৬ আশ্বিন ১৪৩১/২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রতিবাদ বিবৃতি:পার্বত্য চট্টগ্রাম, ঢাবি-জাবি এবং রাজধানীসহ দেশব্যাপী সকল হত্যাকান্ড ও সহিংসতার দ্রুত
বিচার করুন এবং এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিন
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা
সদরের লারমা স্কয়ার এলাকায় পাহাড়িদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের
ঘটনা ঘটেছে। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকালে উক্ত জেলা শহরে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে
মামুন নামে এক বাঙালী যুবক নিহত হওয়ার পর একটি প্রতিবাদ মিছিলে পাহাড়ি বাঙালি বাকবিতন্ডার এক
পর্যায়ে এই হামলা চালানো হয়। এই সহিংসতা এখন ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় এবং এখনও
পর্যন্ত ৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক
তোফাজ্জলকে। একইদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহম্মেদকে। গতকাল রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মেরে
ফেলা হয় ৩ জনকে। দেশব্যাপী এরকম আরো অনেক নৃসংশতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসকল ঘটনা
মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এহেন
অবস্থায় দেশের প্রতিটি মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে নারীপক্ষ ভীষণ হতাশ ও উদ্বিগ্ন।
নারীপক্ষ সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে,
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পাহাড়িরা এদেশের নাগরিক, তাই পাহাড়ে সহিংসতা
বন্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিন এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
প্রতিটি হত্যা ও সহিংস ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সকল অভিযুক্তকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে
বিচারের আওতায় আনুন
এইধরনের হত্যাকান্ড এবং সহিংস ঘটনা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিন।
আসুন, এই ধরনের হত্যা ও সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে আমরা সমষ্টিগত উদ্যোগ নিই, প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ
গড়ি।
বার্তা প্রেরক
সাফিয়া আজীম
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