Select Page
২০১৪-০৩-০৮
আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৪

”সত্য এ জীবন, এ দেহ” শিরোনাম এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘‌বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা’

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ২৪ ফাল্গুন ১৪২০/৮ মার্চ ২০১৪, শনিবার নারীপক্ষ ”সত্য এ জীবন, এ দেহ” শিরোনামে ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠান করেছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ”বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা।” এই বিষয়ের উপর ঘোষণা পাঠ করেন নারীপক্ষ’র সদস্য আফসানা চৌধুরী। রেহানা সামদানীর নির্দেশনায় বৈবাহিক জীবনে নারীর উপর সাধারণত যে ধরনের যৌন সম্পর্কের ঘটনা ঘটে এমন সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছোট ছোট তিনটি নাটক প্রদর্শন করা হয় এবং প্রদর্শিত নাটকের আলোকে প্রশ্নোত্তর পর্ব। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন সমমনা মানবাধিকার ও নারী সংগঠন সমূহের প্রতিনিধি, নারী নেত্রী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে দর্শকরা জানায় বৈবাহিক জীবনে নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় এবিষয়টি সত্য কিন্তু কখনো বিষয়টি প্রকাশ করা হয় না। তবে নারীপক্ষকে ধন্যবাদ যে এমন একটি বিষয় জনগনের সামেন তুলে ধরেছেন।

অনুষ্ঠানে নারীপক্ষ মূল বক্তব্য ছিল, স্বামী-স্ত্রীর যৌন সম্পর্ক হবে উভয়ের সম্মতিতে এবং উভয়ের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় আনতে হবে। সম্পর্কের দোহাই দিয়ে স্ত্রীর উপর জবরদস্তি বা শক্তি খাটানো যাবে না। যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে রক্ষা পাওয়া নারীর মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর জরিপে প্রাপ্ত তথ্য ও নারী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবী বিবেচনায় নিয়ে এই অনুষ্ঠানে নারীপক্ষ’র দাবী ছিল ”বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা”কে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা ও ফৌজদারী আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

লিফলেট

বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা

৮ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটি বিশ্বব্যাপী নারী অধিকার আন্দোলনের সাথে যুক্ত। ১৮৫৭ সালে ৮ মার্চ নিউইয়র্ক শহরে সেলাই কারখানার নারী শ্রমিকরা বিপদজনক ও অমানবিক কর্ম পরিবেশ, স্বল্প মজুরী ও দৈনিক ১২ ঘন্টা শ্রমের বিরম্নদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সেই মিছিলের উপর পুলিশ হামলা চালায়। এরপর ১৮৬০ সালের ৮ মার্চ নারী শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে নিজস্ব ইউনিয়ন গঠনে সমর্থ হয়।

এইসব ঘটনাধারার সম্মিলনে নারীর বিভিন্নমুখী প্রতিবাদী ভূমিকার প্রতি আমত্মর্জাতিক সংহতি প্রকাশ, সমর্থন দান ও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরীর প্রতীক হিসাবে একটি দিন চিহ্নিত করতে ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাবে ৮ই মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

নারী আন্দোলনের এই প্রতিবাদী ধারার সাথে একাত্ম হয়ে ১৯৯১ সাল থেকে নারীপক্ষ জোটগত বা এককভাবে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ”বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র ”নারীর প্রতি সহিংসতা জরীপ ২০১১” অনুযায়ী, শতকরা ৮৭ ভাগ নারী নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হন। তাদের অনেকে বলেছেন স্বামী কর্তৃক যৌন নির্যাতনের কথা। অথচ বাংলাদেশের ফৌজদারী আইনে বিয়ের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না।

ধর্মীয়, সামাজিক ও আইনী প্রেক্ষাপটে বিয়ে নারী-পুরম্নষের যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দেয়। স্বামীরা ইচ্ছেমতো যখন যেভাবে খুশি স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করতে পারে এবং স্ত্রী এই চাহিদা পূরণে সর্বদা বাধ্য। এ ক্ষেত্রে নারীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা সম্মতি-অসম্মতির বিষয়টি আমলে নেয়া হয় না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার যেন পুরুষের জন্মগত, আর নারী তা মেনে নিতে বাধ্য। তালাক বা পরিত্যাক্ত হওয়ার আশঙ্কায় স্ত্রীরা এই অন্যায় চাহিদা মেনে নেয়।

