স্মারকনং- না.প- ০১/২০২১- ২৪৫
২৯ পৌষ ১৪২৭/১৩ জানুয়ারি ২০২১
প্রতিবাদ বিবৃতি
ভুক্তভোগী নারীকে দোষারোপের সংস্কৃতির অবসান ও সমন্বিত যৌন শিক্ষা সময়ের দাবী
সম্প্রতি কলাবাগানে স্কুল শিক্ষার্থীর উপর সংঘঠিত লোমহর্ষক ঘটনা আবারও আঙ্গুল চোখে দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সহিংসতার শিকার নারীকে দোষারোপ করা আমাদের পুরানো অভ্যাস ও অবিবেচনা প্রসূত অর্বাচিন চিন্তা ভাবনা। গণমাধ্যম সহ সকল যোগাযোগ মাধ্যম, দেশব্যাপি চলমান ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলেও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে কোন ভূমিকা রাখছে না, বরং অধিকাংশ সময় তা লালন করছে। দেশের প্রচলিত আইনেও নারীর চরিত্র বিশ্লেষণ করে নারীকে বিব্রতকর পরিস্থিতি ও অপমানের শিকার হতে হয়। আমরা এই সংস্কৃতি ও চর্চার প্রতিবাদ করছি। অপরাধীকে রেহাই ও নিরাপত্তা দেয়া, অপরাধীর পরিবর্তে সহিংসতার শিকার ব্যক্তিকে দোষারোপ ও গাল-মন্দ করা, নির্যাতনকারীকে বিচারের মুখোমুখী না করার এই পক্ষপাত দুষ্ট ও অগ্রহণযোগ্য আচরণের পরিবর্তন চাই।
পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌনতা বিষয়ক আলোচনায় লজ্জা, ভয় ও জড়তা কাজ করে। এ বিষয়ে কোন প্রকার বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান না পেয়েই শিশুরা বেড়ে উঠছে। ফলে কিশোর-কিশোরীরা কৌতুহলবশত: বিভিন্ন যৌন আচরণে জড়িয়ে পড়ছে যা হতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ।
নারীপক্ষ’র অবস্থান, শুধুমাত্র শাস্তি দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না। প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও কার্যকর আইনের শাসন। বিজ্ঞানভিত্তিক যৌন শিক্ষা পেয়ে শিশুদের বেড়ে উঠার মধ্য দিয়ে নারী ও মেয়ে শিশুর উপর যৌন সহিংসতা ও নিপিড়ন কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব।
সরকারের কাছে নারীপক্ষ’র দাবি, ইউনেস্কো সুপারিশকৃত ‘সমন্বিত যৌনশিক্ষা’ পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করা। শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার্থীদের সহজ ও সাবলীল ভাষায় পাঠদান করা ও সর্বোপরি শিক্ষকদের এই বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া।
তামান্না খান
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ
তামান্না খান পপি
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ।