Select Page
২০২৫-০৪-১২
বোরখা না পরায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া এবং মডেল মেঘলা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বোরখা না পরে আসা এবং সে একজন নারী, যার কারণে সে ইউএনও হিসেবে থাকতে পারবেনা- এই মন্তব্য করে স্থানীয় একটি ইসলামপন্থী দলের নেতাকর্মীরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তার কার্যালয় থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তার উপর এই বে-আইনী, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও বর্বর আচরণের দুঃসাহস দেখিয়ে তারা কিভাবে পার পেয়ে যায়! একজন সরকারি কর্মকর্তার যারা এই অবস্থা করতে পারে তাদের কাছে দেশের সাধারণ নারীরা কতোটা অসহায় ও অনিরাপদ তা খুব সহযেই অনুমেয়।
নারীপক্ষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেইসাথে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দোষী ব্যক্তিদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছে।

অপরদিকে, মিস আর্থ বাংলাদেশ- ২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে গত ৭ এপ্রিল ঢাকায় তার বাসা থেকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। তাকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে গোপন হেফাজতে নিয়ে দু’দিন পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়েছে।
প্রশ্ন হলো, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন আইনসহ অনেক কিছু পরিবর্তন বা সংস্কার হয়েছে কিন্তু এতো বছরের পুরানো একটি কালো আইনের পরিবর্তন তো করাই হলো না বরং সেই আইনের আওতায় এখনো গ্রেফতার নির্যাতন চালানো হচ্ছে কেন? তাছাড়া, মেঘনা আলমের ব্যক্তিগত বিষয়কে যিনি বা যারা রাষ্ট্রীয় ইস্যু করলেন তার বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনী পদক্ষেপ নেওয়া কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত নয়?

নারীপক্ষ অনতি বিলম্বে ১৯৭৪ সালের এই কালো আইন বাতিল, মেঘনা আলমের নিঃশর্ত মুক্তি এবং যে বা যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেঘলা আলমের ব্যক্তিগত বিষয়কে রাষ্ট্রীয় ইস্যু করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।

বার্তা প্রেরক,

সাফিয়া আজীম
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ

Pin It on Pinterest

Share This