রবীন্দ্রনাথের ভাগ্নী। স্বর্ণকুমারী দেবী এবং জানকীনাথ ঘোষালের তৃতীয় সন্তান এবং দ্বিতীয় কন্যা।
১২৭৯ বঙ্গাব্দের ২৫ ভাদ্র [৯ সেপ্টেম্বর ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ] জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
শৈশবে তিনি লেখাপড়ার হাতে হাতে খড়ি হয়েছিল গৃহশিক্ষক সতীশ পণ্ডিতের কাছে। সাড়ে সাত বছর বয়সে তিনি বেথুন স্কুলে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করার পর ভর্তি হন বেথুন কলেজে। এই কলেজ থেকে এফ.এ পাশ করেন এবং ওই একই কলেজ থেকে ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজিতে অনার্স পাশ করেন।
১৩০২-১৩০৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ইনি হিরন্ময়ী দেবীর সাথে ভারতী পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। স্বদেশী দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রচারের লক্ষ্যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। ১৯১০ সালে এলাহাবাদে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে তিনি একটি নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলন আহ্বান করেন। এই সম্মেলনেরই উদ্যোগে ‘ভারত-স্ত্রী-মহামণ্ডল’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৫ সালে তিনি মৃ্ত্যুবরণ করেন।
ইনি বহু রবীন্দ্র-সঙ্গীতের স্বরলিপি করেছেন। তাঁর সংগৃহীত মহীশূর অঞ্চলের গান এবং বাংলা বাউল গান থেকে রবীন্দ্রনাথ বেশ কিছু ভাঙা গান রচনা করেছিলেন।
তাঁর রচিত গ্রন্থ
সঙ্গীত শতগান (১৩০০)
গীত-ত্রিংশতি (১৯৪৫)
জীবনের ঝরাপাতা (১৮৭৯ শকাব্দ)