২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫/ ৯ জুন ২০১৮ শনিবার সকাল ১০.০০টায় সিরডাপ মিলনায়তনে নারীপক্ষ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডার আলোকে বাংলাদেশে নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার সুরক্ষা’ শীর্ষক একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: আবুল কালাম আজাদ, মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কে এম আব্দুস সালাম, মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ও অতিরিক্ত সচিব রৌনক জাহান, মহাপরিচালক, নির্পোট এবং অতিরিক্ত সচিব, ডা. মোহাম্মদ শরীফ, পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিস) এবং লাইন ডিরেক্টর (এমসিএইচ) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভিন বানু, উপাচার্য, গণবিশ্ববিদ্যালয়, ডা. আসিব নাসিম, জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা, বিশ্বব্যাংক, তৌফিক মারুফ, সভাপতি, বাংলাদেশ হেলথ্ রিপোটার্স ফোরাম। সভাপত্বি করেন রাশেদা কে. চৌধুরী, কর্মদলের সদস্য, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ও নিবার্হী পরিচালক, গণসাক্ষরতা অভিযান। সংলাপে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সমাজকর্মী এবং সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উবিনীগ, হোওয়াট রিবন এ্যালায়েন্স, কারিতাস বাংলাদেশ, ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, বাপসা, ব্র্যাক, সচেতন সমাজ সেবা হিজড়া সংঘ, এফপিএবি ও এডিডি ইন্টারন্যাশনাল সহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসডিজি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশেষ করে অভীষ্ট ২ এবং ৫ পুরন করতে হলে সকল পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা দানকারীদের জবাবহিতা নিশ্চিত করতে হবে, এনজিওদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে, পরিবীক্ষণ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
স্বাধীনতা উত্তর ৪ দশকে বাংলাদেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো প্রশংসনীয় স্তরে উন্নীত হয়েছে। যার ফলে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে এবং বাংলাদেশের নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার (অভীষ্ট ৩, ৫) নিশ্চিত করতে হলে এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ নির্ধারণ ও তা মোকাবিলায় করণীয় স¤পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই সংলাপের আলোচনা করা হয়েছে।