অনেক স্বামী যৌন সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ ও দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং রাগ ও প্রতিহিংসা প্রকাশ বা নিজের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা প্রয়োগের সহজ উপায় মনে করে। কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা। বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে হলেও সেটি নির্যাতন ও সহিংসতা।

স্বামী-স্ত্রীর যৌন সম্পর্ক হতে হবে উভয়ের সম্মতিতে। সম্পর্কের দোহাই দিয়ে স্ত্রীর উপর জবরদস্তি করা অপরাধ। যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষা পাওয়া নারীর মৌলিক অধিকার। দাম্পত্য সম্পর্কে যৌন জীবন হোক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভরপুর।

ঘোষণাপত্র

৮ই মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারীদিবস’। ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটি বিশ্বব্যাপী নারী অধিকার আন্দোলনের সাথে যুক্ত। ১৮৫৭ সালে ৮ই মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে সেলাই কারখানার নারী শ্রমিকরা বিপদজনক ও অমানবিক কর্ম পরিবেশ, স্বল্প মজুরী এবং দৈনিক ১২ ঘন্টা শ্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সেই মিছিলের উপর পুলিশ হামলা চালায়। তিন বছর পর ১৮৬০ সালের ৮ই মার্চ নারী শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে নিজস্ব ইউনিয়ন গঠনে সমর্থ হয়।

এইসব ঘটনাধারার সম্মিলনে নারীর বিভিন্নমুখী প্রতিবাদী ভূমিকার প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি প্রকাশ, সমর্থন দান ও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরীর প্রতীক হিসেবে একটি দিনকে চিহ্নিত করার উপলব্ধি জাগে। অতঃপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাব অনুসারে ৮ই মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারীদিবস’ ঘোষণা করা হয়।

নারী আন্দোলনের এই প্রতিবাদী ধারার সাথে একাত্ম হয়ে ১৯৯১ সাল থেকে নারীপক্ষ জোটগত বা এককভাবে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ”বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা।”

যদিওবা নির্যাতন ও সহিংসতা সমার্থক নয়; মাত্রায়, ধরণে এবং করণীয়তে ভিন্ন, তথাপি বিষয়টি বহুমাত্রিক বিবেচনার দাবী রাখে। শরীর, ব্যক্তিত্ব এবং স্বাতন্ত্র্য নিয়ে একদিকে যেমন নারীর অধিকার বোধ জাগ্রত করা প্রয়োজন, অপরদিকে নারীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যায় আচরণ ও অপরাধ সম্পর্কে পুরুষের উপলব্ধি স্বচ্ছ হওয়া বাঞ্ছনীয়। নির্যাতন বা সহিংসতার শিকার নারী ও তার পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র কী করবে ও মোকাবেলার উপায় কী হবে তা নির্ভর করে অন্যায়-অপরাধের মাত্রার উপর। আমরা চাই ভুক্তভোগী নারীর প্রতি সহমর্মিতা এবং তাকে দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে সকলের বেরিয়ে আসা। সর্বোপরি প্রয়োজন রাষ্ট্রদ্বারা এই অন্যায় ও অপরাধকে আমলে নেয়া।

যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা বা এর আশঙ্কা নিয়েই নারীরা দাম্পত্য জীবনের পথ পাড়ি দেয়। অথচ এই কথা কাউকে বলবার নয়, কোথাও বলার নেই; ঘরেও না, বাইরেও না, এমনকি নারী আন্দোলনেও না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র জরীপ ২০১১ এই বিষয়টি জনসমক্ষে এনেছে। এই জরীপ অনুযায়ী, শতকরা ৮৭ ভাগ নারী বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হন। তাদের অনেকেই বলেছেন স্বামী কর্তৃক যৌন নির্যাতনের কথা। এই জরীপের ফলাফল অনুযায়ী, স্বামী কর্তৃক যৌন নির্যাতন ও সহিংসতার হার শতকরা ৩৬ ভাগ। এই হার শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে সামান্য বেশী। জরীপের এই তথ্য দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা বিষয়ে নারী আন্দোলনের দীর্ঘ দিনের ধারণাকে সত্য প্রমাণ করেছে। অথচ বাংলাদেশের ফৌজদারী আইনে বিয়ের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা অপরাধ হিসেবে গণ্য নয়।

