লিফলেট
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বব্যাপী নারী আন্দোলনের বিভিন্ন অধ্যায় ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটির সাথে সম্পৃক্ত। ১৮৫৭ সালে ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে সেলাই কারখানার নারী শ্রমিকরা বিপজ্জনক ও অমানবিক কর্ম পরিবেশ, স্বল্প মজুরি ও দৈনিক ১২ ঘন্টা শ্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। তাদের সেই শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। তিন বছর পর ১৮৬০ সালের ৮ মার্চ নারী শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিজস্ব ইউনিয়ন গঠনে সমর্থ হয়।
লক্ষ্যনীয় বিষয়, দেড়শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে নারী তার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছেন কিন্তু অবস্থা বদলায়নি। একবিংশ শতাব্দীতেও বাংলাদেশের গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকরা স্বল্প মজুরিতে অধিক শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের যন্ত্রণা, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, নিরাপত্তাহীনতা এমনকি যে কোনো সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দৈনিক পত্রিকার প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় ‘৯০ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০০৬ পর্যন্ত অগ্লিকান্ড ও ভবন ধ্বসে কমপক্ষে ২২৭ জন নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং বহু সংখ্যক নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত নারী শ্রমিকের আত্মীয়রা ক্ষতিপূরণ তো পানই না বরং লাশ উদ্ধার করতে অর্থ ও শ্রমের কষ্টসহ পোহাতে হয় নানা ঝামেলা। এই অবস্থা শুধূ গার্মেন্টসে নয়; সর্বক্ষেত্রে নারীর পারিশ্রমিক, মর্যাদা ও প্রাপ্তি পুরুষের সমান দেয়া হয় না।
নারী নির্যাতন পরিবার থেকেই শুরু হয়। এই নির্যাতন ধারাবহিকভাবে সমাজে, রাজপথে, কর্মস্থলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে হয়ে থাকে। যুগে যুগে অবস্থা ও পরিবেশ ভেদে নারী নির্যাতনের ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে। খাদ্য-পুষ্টিগ্রহণ থেকে শুরু করে এসিডদগ্ধ ও যৌত্মুকের বলিসহ নারীরা মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক দিক থেকে নির্যাতনের শিকার হয়। সর্বক্ষেত্রে নারীরা শুধু নারী হওয়ার কারণেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
সকল ক্ষেত্রেই নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য বিদ্যমান। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীকে বিদেশগমনসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় বিষয়ে লিখতে হয় কে তার অভিভাবক। আবার আইগতভাবে পিতা হন সন্তানের অভিভাবক। সরকারি কাঠামোতে উচ্চপদে নারীদের অংশগ্রহণ অপ্রতুল। অন্যদিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ মোটেই ইতিবাচক নয়। সর্বক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য প্রকারান্তরে নির্যাতনের শিকার হতে বাধ্য করছে নারীকে। সমাজের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নারীরা মানুষের মতো বাঁচাবো; এই হোক আমাদের অঙ্গিকার।
আমাদের দাবি
• নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
• নারীর প্রতি অমর্যাদা ও অবমাননাকর কার্যক্রম ও আচরণ বন্ধ করতে হবে।
• নারীর শ্রমের ন্যায্য মূল্য ও মর্যাদা দিতে হবে।
• কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের গুণগতমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
ঘোষণাপত্র
শুধু নারী নয় মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি চাই
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বব্যাপী নারী আন্দোলনের বিভিন্ন অধ্যায় ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটির সাথে সম্পৃক্ত। ১৮৫৭ সালে ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে সেলাই কারখানার নারী শ্রমিকরা বিপজ্জনক ও অমানবিক কর্ম পরিবেশ, স্বল্প মজুরি ও দৈনিক ১২ ঘন্টা শ্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। তাদের সেই শামিতপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। তিন বছর পর ১৮৬০ সালের ৮ মার্চ নারী শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিজস্ব ইউনিয়ন গঠনে সমর্থ হয়।
এই সব ঘটনার ধারাবাহিকতায় নারীদের বিভিন্ন প্রতিবাদী ভূমিকার প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি প্রকাশ, সমর্থন দান ও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির প্রতীক হিসেবে একটি দিনকে চিহ্নিত করার উপলব্ধি জাগে। অতঃপর ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাব অনুসারে ঐতিহাসিকভাবে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
