১ ইহজাগতিকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা:
নারীপক্ষ একটি ইহজাগতিক সংগঠন। নারীপক্ষ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে, যা ধর্মীয় বা পরজাগতিক চিন্তা-চেতনা নির্ভর নয়; বরং গণতান্ত্রিক ও সমতাভিত্তিক। নারীপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতা চর্চায় বিশ্বাসী অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সংগঠনের কর্মী ও সদস্যগণ তাদের আচার-আচরণ, কথা-বার্তা, আলাপ-আলোচনায় অসাম্প্রদায়িক।
বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল:
নারীপক্ষ সকলকে সম-মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে মনে করে। ব্যক্তির জন্ম, শারীরিক, মানসিক, যৌন, জাতিগত, পারিবারিক, ভাষাগত, আর্থ-সামাজিক ইত্যাদি পরিচয়ের ভিত্তিতে বিবেচনা করে না।
বৈষম্যহীনতা:
নারীপক্ষ বৈষম্যহীনতায় বিশ^াস করে এবং এর নিয়ম-নীতি, চর্চা পক্ষপাতহীন।
গণতন্ত্রের চর্চা:
সংগঠনে প্রত্যেকের সহজে এবং স¦তঃস্ফূর্তভাবে নিজের চিন্তা-ভাবনা ও মতামত প্রকাশের সুযোগ আছে।
স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা:
সংগঠনের সকল কর্মকান্ড, আয়-ব্যয়, নিয়ম-নীতি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সকলের অভিগম্যতা রয়েছে এবং সকল প্রশ্নের জবাব প্রদানে সংশ্লিষ্টরা দায়বদ্ধ।
মুক্ত চিন্তা-চেতনা:
নারীপক্ষ গণতান্ত্রিক ও মানবিক পৃথিবী গড়ার চিন্তা-চেতনা ধারণ করে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্দশিক নারীবাদী চিন্তা-চেতনা এবং ধ্যান-ধারণার ধারক