতে হয় মাকে। এমনই আইন দেশে। আমাদের দাবী সন্তানের উপর প্রথম অধিকার থাকবে মায়ের। তাই বিশ্বের সকল নারীর সুরে সুর মিলিয়ে বলছি Ñ
“জন্ম দিলাম স্তন্য দিলাম তবুও সোনা আমার নয়, এ কেমন আইন দেশের, এ আইনতো মানার নয়।”
সর্বংসহা নারী, মাতৃরূপিনী নারী, সকল কামনা বাসনা লোভ হিংসার উর্ধ্বে শুধু দিতে জানে, নিতে জানে না। সন্তানের জন্য, স্বামীর জন্য, পরিবারের জন্য নিজের ব্যক্তি জীবনের সমস্ত আশা-আকাক্সক্ষা বিসর্জন দিয়ে দেবীরূপে সমাজে আসীন। অন্যদিকে যে নারী গতানুগতিক ঘর-সংসারের বাইরে বসবাস করে, সে পতিতা, সমাজে তার পতন ঘটেছে। সমাজ সংসার তার জন্য নয়। এই নারী চলনে বলনে ধৈর্যে সহনশীলতায় অপাংত্তেয়। অচ্ছুত সে। তার মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার সম্পূর্ণভাবেই অবহেলিত। আর যে নারী এই দুই মেরুকরণের মাঝখানে, তার অবস্থান কোথায়? গৃহিণী নারী এবং পতিতা নারী সমাজ নারীর জন্য এই দুই অবস্থান বেঁধে দিয়েছে। যৌনকর্ম করে যে নারী জীবনযাপন করে, সমাজ তাকে সম্মান না দিলেও তার অস্তিত্ব স্বীকার করে। কিন্তু মধ্যবর্তী যে নারী? যে নারী সমাজে, পরিবারে গতানুগতিকভাবে জীবনযাপন করতে বাধ্য হয় না; তার অস্তিত্ব কতটুকু গ্রহণযোগ্য? তাকে বইতে হয় অনেক দুর্ভোগ, দাঁড়াতে হয় সমাজের কাঠগড়ায়। বারবার জবাব দিতে হয় পরিবারের সদস্যদের কাছে।
যৌন পেশায় নিয়োজিত নারীদের সমাজে অবস্থান থাকলেও বিয়ের বাইরে যৌন সম্পর্ক করার কারণে সে নিন্দনীয়; নৈতিকতা বিবর্জিত নারী বলে চিহ্নিত। যৌনকর্মীদের শত বৎসরের আবাসস্থল ক্ষমতাসীন দলের একজনের ইচ্ছায় যখন মধ্যরাতে লন্ডভন্ড করে দেয়া হল, লুটপাট হয়ে গেল তাদের সবকিছু, তখনও তাদের জীবিকার জন্য যে পেশা তার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে রক্ষণশীল সমাজ থেকে। প্রশ্ন ওঠে নারী আন্দোলনের ভেতর থেকে। পুনর্বাসন নামক প্রহসনের মধ্যদিয়ে হারিয়ে যায় তাদের মানবাধিকারের প্রশ্ন। নারীপক্ষ’র নেতৃত্বে মানবাধিকার কর্মীরা শরীক হয় যৌনকর্মীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে; গড়ে তোলে যৌনকর্মীদের মানবাধিকার রক্ষায় ‘সংহতি’ নামে মোর্চা।
চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের প্রস্তুতিপর্বে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী সংগঠনগুলোকে নিয়ে নারীপক্ষ আটটি কর্মশালার আয়োজন করে এবং জয়দেবপুরে নারী সংগঠনসমূহের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরী হয় নারী অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়সমূহের উপর অবস্থানপত্র। সম্মেলন শেষে অংশগ্রহণকারীদের দাবীর ফলশ্রæতিতে গড়ে উঠেছে ৬৪টি জেলায় ৪৫০টি নারী সংগঠন নিয়ে আজকের “দুর্বার নেটওয়ার্ক”।
সমাজে নিম্ন অবস্থানের কারণে ঘরে বাইরে যৌন আক্রমণসহ নানা প্রকার নির্যাতনের শিকার হয় নারী। এই আক্রমণ ও আক্রমণের ভয় তাকে সব সময় কুঁকড়ে রাখে। তার পৃথিবী সংকুচিত করে। এই সংকোচন তৈরী হয় ভাষায়, পরিবারে ও সমাজে নারীর প্রতি আচার আচরণে। ধর্ষণের শিকার হবার পর তাকেই আবার ধর্ষিতা, নির্যাতিতা ইত্যাদি ভাষায় সম্বোধন করা হয়; তার সম্ভ্রম ও ইজ্জতহানির কথা বলা হয়। নারীপক্ষ এ ধরনের ভাষার বিরোধিতা করে। অপরাধের শিকার ব্যক্তির সম্ভ্রম ও ইজ্জতহানির প্রশ্ন উঠে না। এই ভাষা নারীর উপর সংগঠিত অপরাধকে সারা জীবনের জন্য তার পরিচয়ের সাথে বেঁধে ফেলে। তার উপর আরোপিত হয় ইজ্জত-সম্ভ্রম সম্পর্কে সমাজের ভ্রান্ত ধারণা। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি দলিলে যে ভাবে ‘দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে’ দেশ স্বাধীন করার কথা বলা হয়েছে, সরকারের কাছে নারীপক্ষ এর পরিবর্তন দাবী করেছে। নারীপক্ষ মনে করে সহিংসতা রোধে আইন-কানুন করলেই হবে না, পরিবর্তন করতে হবে নির্যাতনের শিকার নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ ও সাংস্কৃতিক চর্চা।
