স্মারক নং- না.প. ০৪/২০১৩- ১৪৭
১১ বৈশাখ ১৪২০/২৪ এপ্রিল ২০১৩
বিষয়: আর কত লাশ হবে শ্রমিকের ?
সাভারের শপিং কমপ্লেক্স ‘রানা প্লাজা’ ধসে প্রায় একশত শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং ছয় শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় আমরা সংক্ষুব্ধ, ক্রুদ্ধ, এবং হতবাক। পত্রিকান্তরের খবরে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ফাটল দেখা দেয়ার পরপরই ৯ তলা বিশিষ্ট ঐ ভবনে থাকা চারটি গার্মেন্ট কারখানা ও ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তাহলে কে বা কারা ভবনটিকে ঝুঁকি মুক্ত ঘোষণা করলো এবং কার নির্দেশেই বা শ্রমিকরা বুধবার সকালে আবারও কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন? ভবন কর্তৃপক্ষ বা কারখানা মালিকরা কি কোন বিশেষজ্ঞ এর অনুমোদন বা মতামত নিয়েছিলেন পুনরায় ভবনটি ব্যবহারের জন্য? এরকম আরো অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যার কোন উত্তর এখনো জানা নেই। তবে এটা নিশ্চিত যে, ভবন কর্তৃপক্ষ বা কারখানা মালিকরা যদি প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করতেন তাহলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটত না। মালিকপক্ষের অতিমুনাফার লোভ, দায়িত্বহীনতা, নীতিহীনতা, অসততা এবং ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম প্রতিরোধ ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে সরকারের ব্যর্থতার কারণে এই ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটে চলছে। এই ধরনের আর একটি মৃত্যুও আমরা দেখতে চাই না। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ উদ্ঘাটন করে তার প্রতিকার ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও দোষীদের বিচারের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
রওশন আরা বেবী
আন্দোলন সম্পাদক