স্মারক নং- না.প- ০৯/২০১৬-২১৫
a১২ আশ্বিন ১৪২৩/২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
বিষয়: দেশজুরে একের পর এক নারীর উপর হত্যা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্তকরণ ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন
পত্রিকান্তরে প্রকাশ গতকাল ১১ আশ্বিন ১৪২৩/২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, চট্টগ্রাম শহরের পোলো গ্রাউন্ড এলাকায় শেলী আক্তার ও তার মা মোঃ জাহাঙ্গীর (শেলী আক্তারের প্রাক্তন স্বামী) কর্তৃক এসিড আক্রমণের শিকার হন। ব্রাম্মণবাড়িয়ার নাসির নগরে ১২ বছরের কিশোরী ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী ডালিয়া আক্তার স্থানীয় যুবক হামিদ মিঞা কর্তৃক ক্রমাগতভাবে উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে গত ২৭ মে ২০১৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বেহুলা গ্রামের মরিয়ম আক্তার ও তার তিন সহপাঠী স্কুলছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার বখাটে যুবক মালেকের এলোপাতারি কোপের মুখে পড়ায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় কণিকা ঘোষ। মরিয়ম আক্তারের ডান কাঁধ থেকে হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং অন্য দুইজনও আহত হয়। অভিযুক্ত মালেক জনতার হাতে আটক হলেও পুলিশের অভিযোগপত্র না পাওয়ার কারণে এখনো তাকে বিচারের সম্মুখীন করা যায়নি। পুলিশ বলছে, মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে প্রতিবেদন দেওয়া যাচ্ছে না। জেলা সিভিল সার্জন বলছেন, মেডিকেল রিপোর্ট দিতে বিলম্বের কারণ তিনি জানেন না।
দেশে বিরাজমান বিচারহীনতা, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা, উদাসীনতা এবং সর্বোপরি নারীকে সদা-সর্বদা ভোগ্যবস্তু ভাবার কারণেই একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই সকল ঘটনায় নারীপক্ষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। আমরা নারীর উপর সংঘটিত প্রতিটি অপরাধের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার সমাপ্ত করার দাবি জানাই। নারীপক্ষ’র দাবি, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার সর্বাধিক মনোযোগ দেবেন।
অপরাধীরা যাতে ক্ষমতাধরদের প্রভাব-প্রতিপত্তি, প্রশাসনের দুর্বলতা-অবহেলা, পক্ষপাতিত্ব বা আইনের ফাঁকফোকর গলে কোনভাবেই বেরিয়ে যেতে না পারে সেইদিকে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের প্রতি আমরা আহ্বান করছি।
রীনা রায়
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ।