স্মারক নং- না.প. ০১/২০১৯- ২৭২
২৬ পৌষ ১৪২৫/ ৯ জানুয়ারি ২০১৯
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত তৈরি পোশাক শ্রমিকদের উপর পুলিশী হামলা এবং শ্রমিক নিহতের ঘটনায় নারীপক্ষ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত
গত এক কয়েকদিন ধরে ঢাকা, সাভার ও গাজীপুরে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের সকল গ্রেডে সমানহারে মজুরী বৃদ্ধি ও সামঞ্জস্য বজায় রাখা, বকেয়া বেতন পরিশোধ ও শ্রমিক ছাটাই, নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে। শ্রমিকের এই ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার বদলে তাদের উপর চালানো হচ্ছে পুলিশী হামলা, মামলা ও গ্রেফতার-নির্যাতন। এরই জেরে গতকাল (৮/০১/১৯) মঙ্গলবার সাভারে একজন তৈরি পোশাক শ্রমিক নিহত হন। নারীপক্ষ এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রধান এই খাতে কর্মরত শ্রমিকরা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তেমনি নিজের ও পরিবারের উন্নতিতেও সহায়তা করছে কিন্তু তাদের ন্যায্য মজুরীর বিষয়টি দারুণভাবে উপেক্ষিত। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তারা তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সভা-বৈঠক, বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে, আওয়াজ তুলেছে। এতদ সত্ত্বেও মালিকপক্ষ ও তৈরি পোশাকশিল্প মালিক সমিতি (বিজিএমইএ) বা সংশ্লিষ্ট কোন মহলই তাদের এই ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ করেনি। এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনের দিক থেকেও তেমন কোন কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নতুন মজুরি কাঠোমোতে হেলপারের মজুরি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও অধিকাংশ শ্রমিকের মজুরি যৎসামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপারেটরদের মজুরি কোন কোন ক্ষেত্রে কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নারীপক্ষ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি নারীপক্ষ পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে এবং বিজিএমইএ, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কাছে জোর দাবি করছে, চলমান বাজারদরে শ্রমিকদের মানসম্মত জীবন যাপনের উপযোগী বেতনকাঠামো নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে অনতিবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। শ্রমিকের উপর সকল প্রকার দমন-পীড়ন বন্ধ করে প্রকৃত শ্রমিকপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শ্রমিকপক্ষের ন্যায্য দাবি মেনে নিন।
ফরিদা ইয়াছমিন
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