স্মারক নং- না.প. ০২/২০১৫-৪৪
১৭ ফাল্গুন ১৪২১/১ মার্চ ২০১৫
প্রতিবাদ বিবৃতি
বিষয়: অভিজিৎ হত্যাসহ দেশ জুরে চলমান জ্বালাও-পোড়াও, গুম-খুন-হত্যা, নির্বিচার ‘ক্রসফায়ার‘ ও জেল-জুলুমের প্রতিবাদ এবং বিচার দাবি
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রের কাছে সশস্ত্র পুলিশী নিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকায় লেখক, মানবতাবাদী ও ‘মুক্তমনা‘ ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বস্নগার অভিজিৎ রায়ের নৃশংস হত্যাকান্ডে আমরা স্তম্ভিত, মর্মাহত এবং বিক্ষুব্ধ। কয়েক বছর আগে এই ফেব্রুয়ারি মাসে এই একই এলাকায় একইভাবে অধ্যাপক লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর এ ধরনের হামলা হয়েছিলো। সেই আঘাতের ফলে তিনি কয়েকদিন পর মারা যান। ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারিতে মেরে ফেলা হয় ব্লগার রাজীবকে। হত্যা করা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকসহ আরো অনেককে। আজ অবধি এর কোনটিরই যথযথ বিচার হয়নি, দোষীরা শাস্তি পায়নি। সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীনতা, দায়িত্ব-কর্তব্যহীনতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার অভাব ও নীরব দর্শক হয়ে থাকার সুযোগে হত্যাকারীরা দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং নির্বিঘ্নে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে চলেছে।
গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে জনগণের নামে সারা দেশ জুরে চলছে জ্বালাও-পোড়াও, গুম-খুন-হত্যা এবং নির্বিচার ‘ক্রসফায়ার‘ ও জেল-জুলুম; প্রকৃতপক্ষে যার মূলে রয়েছে ক্ষমতা ও অবৈধ অর্থ-বিত্ত লাভের নোংড়া লড়াই। এসবের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চাইলেই হামলা-মামলা, জেল-জুলুম করে বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করা হচ্ছে। দেশের অসহনীয় পরিস্থিতি আজ চরম পর্যায়ে। এসবের বলি হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং এই মুহূর্তে এর অবসান চাই। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি। কোনভাবেই যাতে দোষীরা পার পেয়ে না যায় এবং এ ধরনের আর একটি ঘটনাও ঘটাতে না পারে তার জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি জোর দাবি জানাই।
বার্তা প্রেরক
ফিরদৌস আজীম
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