Select Page
২০১৯-১২-২৪
’৭১ এর বীরাঙ্গনা আফিয়া খাতুন চৌধুরী খঞ্জনী এর মৃত্যুতে নারীপক্ষ থেকে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

স্মারক নং- না.প- ১২/২০১৯- ৬৩২

৯ পৌষ ১৪২৬/২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

’৭১ এর বীরাঙ্গনা আফিয়া খাতুন চৌধুরী খঞ্জনী এর মৃত্যুতে নারীপক্ষ থেকে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন


কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার সোনাপুর গ্রামের বীরাঙ্গনা আফিয়া খাতুন চৌধুরী খঞ্জনী এর মৃত্যুতে নারীপক্ষ’র প্রত্যেক সদস্য ও কর্মীর পক্ষ থেকে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তাঁর প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকহানাদার কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন আফিয়া খাতুন চৌধুরী খঞ্জনী। এরপর শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আফিয়া খাতুন এর জীবনের পরবর্তী প্রায় পঁয়তাল্লিশটি বছর চরম অবহেলা-অনাদর, তাচ্ছিল্ল-বিদ্রুপ, অনাহার, আশ্রয়হীনতা আর রোগ-শোকে কেটেছে। যে স্বাধীনতার জন্য তাঁর জীবনের এই পরিণতি সেই স্বাধীন বাংলাদেশে এক গ্লানিকর জীবন তাঁকে কাটাতে হলো! এটা আমাদের দেশ তথা সমগ্র জাতির জন্য ব্যর্থতা ও লজ্জার। আমরা তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে, শেষ সময়ে হলেও আফিয়া খাতুন ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সরকার কর্তৃক ভাতা পেতে শুরু করেছিলেন।

গতকাল ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ রাত সাড়ে নয়টায় তাঁর মৃত্যু হয়। আজ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, নারীপক্ষ ২০১১ সাল থেকে ‘৭১ এর যে নারীদের ভুলেছি’ কর্মসূচির আওতায় বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে আফিয়া খাতুন চৌধুরী খঞ্জনীসহ ৫৩ জন বীরাঙ্গনাকে মাসিক ভাতা প্রদান করে আসছে, যা কিছুটা হলেও তাঁদের আর্থিক কষ্ট লাঘবের জন্য সহায়ক হয়েছে। আফিয়া খাতুন চৌধুরী খঞ্জনী মার্চ ২০১৪ থেকে জুলাই ২০১৭ পর্যন্ত নারীপক্ষ’র এই ভাতা পেয়েছেন। এরপর তিনি ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সরকার কর্তৃক ভাতা পেতে শুরু করেন বিধায় নারীপক্ষ থেকে ভাতা দেয়া বন্ধ করা হয়।

বার্তা প্রেরক,

রেহানা সামদানী
প্রচার সম্পাদক, নারীপক্ষ।

 

Pin It on Pinterest

Share This