Select Page
২০২১-০২-০২
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারী! আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?

স্মারকনং- না.প- ০২/২০২১- ২৬৮

১৯ মাঘ ১৪২৭/ ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রতিবাদ বিবৃতি

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারী!
আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?


৩১ জানুয়ারি ২০২১, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিশোরী মীমকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে যুবক খায়ের। আমরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ, হতাশ এবং শঙ্কিত।

বাস, ট্রেন, পায়ে চলা পথ, ঘর- বাড়ি, কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও বেপরোয়া ধর্ষণকারী! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আর কোন কোন জায়গায় এবং কত নারী ধর্ষণ, হত্যা ও যৌননির্যাতনের শিকার হলে আপনার এবং আপনার সরকার ও প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে? তাদের এই ঔদ্ধত্যের উৎস কী? এর কি কোন প্রতিকার নেই?

লাখো শহীদের রক্ত, নারী ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন এবং অসংখ্য মানুষের ত্যাগ-তীতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে আজ শহীদ মিনারেও ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হতে হচ্ছে নারীকে! আমরা কি এই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম? আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশটা কি আজ ধর্ষকের দেশে পরিণত হয়েছে?

৩১ জানুয়ারি ২০২১, রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বন্ধুদের বিরুদ্ধে মোহম্মদপুর থানায় মামলা। একইদিন নরসিংদী সদর উপজেলার একটি বাড়িতে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণে করে বাড়ির এক রাজমিস্ত্রী। ৩০ জানুয়ারি ২০২১, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় টিলাগাঁও ইউনিয়নে ১২ বছরের শিশুকে বাড়িতে একা পেয়ে জমিরউদ্দীন ধর্ষণ করে। ২৮ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ এর ফতুল্লা উপজেলায় মজা খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে ৫৫ বছরের বৃদ্ধ মো. হোসেন। ২৯ জানুয়ারী বাগেরহাটের মংলায় স্বামীর সাথে সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া এক নারীকে স্বামীর বন্ধু অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে। ঐদিন রাতে সিলেট থেকে ঢাকা রেলপথের মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া এলাকায় চলন্ত ট্রেনে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করেছে ঐ ট্রেনের সহকারী জেনারেটর অপারেটর জাহিদ মিয়া।

উপরোক্ত ঘটনাগুলো গত এক সপ্তাহে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত অনেকগুলো ঘটনার কয়েকটিমাত্র। প্রকাশিত-অপ্রকাশিত এমন অসংখ্য নারী ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত এবং ধর্ষণপরবর্তী হত্যার বিরামহীন ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, দেশে আইনের শাসন বলতে কিছুই নেই; আর এই অবস্থার সবচেয়ে বেশী শিকার হচ্ছে নারী।

নারীপক্ষ’র দাবি, অনতিবিলম্বে প্রতিটি ধর্ষণ ও ধর্ষণজনিত এবং ধর্ষণপরবর্তী হত্যা ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচার নিশ্চিত করুন। ঘটনা প্রতিরোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিন। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন।

তামান্না খান পপি
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ।

Pin It on Pinterest

Share This