স্মারক নং- না.প- ১১/২০১৬- ২৬০
২৪ কার্তিক ১৪২৩/৮ নভেম্বর ২০১৬
বিবৃতি
বিষয়: পুলিশ ও স্থানীয় মস্তান বাহিনী কর্তৃক গাইবান্ধার সাঁওতালপল্লীতে বর্বরোচিত হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
পত্রিকান্তরে প্রকাশ, গত ৬ নভেম্বর ২০১৬ গাইবান্ধার গবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জের সাঁওতাল অধ্যুষিত মাদারপুর গ্রামে পুলিশ এবং স্থানীয় মস্তান বাহিনী বর্বরোচিত হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং মালামাল লুটপাট করে। এতে ছয়শতাধিক ঘরবাড়ি পুরে যায় এবং সেখানকার একজন সাঁওতাল পুরুষ নিহত ও বহু সংখ্যক মারাতœক আহত হন। সর্বশ্ব হারিয়ে সেখানকার পুরুষ বাসিন্দারা এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, আর নারীরা আতঙ্কিত দিনাতিপাত করছেন। নারীপক্ষ এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন এবং শঙ্কিত।
পুলিশের এ হেন “রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা” আমরা আগেও বহুবার দেখেছি; তাই স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, পুলিশ প্রশাসন কার জন্যে? সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য, না কি অন্যায়-অত্যাচারকারী, গুন্ডা-মস্তানদের সহায়তা ও লালন-পালন করার জন্য। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় কি এর জবাব দেবেন?
নারীপক্ষ’র দাবি, এই ঘটনাসহ দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের উপর সংঘটিত সকল সহিংস ও বর্বরোচিত হামলার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে যুক্ত প্রত্যেককে অবিলম্বে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।
বার্তা প্রেরক,
রীনা রায়
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ।