স্মারক নং- না.প. ০৮/২০১৫-২২৯
২৪ শ্রাবণ ১৪২২/৮ আগস্ট ২০১৫
প্রতিবাদ বিবৃতি
বিষয়: নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় এর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি
গতকাল ২৩ শ্রাবণ ১৪২২/৭ আগস্ট ২০১৫, দুপুরে রাজধানী ঢাকায় নিজ বাসায় ঢুকে স্ত্রী ও আত্মীয়-পরিজনের সামনে মুক্তমনা প্রগতিশীল লেখক, ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে স্বোচ্চার, ‘গণজাগরণ মঞ্চ‘ এর অগ্রসর কর্মী, ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিল‘ এর সদস্য নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে খুনীরা প্রকাশ্যে বীরদর্পে চলে যায়। এই ঘটনায় আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত, বিক্ষুব্ধ এবং আশঙ্কিত।
গত আড়াই বছরে এভাবে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে অন্তত দশজন ব্লগার, যার কোনটিরই বিচার এখনো হয়নি, দোষীরা শাস্তি পায়নি। সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের চরম উদাসীনতা, দায়িত্ব-কর্তব্যহীনতা, দুর্নীতিপরায়ণতা এবং যথাযথ তৎপরতার অভাব ও নীরব দর্শক হয়ে থাকার সুযোগে হত্যাকারীরা এখন ভীষণরকম বেপরোয়া। তারা নির্বিঘ্নে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে বিজয়োল্লাশ করছে। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেনি; উপরন্তু তাকে দ্রুত দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের এহেন গাফিলতি নীলাদ্রীকে হত্যার সুযোগ করে দিয়েছে। এখনই এর প্রতিকার না হলে এই ধরণের হত্যাকান্ড ঘটতেই থাকবে। আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, সকল পক্ষপাতিত্বের উর্ধ্বে উঠে কোন রকম দুর্বলতা পোষণ না করে অনতিবিলম্বে এই সকল হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করা হোক। সেইসাথে, পুলিশ-প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ/কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বার্তা প্রেরক
রীনা রায়
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