সমতা ভিত্তিক বিশ্ব গড়তে সহিংসতা মুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র অত্যাবশ্যক। আমরা সহিংসতা মুক্ত দেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিগত দিনগুলোতে নারী আন্দোলনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি, বিশ্লেণ করেছি। এই বিশ্লেণ নিয়ে গেছি প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের কাছে। দেখেছি তাদের শক্তি, চিন্তা-চেতনায় স্বচ্ছতা এবং তাদের দৃঢ়তা। সবাই মিলে মিলিত হয়েছি নারীর অধিকার আদায়ের এই লড়াইয়ে; কবির ভাষায় ঘোষণা করেছি Ñ
“ছিন্ন আশার ধ্বজা তুলে,
ভিন্ন করব নীলাকাশ।
হাস্য মুখে অদৃষ্টরে
করব মোরা পরিহাস।”
ন্যায়ভিত্তিক পৃথিবী চাইলে নিজেকেও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। সমতার পৃথিবী চাইলে নিজেকেও সমতার জন্য কিছু ছাড়তে হবে। সকল অবিচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। একটি ভিন্ন আকাশ গড়তে হবে, যে আকাশ তলে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, অত্যাচারীদের ঠাঁই হবে না। সেখানে মানুষের মর্যাদা সমুন্নত থাকবে এবং মানবাধিকার রক্ষা হবে দৈনন্দিন জীবনচর্চায়।
নারীকে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে অধিকারসম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সাল থেকে নারীপক্ষ কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিটি মঙ্গলবার সদস্যরা সভায় বসেছে। এই সভা নারীর নিজস্ব কথা বলার একটি জায়গা এবং নারীপক্ষ’র সকল তৎপরতা ও আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল।
নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা অর্জনের জন্য নেয়া হয়েছে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট ও ভিন্নধর্মী কর্মসূচী যেমন: নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড পরিবীক্ষণ, স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, নারী নির্যাতন বিষয়ক গবেষণা, নির্বাচন পূর্বে প্রার্থীদের সঙ্গে নারীর জন্য করণীয় বিষয়ে সংলাপ ইত্যাদি। তাছাড়া রয়েছে নিয়মিত আলোচনা সভা, নারীর প্রতি বৈষম্য, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নারী অধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা প্রভাবিতকরণ। নারী আন্দোলনের একটি শক্তিশালী স্বতন্ত্র মঞ্চ তৈরীর জন্য দেশব্যাপী গড়ে তোলা হয়েছে নারী সংগঠনসমূহের নেটওয়ার্ক ‘দুর্বার’।
নারীপক্ষ পরিচালিত হয় সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রম ও সময় দিয়ে। বেশীর ভাগ সাংগঠনিক কর্মকান্ডের ব্যয় নির্বাহ হয় এই স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত আয়ের মাধ্যমে। তবে নারীপক্ষ’র আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেয়া হয় যা বাস্তবায়নে প্রয়োজন সার্বক্ষণিক কর্মী ও অবকাঠামো। এই সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে নেয়া হয়।
নারীপক্ষ মূলত পাঁচটি ক্ষেত্রে কাজ করে:
১. নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন
২. নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার
৩. পরিবেশ ও উন্নয়নে নারীর অবস্থান
৪. নারীর প্রতি সহিংসতা ও মানবাধিকার
৫. সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমে নারীর অবস্থান
নারীপক্ষ
র্যাংগস নীলূ স্কয়ার (৫ম তলা) সড়ক- ৫/এ, প্লট- ১,৩,৫,
সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯, বাংলাদেশ।
ফোন : ৮৮০-২-৮১১৯৯১৭, ফ্যাক্স : ৮৮০-২-৮১১৬১৪৮
ওয়েব সাইট :www.naripokkho.org.bd
ই-মেইল : naripokkho@gmail.com
প্রকাশকাল : ৩০ বৈশাখ ১৪১০ / ১৩ মে ২০০৩
www.naripokkho.org.bd