Select Page
২০২০-১১-০২
দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী তৎপরতায় নারীপক্ষ লজ্জিত, দুঃখভারাক্রান্ত এবং উদ্বিগ্ন

স্মারকনং- না.প- ১০/২০২০- ১৬৬

১৭ কার্তিক ১৪২৭/ ২ নভেম্ববর ২০২০


প্রতিবাদ বিবৃতি

দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী তৎপরতায় নারীপক্ষ লজ্জিত, দুঃখভারাক্রান্ত এবং উদ্বিগ্ন


সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘শারদীয় দুর্গোৎসব’কে কেন্দ্র করে গাজীপুর, বরগুনা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচূর এবং মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার উত্তরার ৩নং ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে পূজা আয়োজন বন্ধ করতে নাম না জানা কতিপয় এলাকাবাসী ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। কয়েকদিন আগে লালমনির হাটে কোরান শরীফ অববমাননার অভিযোগ তুলে একজন শিক্ষককে প্রকাশ্য জনসমক্ষে পিটিয়ে মেরে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এহেন তৎপরতা পুনর্বার প্রমাণ করে যে, দেশে আইনের শাসন শূণ্য থেকে শূণ্যের কোঠায় পৌঁছেছে। নারীপক্ষ এই সকল ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অনতিবিলম্বে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।

বাংলাদেশের সংবিধান সকল ধর্মাবলম্বীদের সমভাবে ধর্মচর্চা করার নিশ্চয়তা দিলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই।

ধর্মের নামে এহেন উন্মাদনা নিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, যথা: ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব সর্বাধিক। সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া। দীর্ঘ মেয়াদে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনির্মাণে শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং তথ্য মন্ত্রণালয়সমূহের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নারীপক্ষ’র দাবি, এ বিষয়ে সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক।

তামান্না খান
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ।

Pin It on Pinterest

Share This