নারীকে পরিবারে,সমাজে ও রাষ্ট্রে অধিকার সম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নারীর অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করা নারীপক্ষ’র সকল কাজের কেন্দ্রবিন্দু। নারীর প্রতি সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নারীপক্ষ ১৯৯৭ সালে নারীর প্রতি সহিংসতার বিশ্লেষণাত্মক একটি সারথী গবেষণা করে। থানা, হাসপাতাল ও আদালত সহিংসতার শিকার নারীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্রেক্ষাপটে নারীপক্ষ রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড অর্থ্যাৎ সহিংসতার শিকার নারীর ঘটনা তদন্ত, সহিংসতার শিকার নারীর মানসিক সহায়তা প্রদান,চিকিৎসা ব্যবস্থা ও আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ নিয়মিত পরিবীক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে ১৯৯৮ সালে ”নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড পরিবীক্ষণ” নামে গবেষণাধর্মী প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীপক্ষ সরকারী সেবার মান উন্নয়ন,আইন ও নীতি প্রয়োগ এবং সেবা প্রদানকারীর দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ নিয়মিত ”তৃতীয় পক্ষের” উপস্থিতিতে পর্যবেক্ষণ শুরু করে। পর্যবেক্ষণকৃত তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে অন্তনির্হিত সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত হয় এবং পরবর্তীতে এডভোকেসীর মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ১৯৯৫,২০০০ ও ২০০৩ এর বিভিন্ন পরিবর্তন ও সংশোধনে নারীপক্ষ ভূমিকা রাখে। সহিংসতার শিকার ব্যক্তির মেডিকোলিগ্যাল/ ডাক্তারী পরীক্ষার নীতি পরিবর্তনে সরকারের সাথে যৌথভাবেও কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় নারীপক্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্ থা,স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিচার বিভাগের সাথে একযোগে কাজ করে আসছে। প্রকল্প বাসত্মবায়নে সহযোগী সংগঠনকে সাথে নিয়ে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড পরিবীক্ষণ’ এর জন্য একটি কর্মকৌশল’ তৈরী করা হয়েছে। এটি এমন একটি কর্মকৌশল’ যার মাধ্যমে সহিংসতার শিকার ব্যক্তির প্রতি সরকারী প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানের ধরণ, সরকারী কর্মকর্তাদের আচরণ,সম্পদের সরবরাহ,ব্যবহার ও অপ্রতুলতাসহ যাবতীয় বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। পর্যবেক্ষনের ফলে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের (থানা, হাসপাতাল আদালত) সাথে আলোচনা করা হয়, যা সেবার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

লক্ষ্য: নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় সরকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষতঃ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিচার বিভাগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে

উদ্দেশ্য:
১. নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় জনগণের অংশগ্রহণে থানা, হাসপাতাল ও আদালতের কার্যক্রমকে সুসংগঠিত জোরদার ও কার্যকর করা
২. সহিংসতার শিকার নারীর আত্মশক্তি বৃদ্ধি ও সুসংগঠিত করার কৌশল নির্ণয়

মূলকার্যক্রম:

সহিংসতার শিকার নারীর সেবার মান উন্নয়নের জন্য থানা,হাসপাতাল ও আদালত পর্যবেক্ষণ,তথ্য সংরক্ষণ,সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সভা ও যোগাযোগ করা
সহিংসতার শিকার নারীর সেবাপ্রাপ্তি সহজতর করার জন্য স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নাগরিক অধিকার বিষয়ক অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অধিবেশন করা
পারিবারিক সহিংসতা ( প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০’ বাসত্মবায়নে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের সক্রিয় করা
‘আন্ত:ব্যক্তিক যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন’ সহায়িকাটি পুলিশ এর নিয়মিত প্রশিক্ষণ কোর্সে অন্তর্ভূক্ত করা জন্য আইন প্রয়োগকারী সংন্থার সাথে এডভোকেসী করা
সহিংসতার শিকার নারীর আত্মশক্তি বৃদ্ধি কর্মশালার মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক নারী দল গঠন করে বন্ধু বৃদ্ধির মাধ্যমে কথা বলার জায়গা তৈরি করা
সহিংসতার নারীদের সাথে কর্মশালা পরিচালনা করার জন্য একটি খসড়া সহায়িকা তৈরি করা

সহযোগী সংগঠনের নাম ও কর্মএলাকা:
১. নারীপক্ষ, ঢাকা 

             সহযোগী সংগঠনের তালিকা :

                 কর্মদল

সাদাফ সায-সিদ্দিকী
রাশিদা হোসেন
মাহীন সুলতান
ফেরদৌসী আখতার
রওশন আরা বেবি