ব্যাপক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি অ-গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংশোধিত দাবিনামা উপস্থাপন করতে নারীপক্ষ নারী আন্দোলনের দাবিনামা পর্যালোচনা ও দাবিসমূহ সুনির্দিষ্টকরণ বিষয়ক ৮ টি বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করে। ৩১ আগষ্ট ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মশালা দিয়ে শুরু করে পর্যায়ক্রমে রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মশালা হয়। সর্বশেষ ২৮ সেপ্টেম্বর হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় কর্মশালা ।
কর্মশালায় নারী ও মানবাধিকার কর্মী, সংবাদ ও সাংস্কৃতিক কর্মী, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষার্থী, তরুণ সহ বিভিন্ন স্তরের মোট ৩৯৩ জন অধিকার কর্মী দলীয় আলোচনার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের দাবিনামা’ টি পর্যালোচনা করেন। নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার, সহিংসতামুক্ত নারীর জীবন, নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রশিক্ষন, জলবায়ু ও পরিবেশগত ন্যায়বিচার, প্রান্তিক পর্যায়ের নারী (যৌনকর্মী, দলিত, হরিজন, লিঙ্গ বৈচিত্রময়, প্রতিবন্ধী) এবং ইহজাগতিক রাষ্ট্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ে দাবিনামা তৈরি করা হয়।
সংশোধিত দাবিনামা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে একটি সহায়ক দলিল হিসেবে বিবেচ্য হবে বলে আমরা আশা করছি।
উল্লেখ্য নানামুখী আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলে নারীর অবস্থার কিছু পরিবর্তন হলেও অবস্থানের উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হয়নি। শত বছরের নারী আন্দোলন নানা চড়াই-উৎরাইয়ে কখনো অনেক বেগবান ছিলো, আবার কখনো কখনো কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে বা স্তিমিত হয়েছে কিন্তু আন্দোলন কখনো থেমে যায়নি। এরই ধারাবাহিকতায় নারীপক্ষ’র নেতৃত্বে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে নারী ও মানবাধিকার আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের দাবিনামা’ তৈরি করা হয়েছে।
নারী আন্দোলনের দাবিনামা পর্যালোচনা ও দাবিসমূহ সুনির্দিষ্টকরণ বিষয়ক ৮ টি বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজনে সহায়তা করে নারী সংগঠন সমূহের জাতীয় নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন- দুর্বার নেটওয়ার্ক