আমাদের দেশের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রথা এবং আইনী বিধিবিধান বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দেয়। স্বামী তার নিজের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে এই বৈধতাকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং তার ইচ্ছেমতো যখন খুশি, যেভাবে খুশি স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করে। নারীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা, সম্মতি-অসম্মতি যেন কোন বিষয়ই না। একেবারেই চাপা পড়ে যায় তার মনের সুপ্ত বাসনাগুলো এবং স্ত্রী হয় স্বামীর জুলুমের পাত্র।

সিদ্ধান্ত নেওয়া যেন পুরুষের জন্মসূত্রে পাওয়া একক অধিকার, আর নারী সর্বদা তা নীরবে মেনে নিতে বাধ্য। গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান প্রসবের পর পর অনেক নারী যখন শারিরীকভাবে নাজুক অবস্থায় তখন সে যৌন মিলনে ততটা আগ্রহী হয় না। আমাদের জানামতে, এহেন অবস্থায়ও স্বামী নিজের যৌন চাহিদা পূরণে স্ত্রীকে বাধ্য করে। ফলাফল, দাম্পত্য জীবনে অসন্তোষ, দ্বন্দ্ব-কলহ, সন্দেহ- ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। তালাক বা পরিত্যাক্ত হওয়া কিংবা স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত হতে পারে এই আশঙ্কায় অন্যায় হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রী স্বামীর সকল চাহিদা মেনে নিতে বাধ্য হয়। এইভাবে মেনে নেয়া এবং মানিয়ে নেয়া পরিবার ও সমাজ নারীকে শিশুকাল থেকেই শেখায়, যা তাকে জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপারগ করে তোলে।

দাম্পত্য জীবনে যৌন সম্পর্ক দু’জনার ইচ্ছাপ্রসূত বিষয়। জোর-জবরদস্তি সেই সম্পর্ককে যন্ত্রণায় পরিণত করে। স্বামী জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার অধিকার রাখে না বা স্ত্রী মানেই স্বামীর ইচ্ছেমতো যৌন সম্পর্ক মেনে নিতে বাধ্য নয়। যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে রক্ষা পাওয়া নারীর মৌলিক অধিকার। সম্পর্কের দোহাই দিয়ে স্ত্রীর উপর জবরদস্তি করা অন্যায় ও অপরাধ।

কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন হলো যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা। বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যেও সেটি নির্যাতন ও সহিংসতা। স্ত্রী অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন এবং আর্থিক ও সামাজিকভাবে উচ্চ অবস্থানে, এমন ক্ষেত্রে অনেক স্বামী হীনমন্যতায় ভোগে। ফলশ্রুতিতে যৌন সম্পর্ককে স্ত্রীর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে; রাগ ও প্রতিহিংসা প্রকাশ বা নিজের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা প্রয়োগের সহজ উপায় মনে করে। ফলে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যেও নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।

বাংলাদেশে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতার চালচিত্র উদ্বেগজনক। আমাদের দাবী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র জরীপে প্রাপ্ত তথ্য ও নারী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবী বিবেচনায় নিয়ে ”বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা”কে অপরাধ হিসেবে গণ্য ও ফৌজদারী আইনের অন্তর্ভূক্ত করা হোক।

দাম্পত্য সম্পর্কে যৌন জীবন হোক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভরপুর।

আমাদের আজকের নিবেদন ”সত্য এ জীবন, এ দেহ।”

অনুষ্ঠান
দিনক্ষণ : শনিবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪২০/৮ মার্চ ২০১৪, সন্ধ্যা ৬:৩০ – ৭:৩০
স্থান: ছায়ানট মিলনায়তন, বাড়ী ৭২, সড়ক ১৫/এ, (সাতমসজিদ রোড, শংকর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন) ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯।

নারীপক্ষ
 র‌্যাংগস নীলু স্কোয়ার (৫ম তলা), সড়ক- ৫/এ, বাড়ী- ৭৫, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯, বাংলাদেশ।
জিপিও বক্স-৭২৩, ঢাকা-১০০০, ফোন : ৮৮০-২-৮১১৯৯১৭, ৮১৫৩৯৬৭, ফ্যাক্স : ৮৮০-২-৮১১৬১৪৮
ই-মেইল : naripokkho@gmail.com, ওয়েব : www.naripokkho.org.bd

Pin It on Pinterest

Share This