নারী আন্দোলনের এই প্রতিবাদী ধারাকে তুলে ধরে বাংলাদেশে এই দিবসটি পালনের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে ”আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন কমিটি” গঠিত হয়। বিগত ১৫ বছর ধরে এই কমিটি নারী অধিকার বিষয়ক প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে নারী আন্দোলনের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে। এবছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারন করা হয়েছে ”শুধু নারী নয় মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি চাই”।
বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ নারী শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণে বঞ্চনা, নির্যাতন, বৈষম্য এবং মৌলিক মানবাধিকার লং&ঘনের শিকার হচ্ছে। সেই প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি নারী নির্যাতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। যুগে যুগে অবস্থা ও পরিবেশ ভেদে নারী নির্যাতনের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে, নির্যাতনের মাত্রাও বাড়ছে। সভ্যতার ক্রমবিকাশে নারীর ব্যাপক অবদান থাকলেও এর স্বীকৃতি তো নেই-ই বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষ ও অগ্রগতির মূহুর্তে নারীরা হচ্ছে এসিডদগ্ধ ও যৌতুকের বলি।
নারী নির্যাতনের প্রাথমিক উৎস হচ্ছে পরিবার। পারিবারিক নির্যাতন এখনো আমাদের দেশে নির্যাতন হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। নারী তার জন্মলগ্ন থেকে, খাদ্য পুষ্টি গ্রহণ থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্ম ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ, সব ক্ষেত্রে নারী হয় বঞ্চনা, বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার। নারী নির্যাতন পরিবার থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে সমাজে, রাজপথে, কর্মস্থলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বত্রই হচ্ছে। আমাদের দেশে পরিবার ও সমাজের গন্ডি পেরিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবেও নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। জেলখানায় জেল কর্তৃপক্ষ দ্বারা এমনকি পুলিশ হেফাজতেও নারীরা নির্যাতনের শিকার ও লাঞ্ছিত হচ্ছে। নির্যাতনের কারনে অনেক নারীকে পঙ্গুত্ব বরণ করে নিতে হয় যা, তার জীবনকে করে তোলে আরো বিভীষিকাময়।
লক্ষ্যনীয় বিষয়, দেড়শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে নারী তার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছেন কিন্তু অবস্থা বদলায়নি। একবিংশ শতাব্দীতেও বাংলাদেশের গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকরা স্বল্প মজুরিতে অধিক শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের যন্ত্রণা, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, নিরাপত্তাহীনতা এমনকি যে কোনো সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দৈনিক পত্রিকার প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় ’৯০ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০০৬ পর্যমত অগ্লিকান্ড ও ভবন ধ্বসে কমপক্ষে ২২৭ জন নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং বহু সংখ্যক নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত নারী শ্রমিকের আত্মীয়রা ক্ষতিপূরণ তো পানই না বরং লাশ উদ্ধার করতে অর্থ ও শ্রমের কষ্টসহ পোহাতে হয় নানা ঝামেলা। এই অবস্থা শুধূ গার্মেন্টসে নয়; সর্বক্ষেত্রে নারীর পারিশ্রমিক, মর্যাদা ও প্রাপ্তি পুরুষের সমান দেয়া হয় না।
মানবাধিকারের ক্ষেত্রেও নারী পুরুষের বৈষম্য বিদ্যমান। নারীকে দেখা হয় একটি বিশেষ গোষ্ঠী হিসেবে, নারীকে ভাবা হয় কেবল নারী হিসেবে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিলেও নারী এখনো পরাধীন। তাকে মেনে নিতে হয় পরিবারের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধামত। পরিবারের সিদ্ধামত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী হয় অবহেলিত ও উপেক্ষিত। নারীকে এখনো চলতে হয় পুরুষের অধীনে। পিতা, স্বামী কিংবা পুত্র হয় নারীর অভিভাবক। নারী কারো অভিভাবক হননা এমনকি সন্তান জন্ম দেয়ার পরও তার অভিভাবক হওয়ার অধিকার নেই। অথচ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত। সমাজের প্রধান হন পুরুষ এবং সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব তাদেরই যেখানে নারী অনুপস্থিত।
