৬ ভাদ্র ১৪৩১/২১ আগস্ট ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে লেখক, শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালের একটি লেখার প্রতিবাদ করতে গত ১৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া চত্বরে তাঁর অনেকগুলো বই পোড়ানো হয়েছে, পাতা ছিঁড়ে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে, বইয়ে থুতু ছিটানো হয়েছে। এখন আবার একটি মহল আগামী ২৭ আগস্ট ২০২৪, বিকেল ৫টায় মুক্তমঞ্চে তাঁর বই পোড়ানো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও করা হচ্ছে। নারীপক্ষ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীন মত প্রকাশ আমাদের সংবিধানস্বীকৃত নাগরিক অধিকার। কবি, সাহিত্যিক, লেখকগণ লেখনীর মাধ্যমে তাঁদের অনুভূতি, মতামত বা বক্তব্য প্রকাশ করে থাকেন। সেই লেখা বা বক্তব্য সকলের ভালো না লাগতে পারে বা অনেকে সহমত না-ও হতে পারেন, সেটা বলা বা প্রকাশের অধিকারও তাদের রয়েছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বই পুড়িয়ে ফেলতে হবে, ধ্বংস করে দিতে হবে।
বই পোড়ানোর মতো ন্যাক্কারজনক কাজ বা এই ধরনের আচরণ, কর্মকান্ড যে মানসিকতার দ্বারা করা হয় সেই মানসিকতা দেশ ও জাতির জন্য কখনো কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না বরং ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে, তাই এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে এখনই আমাদের সকলকে, বিশেষকরে সরকার ও প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে।
আমাদের প্রত্যাশা, ব্যাপক ছাত্র-জন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি অ-গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে তারা আমাদের এই দেশটাকে সত্যিকার অর্থে একটি মুক্তমনা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পথকে সুগম করতে সক্ষম হবেন। বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের প্রতি নারীপক্ষ’র জোর দাবি, অনতিবিলম্বে বই পোড়ানো কর্মসূচিসহ সকল ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিন।
বার্তা প্রেরক
সাফিয়া আজীম
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ।