Select Page
২০১৩-০৪-০৭
পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশ নিধন বন্ধে আরো শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী

বিবৃতি

২৪ চৈত্র ১৪১৯
৭ এপ্রিল ২০১৩

বিষয়: পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশ নিধন বন্ধে আরো শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী

আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, প্রতি বছর ১লা বৈশাখ, বাংলা নব বর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হারে ইলিশ নিধন চলে, যা জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট করে এবং দেশের মানুষকে পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে ফেলে। এই ব্যাপারে মৎস অধিদপ্তরের আবেদন ও প্রচার প্রশংসাযোগ্য। তবে দুঃখের বিষয়, এতে নগরবাসী উচ্চ ও মধ্যবিত্ত মানুষের বাঙালি ঐতিহ্যের নামে ইলিশ খাওয়ার ধুম বন্ধ হচ্ছে না।

আশির দশক থেকে বিশেষতঃ ঢাকায় ১লা বৈশাখে ঘটা করে পান্তা ইলিশ খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়। তারপর থেকে এর প্রসার ও প্রচার ঘটতে থাকে এবং এটি এখন অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এর সুযোগে জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা যেমন কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অতি মুনাফার লোভে নির্বিচারে জাটকা থেকে শুরু করে ছোট-বড় সকল ধরনের ইলিশ ধরছে ও বাজারজাত করছে এবং ক্রেতারাও চেতনে-অচেতনে ইলিশ কেনায় মেতে ওঠে। অন্যদিকে বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও টিভি চ্যানেলে ইলিশ রান্নার নানা লোভনীয় রসনাতৃপ্ত রকমারি প্রণালী প্রচার এহেন বিবেচনা বিবর্জিত আচরণকে আরো প্ররোচিত করে।

আমরা মনে করি, কেবল জেলেদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে ইলিশ নিধন যজ্ঞ বন্ধ হবে না, এর বাজারজাত করণ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও যথাযথ নির্দেশনা ও এর কঠোর বাস্তবায়নে সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও টিভি চ্যানেলে পহেলা বৈশাখের প্রারম্ভে ইলিশ রান্নার অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধে এবং জন সচেনতা তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার বাংলাদেশ মৎস অধিদপ্তর এর মহপরিচালক বরাবর আবেদন জানিয়েছি। আমরা আশা করি, ইলিশ নিধন রোধে আরো ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণে মৎস অধিপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহল সচেষ্ট ও উদ্যোগী হবেন।

ধন্যবাদসহ,

রওশন আরা
আন্দোলন সম্পাদক

Pin It on Pinterest

Share This