স্মারক নং- না.প- ০৫/২০১৮- ১১৫
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫/২৮ মে ২০১৮
সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন নারী শ্রমিক, সরকার করছেটা কী?
ভালো বেতনের আশায় সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনসহ নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন শত শত নারী শ্রমিক। গত বছরও এভাবে দেশে ফিরেছেন প্রায় চার হাজার নারী শ্রমিক। দেশে ফেরা এই নারীদের অভিযোগ, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদেরকে ভালো বেতনে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখানে পাঠালেও এজেন্সিগুলো এ বিষয়ে কোন দায়দায়িত্ব নেয়নি, বরং তাদের অনেককে বিক্রি করে দিয়েছিল। তাদেরকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনসহ নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। বিনা বেতনে কঠোর পরিশ্রম করানো হয়েছে, অর্ধাহারে, অনাহারে রাখা হয়েছে, এমনকি তাদের অনেকের পাসপোর্টও কেড়ে নেয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি বা দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বরং উল্টে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক ফিরে আসা এই নারীদেরই দোষারোপ করার কথা শোনা যাচ্ছে! সরকারের এহেন আচরণে নারীপক্ষ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ, আশঙ্কিত।
গৃহখাতে কর্মী নিতে সৌদি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের করা চুক্তির আওতায় দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এই নারীদের সৌদি আরবে পাঠায়, তাই এর দায়দায়িত্ব সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে। নির্যাতনের শিকার এই নারীদের আর্থিক ও আইনীসহ প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সহায়তা প্রদান এবং অবিলম্বে ঘটনাসমূহের তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার জন্য নারীপক্ষ সরকারসহ সংশি¬ষ্ট সকল মহলের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে। সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসী নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার করা সৌদি আরব সরকারের দায়িত্ব। এই বিষয়ে সৌদি সরকারকে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশেরও দাবি জানাছে নারীপক্ষ।
এই ধরনের আর একটি ঘটনাও যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সকল প্রকার সতর্কতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারী-বেসরকারী সংশ্লি¬ষ্ট সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
তামান্না খান পপি
আন্দোলন সম্পাদক