বাংলাদেশে দীর্ঘ দিনের নারী আন্দোলন ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও ইতোমধ্যে কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন ও ঘোষণা হয়েছে, নারী অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা, পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নারী নির্যাতন রোধে কঠোর কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু নারীর নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় তা অপ্রতুল। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নির্যাতন বন্ধের জন্য একতাবদ্ধ হয়েছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছেন। বাংলাদেশেও নারী আন্দোলন অনেক ক্ষেত্রেই সফল হলেও রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নারীরা অনুপস্থিত। পুরুষ তান্ত্রিক মনোভাবের কারণে নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা থাকলেও তা পুরণ হচ্ছে না। সরকারি কাঠামোতে উচ্চপদে নারীদের অংশগ্রহণ অপ্রতুল।
অন্যদিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নারীর প্রায় অংশগ্রহণ নেই। বর্তমান সংসদে শতকরা ৬ ভাগ নারী উপস্থিত আছেন। কোটা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংখ্যা বাড়লেও সিদ্ধামত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে সিদ্ধামত গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নে নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ হচ্ছে না যা, তার মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করছে। এ মর্যাদাহীনতা তাকে অধস্তন করে রাখছে যা প্রকারমতরে নির্যাতনে রূপ নিচ্ছে।
জাতি সংঘের সার্বজনিন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র, সিডওসহ সকল আন্তর্জাতিক দলিল ও ঘোষণাপত্রে নারী পুরুষের সমতা, নারীর মানবাধিকার সর্বোপরি নারীকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে খুবই স্বল্প পরিসরে। এসকল ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে নারী পুরুষের সমান অধিকার চর্চা এবং নারীর মৌলিক স্বাধীনতার কথা বলা হলেও নারী পাচ্ছে না তার কাঙ্খিত মর্যাদা, মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা।
বিশ্বব্যাপী আলোচনার টেবিল থেকে শুরু করে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত সমাজ-সর্বত্রই নারীরা শামিত প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। তবুও নারীর ভূমিকাকে খাটো করে দেখা হয়। সভ্যতার ক্রমবিকাশে নারীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দান, নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা ও মানুষ হিসেবে নারীর উন্নয়ন ও বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ ২০০৬-এ আমাদের দাবি –
- সম্পত্তিতে নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করতে হবে
- নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং সমতানের অভিভাবক হিসেবে নারীকে আইনগত স্বীকৃতি দিতে হবে
- সার্বজনিন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র, সিডওসহ সকল দলিলে স্বীকৃত নারীর মর্যাদা ও মানবাধিকারের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে
- পারিবারিক নির্যাতন রোধে আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালাসহ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গৃহীত সকল নীতিমালা ও আইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে
- নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে
- গার্মেন্টসের নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত নারী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ঝুঁকিপূর্ন কর্মপরিবেশের উন্নয়ন ও ন্যায্য মজুরী নির্ধারন করতে হবে
- সকল ক্ষেত্রে নারীর অমর্যাদা ও অবমাননাকর কার্যক্রম ও আচরণ বন্ধ করতে হবে
- রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে
- ঘরে বাইরে নারীর কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। জাতীয় আয়ে নারীর কাজের মূল্যায়ন করতে হবে এবং জাতীয় বাজেটে যথাযথ বরাদ্দ দিতে হবে
- সর্বস্তরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
- সর্বোপরি নারীকে শুধু নারী নয় মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন কমিটি, ২০০৬
নারীপক্ষ
নীলু স্কোয়ার (৫ম তলা), সড়ক- ৫/এ, বাড়ী- ৭৫, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯, বাংলাদেশ।
জিপিও বক্স-৭২৩, ঢাকা-১০০০, ফোন : ৮৮০-২-৮১১৯৯১৭, ৮১৫৩৯৬৭, ফ্যাক্স : ৮৮০-২-৮১১৬১৪৮
ই-মেইল : naripokkho@gmail.com, ওয়েব : www.naripokkho.org.bd