স্মারক নং না.প ০৬/২০২২-১৬১
২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯/১২ জুন ২০২২
প্রতিবাদ বিবৃতি
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের উপর হামলা এবং হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে নারীপক্ষ
গত ৪ জুন ২০২২, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর পল্লবী, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ, কচুক্ষেত মিলি মার্কেট, মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিভিন্ন পোশাকশিল্প কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরেরদিন সকাল ৮টা থেকে চলমান এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক যোগ দেয়। এই সময় মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের উপর পুলিশ হামলা চালায় এবং অসংখ্য শ্রমিককে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর এহেন অনৈতিক হামলা, হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেফতারে নারীপক্ষ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ। নারীপক্ষ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বাসা ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেল, চাল-ডাল, সবজি ও নিত্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশবাসীর জীবন এখন ভয়াবহরকম বিপর্যস্ত। সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছে পোশাক শ্রমিক, শ্রমজীবী-মেহনতিসহ স্বল্প আয়ের মানুষেরা। এমতাবস্থায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বা মজুরি বৃদ্ধির দাবিটি খুবই ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত। নারীপক্ষ শ্রমিকদের এই ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে তাদের উপর সকলপ্রকার হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছে। এছাড়া, শ্রমিকদের পক্ষে বিভিন্ন সংগঠন থেকে নি¤েœাক্ত যে ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে নারীপক্ষ তার সাথে সহমত জানাচ্ছে:
১. অবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসমূহের মূল্য শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে
২. মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, মামলা ও গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে
৩. অবিলম্বে মজুরিবোর্ড গঠন করে নতুন মজুরি নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিতে হবে
৪. পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা করতে হবে
৫. শ্রমিকের জীবন-জীবিকার মান নিশ্চিতের দায় মালিক, সরকার ও বায়ার- তিন পক্ষকেই নিতে হবে
৬. নতুন মজুরি কার্যকর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মহার্ঘ্য ভাতা এবং শ্রমিকদের রেশনিং কার্ডের আওতায় আনতে হবে। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের উদ্যোগ নিতে হবে।
তামান্না খান পপি
আন্দোলন সম্পাদক
নারীপক্ষ।