স্মারক নং- না.প- ০৯/২০২০-১২৭
১ আশ্বিন ১৪২৭/১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রতিবাদ বিবৃতি
মধুপুরে গারো আদিবসী নারীর অর্ধসহশ্র কলাগাছ কেটে ফেললো বনবিভাগ!
-নারীপক্ষ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ভুক্তভোগীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছে
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শালবেষ্টিত পেগামারী গ্রামের গারো আদিবাসী নারী বাসন্তী রোমার স্বতদখলীয় জামিতে লাগানো প্রায় পাঁচশত কলাগাছ কেটে ফেলে দিয়েছে মধুপুর বন বিভাগ। এতে বাসন্তী রোমার বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এবং তাকে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নারীপক্ষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেইসাথে নারীপক্ষ সরকারের কাছে বাসন্তী রোমাকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানেরও দাবি জানাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোন ধরনের পূর্ব নোটিশ ছাড়াই টাঙ্গাইল বন বিভাগের সহকারী কমিশনার জামাল হোসেন তালুকদার, রেঞ্চার আব্দুল আহাদ ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সদস্য জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বাসন্তী রোমার দীর্ঘদেনের বসতী ও আবাদী ৪০ শতাংশ স্বতদলীয় জমিতে লাগানো ৪৫০ -৫০০টি কলাগাছ কেটে ফেলা হয়।
বনবিভাগ বনের অভ্যন্তরে কোন প্রকার বাস্তবায়ন করতে চাইলে নিয়ম মাফিক বনবাসীকে আগাম নোটিশ/ঢোল বা মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানান দেয়ার কথা কিন্তু এক্ষেত্রে এর কোনকিছুই করা হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাদের অভিযোগ, মূলতঃ দীর্ঘ দিনের আবাদী জমিতে রিজার্ভ ফরেস্টের আড়ালে আদিবাসী উচ্ছেদের পায়তারা চালানো হচ্ছে।
নারীপক্ষ ক্ষমতাসীনদের যোগসাজশে বনবিভাগসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধে সরকার ও প্রশাসনের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও জোড় তৎপরতা প্রত্যাশা করছে। একইসাথে নারীপক্ষ আদিবাসীসহ দেশের সকল ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার রক্ষায় সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে আহবান জানাচ্ছে।
তামান্না খান
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ।