Select Page
২০১৪-০৯-২১
বিয়ের বয়স কমানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ

স্মারক নং- না.প. ০৯/২০১৪-১৬৪

৬ আশ্বিন ১৪২০/২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বিয়ের বয়স কমানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ


বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, গত ৩১ ভাদ্র ১৪২১/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ মন্ত্রীসভার বৈঠক থেকে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন- ২০১৪’ এ বিয়ের বয়স কমিয়ে ছেলের ১৮ বছর ও মেয়ের ১৬ বছর করার বিবেচনার জন্য সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয় ও ব্যক্তিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে বিশ্বের বেশীরভাগ দেশের বিধি-বিধানের সাথে এই উদ্যোগ সাংঘর্ষিক এবং পশ্চাৎপদতার পরিচায়ক। সরকারের এই অদূরদর্শী উদ্যোগ এবং অশুভ পায়তারায় আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
দেশের বিদ্যমান আইনে বিয়ের বয়স ছেলেদের ২১ এবং মেয়েদের জন্য ১৮ নির্ধারিত হওয়া সত্ত্বেও বাল্যবিবাহ রোধ করা যাচ্ছে না এবং এটি একটি জাতীয় সমস্যা। বাল্যবিবাহের ফলাফল হচ্ছে: অকাল গর্ভধারণ, অপুষ্ট শিশুর জন্ম, শিশু ও প্রসূতিমৃত্যু, নারীর স্বাস্থ্যহানি এবং বহুবিবাহ। যদি বিয়ের বয়স আরো কমানো হয় তাহলে শিশু বিবাহ শুরু হবে এবং এই সমস্যা প্রকটতম রূপ লাভ করবে, যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
আমাদের জাতীয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ ও আইনে ১৮ বছরের কম বয়সীরা শিশু হিসেবে গণ্য। ১৮ বছর বয়সের পূর্বে প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে গণ্য হয় না, ভোটাধিকার পায় না। কোন বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হবার আইনি অধিকার পায় না। আমাদের দেশের আর্থ-সামজিক কাঠামোতে ন্যুনতম ১৮ বছরের কম বয়সের ছেলে-মেয়ে বিয়ে এবং পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিতে সক্ষম হয় না। বৈবাহিক জীবন যাপনের জন্য তারা শারিরীক ও মানসিকভাবে প্রস্ত্তত হয় না। বিয়ের বয়স আরো কমানো হলে তা আমাদের ছেলে-মেয়েদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসহ সকল রকম নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে, যা বৃহত্তর অর্থে দেশ ও সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। সুতরাং, সরকারের এহেন উদ্যোগ এখনই বন্ধ করার জন্য তৎপর হতে আমরা সরকারী-বেসরকারী এবং সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আহবান জানচ্ছি।

বার্তা প্রেরক,

ফিরদৌস আজীম
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ

Pin It on Pinterest

Share This