স্মারকনং- না.প- ১২/২০২০- ২২৯
১৫ পৌষ ১৪২৭/৩০ ডিসেম্বর ২০২০
প্রতিবাদ বিবৃতি
চিকিৎসক নাপিতকে বিয়ে করায় পুলিশ সুপারের ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের নিন্দা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি
পত্রিকান্তরে প্রকাশ, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ রংপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস সিআইডি কার্যালয়ে একজন চিকিৎসক, তাঁর স্বামী ও শিশুসন্তানকে তথাকথিত উদ্ধারের নামে ধরে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হেনস্তা করেছেন। উক্ত পুলিশ সুপারের অভিযোগ, এই নারী একজন চিকিৎসক হয়ে একজন নিম্ন শ্রেণি’র লোককে বিয়ে করে অপরাধ করেছে। উপরন্তু পুলিশ সুপার দাবি করেছেন, এই সংবাদ সম্মেলনটি করে তিনি ঠিক কাজ করেছেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তার এইরকম ধৃষ্টতা এবং নিজের দায়িত্ব, কর্তব্য, এক্তিয়ার এবং দেশের আইনকানুন ও নাগরিক অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞতা দেখে নারীপক্ষ হতভম্ব ও হতাশ। এই ধরনের চিন্তা-চেতনা ও ভ্রান্ত জ্ঞানসম্পন্ন একজন ব্যক্তি পুলিশ বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকার যোগ্যতা রাখেন না।
প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারী বা পুরুষ কোন সম্প্রদায়, ধর্ম, শ্রেণি বা পেশার মানুষকে বিয়ে করবেন সেটা দেখার এক্তিয়ার পুলিশের নয়। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক তার ইচ্ছে ও পছন্দমতো যেকাউকে বিয়ে করতে পারেন। এই চিকিৎসক ও তার স্বামী এবং শিশুকন্যাকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা গর্হিত, বে-আইনি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। এই ধরনের আর একটি ঘটনাও আমরা দেখতে চাই না। নারীপক্ষ’র দাবি, পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবেন এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সরকার ও পুলিশ প্রশাসন তা নিশ্চিত করবেন।
তামান্না খান পপি
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ।