স্মারক নং- না.প. ০৫/২০১৫-১৫৪
৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১/২৩ মে ২০১৫
প্রতিবাদ বিবৃতি
বিষয়: চলন্ত মাইক্রোবাসে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ, থানা কর্তৃপক্ষর গাফিলতির নিন্দা ও বিচারের দাবি
গত ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২/২১ মে ২০১৫ বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে কুড়িল বাসস্ট্যান্ড থেকে এক তরম্নণীকে কয়েকজন দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর রাত পৌনে ১১টায় দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের শিকার সেই নারীকে উত্তরার জসীম উদ্দিন রোডে ফেলে রেখে যায়। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় সরকারের উদাসীনতা, দায়িত্ব-কর্তব্যহীনতা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার অভাবে নারীর ওপর যৌন আক্রমনকারীরা এখন অনেক বেশী বেপরোয়া। আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, সকল পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে উঠে অনতিবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করুন।
আরও মর্মান্তিক যে, এরপর সারারাত মেয়েটিকে নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা উত্তরা, খিলক্ষেত ও গুলশান থানায় গেলেও ঘটনাস্থল উক্ত থানা এলাকায় নয় বলে থানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য সমন্বিত সেবা কার্যক্রম ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার‘ থাকা সত্ত্বেও ধর্ষণের শিকার ঐ নারীকে সেখানে কিংবা তেজগাঁও থানাস্থ ‘ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে’ প্রেরণের ব্যবস্থা নেয়নি। ”ধর্ষণের শিকার নারী প্রাথমিকভাবে যে থানায় গিয়ে অভিযোগ করবে সে থানাই এ সংক্রান্ত আইনী প্রক্রিয়া শুরু করতে বাধ্য”– আইনে এমন বিধান থাকা সত্ত্বেও থানা কর্তৃপক্ষ দায়িত্বে অবহেলা করেছে। তাছাড়া ধর্ষণ উত্তর ডাক্তারী পরীক্ষা জরুরী সেবার আওতাধীন হওয়া সত্ত্বেও অযথা বিলম্ব করা হয়েছে। এতে ধর্ষণের শিকার নারী তাৎক্ষণিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং ধর্ষণের আলামত বিনষ্ট হয়েছে। অবশেষে ১৬ ঘন্টা পরে ভাটারা থানা অভিযোগ গ্রহণ করে।
থানা কর্তৃপক্ষের এরূপ হয়রানি, দায়িত্ব-কর্তব্যহীন আচরণে আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত, বিক্ষুব্ধ এবং আশঙ্কিত। দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরম্নদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে জোড় দাবি জানাই।
বার্তা প্রেরক,
ফিরদৌস আজীম
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