১৪ শ্রাবণ ১৪২৬/ ২৯ জুলাই ২০১৯, সোমবার, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’এ বাংলাদেশে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ক অগ্রগতি প্রতিবেদন- আইসিপিডি+২৫ প্রকল্পের আওতায় “প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা” বিষয়ক গবেষণার ফলাফল নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা: মঈনুদ্দীন আহমেদ, লাইন ডাইরেক্টর (ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. নুরুন নাহার বেগম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ড. আহমেদ আল সাবির, প্রাক্তন পরিচালক, নিপোর্ট মোর্শেদা চৌধুরী, এসিসটেন্ট এসোসিয়েট, হেলথ এন্ড নিউট্রিশন, ব্র্যাক। সভায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেরী স্টোপস, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, নিপোর্ট, সেক্স ওয়ার্কস নেটওয়ার্ক, উবিনিগ, এফপিএবি, বাংলাদেশ মিড-ওয়াইফ সোসাইটি, এএসএফ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বাপসা, কারিতাস এবং নারীপক্ষ’র সদস্য ও কর্মীবৃন্দ।
সভার আলোচনা থেকে যে বিষয়গুলো উঠে আসে তা হলো, ভিশন ২০২০ তে প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরন করতে হলে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করতে হবে। গর্ভ পূর্ববর্তী সেবার সাথে প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে নারীদের সাথে কাউন্সেলিং করতে হবে। সরকারি, বেসরকারি সংস্থা সবাই একসাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন আরো জোরদার করতে হবে। প্রধান অতিথি বলেন, প্রসবোত্তর পরিবারবার পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে প্রায় ৩০% প্রসুতিমৃত্যুর হার কমে আসবে। আরো সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে সকলের নিকট পৌছানোর জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবাদান কেন্দ্রগুলো একযোগে প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি পরিপত্র দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রসবোত্তর পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সচেতনতার কাজ করছে। তিনি আরো বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ৯০০টির বেশি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আছে সেখানে কাউন্সিলিং এর জন্য কাউন্সেলর নিয়োগের একটি প্রক্রিয়া চলছে।