সাংবাদিক সম্মেলন: ‘‘নারীর অধিকার ও মুক্তি: প্রত্যাশা ও করণীয়’’
নারীপক্ষ’র আয়োজনে ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১/১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সকাল ১১.০০ টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি এর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘‘নারীর অধিকার ও মুক্তি: প্রত্যাশা ও করণীয়’’ শিরোনামে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। নারীপক্ষ’র সভানেত্রী গীতা দাসের সভাপতিত্বে এবং সদস্য মাহীন সুলতানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
* যৌনকর্মীসহ অন্যান্য যে সকল বীরাঙ্গনা রয়েছেন তাদেরকে যথাযথ সম্মান ও রাষ্ট্রীয় সকল সুবধাদি দেওয়ার ব্যবস্থা করা
* জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১ হালনাগাদকরন এবং জাতীয় ঔষধ নীতি ২০১৬ বাস্তবায়ন করা
* সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিমুক্ত করা এবং কমিটিতে জনসম্পৃক্ততা বিশেষ করে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
* শ্রম-আইন সংশোধন করে অপ্রাতিষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া।
* জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত জলবায়ু, বন ও পরিবেশ সংক্রান্ত নীতিমালা ও কৌশলসমূহ পরিমার্জন করে কর্মসূচিতে লিঙ্গীয় সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করা
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ১৩ মে নারীমুক্তির লক্ষ্যে নারীপক্ষ যাত্রা শুরু করে। সেই থেকে নারীপক্ষ নারীর অধিকার নিশ্চিত করা ও নারীর প্রতি সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে নারীমুক্তির লক্ষ্যে ২০১৮ সালে নারীপক্ষ বিভিন্ন নারী অধিকার ও মানবাধিকার সংগঠন, বেসরকারী সংগঠনকে নিয়ে অক্টোবর সম্মেলন আয়োজন করে। এরপর ২০১৯ এর মার্চ-এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় নারীপক্ষসহ ১৭৬টি সংগঠনের ৩৪৮ জন অংশগ্রহণকারীর সুপারিশ, তথ্য উপাত্ত ও মতামত নিয়ে ’নারীমুক্তি সমতা ও ন্যায্যতা: নারীবাদী আন্দোলনের দাবিনামা’ নামে একটি দলিল তৈরি করে।
৫ আগষ্ট ২০২৪ এ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগষ্ট অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে নারী আন্দোলনের দাবি উপস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। নারীপক্ষ দুর্বার নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় ৮টি বিভাগে কর্মশালার মাধ্যমে নারী আন্দোলনের দাবিনামা পর্যালোচনা করে। নারী আন্দোলনের দাবিগুলোকে ৮টি বিষয়ে একত্রীকরণ করে ক. আইন ও নীতি; খ. প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গ. সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম এই তিনটি ভাগে ভাগ করে স্বল্প (৬ মাসের মধ্যে), মধ্য (১ বৎসরের মধ্যে) ও দীর্ঘমেয়াদি (৩বৎসর ও এর ঊর্ধ্বে) কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাবনা তৈরি করে।
এই ৮টি বিষয় হলো-
* সহিংসতামুক্ত নারীর জীবন
* নারীর অর্থনৈতিক অধিকার
* নারীর রাজনৈতিক অধিকার
* নারীর স্বাস্থ্য অধিকার
* নারীর শিক্ষা
* জলবায়ু ও পরিবেশগত ন্যায়বিচার
* প্রান্তিক পর্যায়ের নারীর অধিকার ও
* সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি


