স্মারক নং- না.প- ১১/২০১৬-২৭২
৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৩/২৩ নভেম্বর ২০১৬
বিবৃতি
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস হামলা বিশ্ব মানবতার জন্য অত্যন্ত লজ্জাষ্কর ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন
অক্টোবর ২০১৬, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশে কয়েকজন সীমান্তরক্ষী সেনা নিহত হবার প্রেক্ষিতে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে। সেনা সদস্য ও স্থানীয়রা বহু গ্রামে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে, বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে নির্মমভাবে রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত এবং ৩০ হাজারেরও বেশী বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নারী ও কিশোরীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। এই ঘটনাবলী বিশ্ব মানবতার জন্য অত্যন্ত লজ্জাষ্কর ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। নারীপক্ষ এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন এবং ব্যথিত।
অব্যাহত দমন-পীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতনে প্রাণভয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে বেড়ানো ৩ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় পেয়েছে চীনে। অনেকেই জীবন বাঁচানোর তাগিদে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশ ঢালাওভাবে সীমান্ত না খুললেও মানবিকতার কারণে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের। অসংখ্য রোহিঙ্গা পাহাড়ে-জঙ্গলে আশ্রয় নিচ্ছে, ভেসে বেড়াচ্ছে সমুদ্রবক্ষে। আমরা অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের উপর এই নৃশংস হামলা বন্ধ করতে ও তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করা থেকে মিয়ানমার সরকারকে বিরত রাখতে এবং রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা দেশটির ক্ষমতাধর নেত্রী শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির প্রতি আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে তিনি অন্তত শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মর্যাদাটুকু রক্ষা করবেন।
এই পরিস্থিতিতে মানবতার বিষয়টি সর্বাধিক বিবেচনায় নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র কর্তৃক বাংলাদেশ সীমান্ত খোলা রাখার অনুরোধের বিষয়ে সরকারকে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছে নারীপক্ষ।
বার্তা প্রেরক,
রীনা রায়
আন্দোলন সম্পাদক, নারীপক্ষ।