স্মারক নং- না.প- ০২/২০১৮-৪১
৬ ফাল্গুন ১৪২৪/১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
বিষয়: বিলাইছড়ির মারমা বোনদের উপর সংঘঠিত ধর্ষন ও যৌন আক্রমন, বাবা মায়ের হেফাজতের নামে জোড়পূর্বক অজ্ঞাতস্থানে নেয়া ও চাকমা রানীর উপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নেয়া হোক
রানী য়েন য়েন ও স্বেচ্ছাসেবীর উপর হামলায় নারীপক্ষ ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন এবং মর্মাহত। আমাদের দাবি ঘটনার সাথে জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নেয়া হোক। অপরাধীরা যাতে ক্ষমতাধরদের প্রভাব-প্রতিপত্তি, প্রশাসনের দুর্বলতা-অবহেলা, পক্ষপাতিত্ব বা আইনের ফাঁকফোকর গলে কোনভাবেই বেরিয়ে যেতে না পারে সেইদিকে সতর্ক থাকতে আমরা সরকার-প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের প্রতি আমাদের জোরালো আহবান।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ হাইকোর্টের এক আদেশ বলে পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী অজ্ঞাত নারী-পুরুষের একটি দল বিলাইছড়িতে ধর্ষন ও যৌন আক্রমনের শিকার দুই মারমা বোনকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের বাবা মায়ের হেফাজতে নেয়ার কথা বলে হাসপাতাল থেকে জোড়পূর্বক অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। একই সাথে নির্যাতনের শিকার বোনদের সাথে অবস্থানরত চাকমা সার্কেলের রানী য়েন য়েন ও স্বেচ্ছাসেবীর উপর হামলা করা হয়। এতে রানী য়েন য়েন ও সেই স্বেচ্ছাসেবী আহত হয়। রানী হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে লেকের পানিতে লুকিয়ে কোনমতে নিজেকে রক্ষা করেন।
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা এবং পক্ষান্তরে দোষী বা হামলাকারীদের অপরাধ সংঘটনের সুযোগ করে দেওয়ার এহেন বহু উদাহরণ এর আগেও আমরা দেখেছি বহুবার। দেশে বিরাজমান বিচারহীনতা, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি, উদাসীনতা এবং সর্বোপরি দেশে আইনের শাসনের চরম অভাব এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য দায়ী। আমাদের প্রত্যাশা, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার সর্বাধিক মনোযোগ দেবেন এবং অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।
বার্তা প্রেরক,
তামান্না খান
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ।