Select Page
২০১৯-০৩-০৮
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ ২০১৯ অনুষ্ঠান উদযাপন

২৪ ফাল্গুন ১৪২৫/৮ মার্চ ২০১৯ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে নারীপক্ষ ঢাকায় এবং একইসাথে দেশের আরো ৫৮টি জেলা শহরে সহযোগী সংগঠন ও নারী সংগঠনসমূহের নেটওয়ার্ক ‘দুর্বার’ এর মাধ্যমে “নারীর নাগরিক অধিকার” প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালন করে।

নারীপক্ষ ঢাকায় দিনব্যাপী নারী চালিত স্ক্রুটি, রিক্সা, সাইকেল ও সুসজ্জিত ট্রাক নিয়ে রোডশো, প্রচারপত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান ও নাটক পরিবেশন করে। সকাল ৯:৩০ মিনিটে নারীপক্ষ কার্যালয়ের সামনে থেকে রোডশো শুরু হয়ে সকাল ১০টায় মানিক মিঞা এভিনিউতে গিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। মানিক মিঞা এভিনিও থেকে রোডশো কালসী পর্যন্ত গিয়ে সেখানে আর একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয় এবং রোডশোটি আশুলিয়ায় গিয়ে আরও একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। গান পরিবেশন করেন বর্ণা চৌধুরী। নাটিকা প্রদর্শন করেন আফরোজা সুলতানা ও তার দল।
এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারীপক্ষ তার বক্তব্য, মতামত ও দাবিসমূহ তুলে ধরে, যেমন: বাংলাদেশ সংবিধান দেশের সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার সমানভাবে ভোগের নিশ্চয়তা দিয়েছে কিন্তু সেই সংবিধানই আবার ব্যক্তি অধিকারের বিষয়টি উহ্য রেখে একটি সাংঘর্ষিক অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। অনুচ্ছেদ: ২৮ (১)- এ বলা আছে, “ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী, পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না।” অথচ ২৮.২ অনুচ্ছেদে কেবল রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করার কথা বলা হয়েছে। ফলে ব্যক্তি অধিকারের ক্ষেত্রে নারী সবসময়ই বৈষম্যের শিকার। নারীকে অধস্তন অবস্থানে রাখতে সংস্কৃতি, প্রথা ও ধর্ম প্রতিনিয়ত মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে এবং এই অবস্থা টিকিয়ে রাখছে রাষ্ট্র, অর্থাৎ সার্বিক বিবেচনায় নারীর অধস্তন অবস্থানের জন্য দায়ী সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্র। নারীর অবস্থার সাথে সাথে অবস্থানের পরিবর্তন ঘটিয়ে তার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই রাষ্ট্র, বিশেষ করে সরকারের কাছে নারীপক্ষ’র দাবি, রাষ্ট্র ও জনজীবনের সাথে সাথে ব্যক্তিজীবনের সর্বস্তরেও নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৬ অনুযায়ী, মৌলিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক সকল প্রকার আইন বাতিল করা হোক। পাশাপাশি সরকারের অঙ্গীকারকৃত আন্তর্জাতিক সনদ ও দলিলসমূহ বাস্তবায়ন করে নারীকে সমমর্যাদার একজন নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হোক।

অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্প কারখানার শ্রমিকবৃন্দ, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্র ও স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

Pin It on Pinterest

Share This