ঢাকায় একুশের বইমেলায় দোকান ভাঙচুর, সাতক্ষীরায় বইমেলায় উদীচীর স্টলে হামলা ও ব্যানার পুড়িয়ে ফেলা, টাঙ্গাইলে ফুলের দোকান ভাঙচুর ও লালন উৎসব বন্ধ, ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব স্থগিত, ঢাকার উত্তরা ও চট্টগ্রামে বসন্ত উৎসব বন্ধসহ আরো অনেক ঘটনাপ্রবাহ এই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করছে, অথচ বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধ্বংসকারী এইসকল কর্মকান্ড প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
আমাদের সংস্কৃতি ও আবহমান বাংলার অস্তিত্ব আজ হুমকির মধ্যে এবং জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী ও জনতার আন্দোলনে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্য অর্জন অনিশ্চিত। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ, শঙ্কিত ও হতাশ।
আমাদের প্রত্যাশা, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকলপ্রকার রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি বা যেকোনো ধরনের অপশক্তির চাপের ঊর্ধে থেকে একটি বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। নারীপক্ষ’র দাবি, আর যাতে একটিও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বন্ধ না হয় এবং এই ধরনের কোনো হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা না ঘটে তারজন্য এখনই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
বার্তা প্রেরক
সাফিয়া আজীম
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ।